এমপি কেয়া চৌধুরী’র উপর হামলার প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মানববন্দন ও প্রতিবাদ সভা

প্রকাশিত: ৫:৪৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০১৭

সিলেট : বীর মুক্তিযোদ্ধার সুযোগ্য কন্যা, হবিগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত মহিলা আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও আইন বিচার ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী এমপির উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড সিলেট জেলার আয়োজনে ১৬ নভেম্বর বিকাল ৩টায় জিন্দাবাজার সংসদ প্রাঙ্গণে মানববন্দন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্দন ও প্রতিবাদ সভায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড সিলেট জেলার সভাপতি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন পারভেজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জবরুল হোসেনের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ড সিলেট জেলা কমান্ডর সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল।

প্রতিবাদ সভা ও মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা কমান্ডার হাজী এরশাদ আলী, সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু তাহের, সন্তান কমান্ড সিলেট জেলার সহ সভাপতি আব্দুল কাদির, মো: সারওয়ার আহমদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, তোফায়েল আহমদ রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন আহমদ, প্রচার সম্পাদক ফেরদৌস আলম বেগ, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মহি উদ্দিন রাসেল, আইন হিসাব ও নিরক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো: ছাব্বির আহমদ, জেলার সদস্য এম সাইফুল ইসলাম জয়, কলি সেন, পারভিন বেগম, সায়েম আহমদ, মো: মুজাম্মিল আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড যুক্তরাজ্য শাখার সহ সভাপতি দেলওয়ার হোসেন বেগ, সিলেট জেলার সভাপতি শাহীন আহমদ চৌধুরী নয়ন, যুগ্ম আহবায়ক ওয়ালিম মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: সাদিকুর রহমান, আব্দুর রহমান লিমন, সদস্য ইমরান চৌধুরী রাজিব, জাকির আহমদ, সৌরভ পুরকায়স্থ সাওন, মো : আলাজুর রহমান, ইমরান খান, মো: ছদরুল হোসেন মাহফুজ, গোয়াইনঘাট উপজেলা সন্তান কমান্ডের সভাপতি মো: কামাল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শেখ ফরিদ, মো: ছানা মিয়া, মিজানুর রহমান প্রমুখ।

মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে সরকারি অনুষ্ঠানে একজন মহিলা এমপির উপর এ ধরনের জঘন্যতম সন্ত্রাসী হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে একজন সংসদ সদস্যের উপর চিহ্নিত সন্ত্রাসী, পাহার ও টিলাসহ ভূমিখেকো, জোয়ার আসরের মালিক, মাদক ব্যবসায়ী চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এই দুঃসাহস কাদের মদদে পায়। বক্তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার সুযোগ্য কন্যা ও সংসদ সদস্য হয়েও তিনি পুলিশ প্রশাসনের সামনে নিজেকে হামলা থেকে বাঁচাতে পারেননি। পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব জনগণের নিরাপত্তা দেয়া, কিন্তু এই জায়গায় আমরা দেখলাম, স্থানীয় উপজেলার ওসিসহ পুলিশের একটি টিম প্রটকল ও নিরাপত্তার জন্য এমপির সাথে ছিল। হামলার সময় তারা নিরব ভূমিকা পালন করে। কিন্তু তারা সংসদ সদস্যকে হামলা থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। কেন প্রশাসন নিরব? উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আমরা জানতে চাই, কার ইশারায় সরকারি কাজে সন্ত্রাসীরা বাঁধা দেয়। দ্রুত সন্ত্রাসীদেরকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। পাশাপাশি নেতৃবৃন্দ মানবন্ধন অনুষ্ঠানে, হামলাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন


আর্কাইভ

November 2017
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..