জঙ্গি ছিনতাইয়ের সাথে সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিতের এপিএস ফারুক জড়িত

প্রকাশিত: ১২:১৫ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২

জঙ্গি ছিনতাইয়ের সাথে সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিতের এপিএস ফারুক জড়িত

Manual7 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ঢাকার আদালত থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় ওমর ফারুক নামে এক আইনজীবী জড়িত বলে জানিয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওমর ফারুক পালিয়ে যাওয়া এক জঙ্গির ভগ্নিপতি ও প্রয়াত রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের এপিএস ছিলেন।

Manual5 Ad Code

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে আইনজীবী ওমর ফারুকের গ্রেফতারের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন সিটিটিসির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

Manual7 Ad Code

তিনি বলেন, ওমর ফারুককে ৫-৬ দিন আগে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় ওমর ফারুকের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়। দুই দফায় চারদিনের রিমান্ড শেষে তিনি এখন কারাগারে আছেন।

দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন গ্রেফতার হয়েছেন বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে, তদন্তে থাকা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওমর ফারুক পালিয়ে যাওয়া এক জঙ্গির ভগ্নিপতি।

গত ২০ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এসময় আসামি আরাফাত এবং সবুরকেও ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে তারা। পরে ঘটনাস্থল আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে ২০ জনের নামে একটি মামলা করেন। মামলায় আরও সাত-আটজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

Manual7 Ad Code

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে সাগর ওরফে বড় ভাই ওরফে মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত মেজর) পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় আয়মান ওরফে মশিউর রহমান (৩৭), সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক (২৪), তানভীর ওরফে সামশেদ মিয়া ওরফে সাইফুল ওরফে তুষার বিশ্বাস (২৬), রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ওরফে সুমন (২৬) ও মো. ওমর ফারুক ওরফে নোমান ওরফে আলী ওরফে সাদ (২৮) পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে।

এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুটি মোটরসাইকেলযোগে আনসার আল ইসলামের অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ-ছয়জন সদস্য অবস্থান নেয়। এছাড়া আদালতের আশপাশে অবস্থান করা অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জন আনসার আল ইসলামের সদস্য আদালতের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। এরপর তারা পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

Manual7 Ad Code

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, ২০ নভেম্বর সকাল ৮টা ৫ মিনিটে গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে ১২ জন আসামিকে ঢাকার আদালতে প্রিজনভ্যানে নিয়ে আসা হয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার প্রসিকিউশন বিভাগে আসামিদের হাজিরা দেওয়ার জন্য সিজেএম আদালত ভবনের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল ৮-এ নিয়ে যাওয়া হয়।

এতে বলা হয়, এ মামলার শুনানি শেষে জামিনে থাকা ১৩ নম্বর আসামি মো. ঈদী আমিন (২৭) ও ১৪ নম্বর আসামি মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি (২৪) আদালত থেকে বের হয়ে যান। এরপর বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে আদালতের মূল ফটকের সামনে পৌঁছানো মাত্র আগে থেকেই দুটি মোটরসাইকেলযোগে অজ্ঞাতনামা আনসার আল ইসলামের পাঁচ-ছয়জন সদস্য এবং আদালতের আশপাশে অবস্থানরত আরও ১০-১২ জন হামলা করে।

তারা কনস্টেবল আজাদের হেফাজতে থাকা আসামি মইনুল হাসান শামিম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান (২৪), মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪), মো. আরাফাত রহমান (২৪) ও মো. আ. সবুর ওরফে রাজু ওরফে সাদ ওরফে সুজনকে (২১) ছিনিয়ে নিতে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে।

কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাদের কর্মকাণ্ডে বাধা দিলে আসামিদের মধ্যে কোনো একজন তার হাতে থাকা লোহা কাটার যন্ত্র দিয়ে কনস্টেবল আজাদের মুখে আঘাত করে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2022
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..