সিলেট ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৪৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট রেল স্টেশনে ট্রেনের টিকিট সংকটের কথা সবারই জানা। সারা বছরই টিকিট কাউন্টারে থাকে কৃত্তিম এই সংকট। এই সংকটকে কাজে লাগিয়ে টিকিট কালোবাজারি করে আসছিলো একদল অসাধু ব্যক্তি। কিন্তু এর পেছনে রয়েছে একটি বিশাল চক্র। এতে জড়িত আছেন সিলেট রেল স্টেশনে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বেশ কয়েকজন দালাল।
বুধবার সন্ধ্যায় আচমকা সিলেট রেল স্টেশনে অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯। এ সময় টিকিট কালোবাজারির সাথে সম্পৃক্ত এক দালালকে আটক করা হয়। তিনি হলেন, কদমতলীর বিআরটিসি বাস কাউন্টারের ম্যানেজার রুমেল।
জানা গেছে, অনলাইন এবং কাউন্টার, দুই ভাবেই সংগ্রহ করা যায় ট্রেনের টিকিট। কিন্তু টিকিট কালোবাজারির সাথে জড়িত দালাল চক্রের সদস্যরা নিজেরাই অনলাইন এবং কাউন্টার থেকে সব টিকিট কিনে নেন। ফলে দেখা দেয় কৃত্রিম টিকিট সংকট। এই সুযোগে দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হয়। হয়রানীর শিকার একাধিক যাত্রীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে বুধবার দুপুরে ছদ্মবেশে সিলেট রেল স্টেশনে যান র্যাব সদস্যরা। এ সময় তারা যাত্রী হিসেবে কাউন্টারে টিকিট কিনতে যান। কিন্তু কাউন্টারে বলা হয় কোনো টিকিট নেই। এরপর কিছুক্ষণ ঘোরাফেরার পর রুমেল নামের এক দালাল তাদের নিয়ে যান স্টেশনের ৩য় তলায় বুকিং সহকারী সুজন মিয়ার রুমে। সেকান থেকে সিলেট-ঢাকা রুটের ট্রেনের ৩৫০ টাকা মূল্যে ৪টি টিকিট কিনেন র্যাব সদস্য। এ সময় তার কাছ থেকে ২৪০০ টাকা নেন সুজন ও রুমেল। এরপর বিকেলে স্বরূপে রেল স্টেশনে আবিভূর্ত হয় র্যাব-৯। আটক করা হয় রুমেল ও সুজন মিয়াকে। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন দীর্ঘদিন যাবৎ তারা এ কাজে লিপ্ত রয়েছেন। সরকারী কর্মচারী হওয়ায় সুজন মিয়াকে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে র্যাব। আর রুমেলকে আটক করে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
কালোবাজারে টিকিট বিক্রির দায়ে সিলেট রেল স্টেশনের বুকিং সহকারী সুজন মিয়াকে বুধবার রাতেই বহিস্কার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্টেশন ম্যানেজার নুরুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
র্যাব-৯ এর টুআইসি মেজর আরাফত আলী খান বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করেছি। তার সাথে রেলের এক বুকিং সহকারীও জড়িত। দীর্ঘদিন থেকে তারা কালোবাজারে মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করে আসছিলো। জ্ঝিাসাবাদ শেষে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হবে। টিকিট কালোবাজারি রোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
রেলওয়ে থানার ওসি আলিম হোসেন শিকদার পিপিএম বলেন, আমি শুনেছি দুজনকে আটক করা হয়েছে। বুকিং সহকারী সুজন মিয়াকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমাদের কাছে এখনো আসামিকে হস্তান্তর করা হয়নি।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd