সীমানাপ্রাচীর নিয়ে দ্বন্দ্ব: দাদিকে পেটালেন নাতি!

প্রকাশিত: ৮:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২০, ২০২২

সীমানাপ্রাচীর নিয়ে দ্বন্দ্ব: দাদিকে পেটালেন নাতি!

Manual1 Ad Code

কুলাউড়া সংবাদদাতা: বাড়ির সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের জেরে সত্তরোর্ধ্ব দাদিকে বেধড়ক পেটালেন নাতি। আর এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করে উল্টো শাসালেন পুত্রবধূ (ওই যুবকের মা)।

ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার উত্তর লস্করপুর এলাকায়। নাতি আব্দুস সামাদ সে সিলেট এমসি কলেজে অর্থনীতি বিভাগে অনার্সে পড়াশোনা করছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় নাতি আব্দুস সামাদসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে গত রোববার রাতে থানায় অভিযোগ করেছেন বৃদ্ধ লায়লী বেগম। তিনি ওই এলাকার সুলতান মিয়ার স্ত্রী।

পুলিশ বলছে, অভিযোগ পেয়ে আদালতে প্রসিকিউশনের জন্য পাঠানো হয়েছে। আদালতের অনুমতি পেয়ে অভিযোগটি মামলায় এজাহারভুক্ত করা হবে।

Manual4 Ad Code

প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণ করা ওই দিনের মারধরের একটি ভিডিও মঙ্গলবার এই প্রতিবেদকের কাছে পৌঁছায়।

ভিডিও ও থানায় অভিযোগে জানা গেছে, লায়লী বেগমের দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। বড় ছেলে জয়নাল মিয়া কয়েক বছর আগে মায়ের নামে থাকা সম্পত্তি সমান অংশে ভাগ-বাঁটোয়ারা করার কৌশলে ৫ দশমিক ৪১ শতক জমি নিজের নামে লিখে নেন। পরে মায়ের দেখভাল না করে জয়নালের স্ত্রী আমিনা বেগম বৃদ্ধাকে তাঁর মেয়েদের ঘরে দিয়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিস হয়।

Manual5 Ad Code

গত শুক্রবার জয়নালের ছেলে আব্দুস সামাদ বাড়িতে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এতে বাধা দিতে যান বৃদ্ধ লায়লী বেগম। তখন সামাদ উত্তেজিত হয়ে দাদিকে এলোপাতাড়ি লাথি-ঘুষি দিতে থাকেন। লায়লী বেগমকে তখন সামাদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরা উদ্ধার না করে উল্টো টেনেহিঁচড়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

ওই সময় সামাদের মা শাশুড়িকে উদ্ধার না করে উল্টো ভিডিও ধারণ করে শাসিয়ে বলেন, ‘সীমানাপ্রাচীর নির্মাণে বাধা দিতে মেয়েরা লায়লী বেগমকে পাঠিয়ে তামাশা দেখছে।’

Manual4 Ad Code

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাতি আব্দুস সামাদ বলেন, ‘আমাদের জায়গার ওপর দেয়াল নির্মাণ করতে গেলে দাদি ও আমার ফুফুরা বাধা দেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়। শুক্রবার দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করলে দাদি বাধা দিতে আসেন। এ জন্য তাঁকে সরিয়ে দিয়েছি, মারধর করিনি। পরে আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি।’

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর হারুনুর রশীদ বলেন, ‘বৃদ্ধার পরিবারে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। আমরা বৈঠকে বসে দুই পক্ষকে জায়গা আলাদা করে দিয়েছিলাম। বৃদ্ধাকে মারধরের বিষয়টি দুঃখজনক।’

কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার মিয়া বলেন, ‘আদালতের সিদ্ধান্ত পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রতন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানতাম না। খোঁজ নিয়ে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

Manual3 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2022
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..