চাঁদপুরের দুটি গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর

প্রকাশিত: ২:৪২ অপরাহ্ণ, মে ১, ২০২২

চাঁদপুরের দুটি গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর

Manual2 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : আফগানিস্তান, নাইজার ও মালিতে চাঁদ দেখা যাওয়ায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা ও শমেসপুর গ্রামের কিছু অংশের মানুষ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন।

Manual8 Ad Code

সরেজমিনে রোববার (১ মে) হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফ মাদরাসা মাঠে গেলে দেখা যায়, সাদ্রা হামীদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের জন্য মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন।

এ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানান সাদ্রা দরবার শরিফের পীর মুফতি আল্লামা যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী। তিনি জামাতে ইমামতি করবেন।

এদিকে গত বছরের মতো এবারও বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগাম ঈদ উদযাপনকারীদের মধ্যেই দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তাদের মধ্যে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে সাদ্রা দরবারের বড় পীরজাদা পীর ড. মুফতি বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, হানাফি, মালেকি ও হাম্বলি— এ তিন মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তেও যদি চাঁদ দেখা যায় আর সে সংবাদ যদি নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তেও পৌঁছায়, তাহলে পূর্ব প্রান্তের মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা ফরজ এবং ঈদ করা ওয়াজিব।

তিনি আরও বলেন, শনিবার আফগানিস্তান, নাইজার ও মালিতে চাঁদ দেখে গেছে। ওই সংবাদ নির্ভরযোগ্য ভিত্তিতে প্রাপ্ত হয়ে আজ আমরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি। পাশাপাশি ঢাকার সদরঘাটস্থ খানকা, আসকোনা এবং পটুয়াখালীর বদরপুর দরবার শরিফে ঈদের জামাত হয়েছে। চাঁদ দেখার বিষয়টি যথাসময়ে পৌঁছে দিতে না পারায় অনেক গ্রামে ঈদ উদযাপন হয়নি। তারা পরবর্তীতে ঈদ উদযাপন করবে।

তবে সাদ্রা দরবার শরিফের আরেক পীর মো. আরিফ চৌধুরী বলেন, আমরা ঈদ করছি না। আমার চাচারা ঈদ উদযাপন করলেও আমাদের কাছে তা গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না। আমরা সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করব।

স্থানীয়রা জানান, সরা দেশে যখন পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়, তখন সাদ্রা ও শমেসপুর গ্রামে এক দিন আগে থেকে রোজা পালন শুরু হয়েছে। আজ রোববার যখন এ দুটি গ্রামের একটি অংশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে, তারা পালন করেছে ২৯ রোজা। আর বাকি অংশ যখন সোমবার ঈদ উদযাপন করবে, তাদের পালন করা হবে ৩০ রোজা।

Manual5 Ad Code

উল্লেখ্য, আরব দেশগুলোর সঙ্গে সংগতি রেখে প্রতিবছর চাঁদপুরের তিনটি উপজেলার ৪০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা ৯৩ বছর ধরেই প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে সাদ্রাসহ ৪০টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করে থাকে।

সাদ্রা ছাড়াও এক দিন আগে ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হলো হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বড়কুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।

Manual7 Ad Code

এ ছাড়া চাঁদপুরের পাশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে বিশ্বমুফতি আল্লামা মাওলানা ইছহাক চৌধুরীর অনুসারীরা এক দিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।

Manual1 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

May 2022
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..