রাতারগুলে গড়ে তোলেছে চাঁদাবাজদের ত্রাসের রাজত্ব : ফখরের খুঁটির জোর কোথায়?

প্রকাশিত: ১২:৩৯ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৫, ২০২১

রাতারগুলে গড়ে তোলেছে চাঁদাবাজদের ত্রাসের রাজত্ব : ফখরের খুঁটির জোর কোথায়?

Manual6 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক :: দেশের একমাত্র জলারবন রাতারগুলে পর্যটকবাহী নৌকা থেকে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদ করেছেন রাতারগুল গ্রামের মাঝিরা। তাদের দাবি, স্থানীয় ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিনকে চাঁদা না দেওয়ায় মাঝিদের জড়িয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নামে টাকা তুলে চাঁদাবাজির অপপ্রচার করছেন। এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। মূলত ফখর উদ্দিন তার ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এমন মিথ্যে অভিযোগ তুলেছেন।

সোমবার (৪ অক্টোবর) বেলা আড়াইটায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন রাতারগুল গ্রামের মাঝিরা। সংবাদ সম্মেলনে মাঝিদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য রাখেন মাঝি মিনহাজ উদ্দিন। মিনহাজ উদ্দিন বলেন, সম্প্রতি ফখর উদ্দিন রাতারগুল ঘাটে পর্যটকবাহী নৌকা থেকে প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করলে আমরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করি। এরপর ফখর ও তার লোকজন বাগবাড়ি ও রামনগর গ্রামে রাস্তায় রাতারগুলগামী পর্যটকবাহী গাড়ি আটকে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিন, তার লোক আব্দুর রশিদ, আরমান আলী, মনশাদ উদ্দিন, আব্দুল আহাদ, কামরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ মিয়া, আব্দুল ওয়াহিদ, আইযুব আলী, আব্দুল মতিন, আব্দুল মালিক, কয়ছর আহমদ, শরিফ উদ্দিন ও জুবের আহমদ। এ ঘটনায় আমরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের আসামী করে মামলা দায়ের করেছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফখরের লোক বাগবাড়ি গ্রামের আব্দুর রশিদ আমাদের মিথ্যা ও ভিত্তিহীনভাবে অপপ্রচার করছেন। অথচ আব্দুর রশিদ কোনো মাঝি নয়। তিনি ইউপি সদস্য ফখরের ইন্ধনে আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন।

Manual5 Ad Code

তিনি আরও বলেন, নৌকার মাঝিদের কাছ থেকে প্রতি ট্রিপের ৭৫০ টাকা থেকে মাঝিদের মাত্র ২শ’ টাকা দেয়া হয় তাদের এমন অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। ফখর মেম্বারকে চাঁদা না দেওয়ায় তিনি আমাদের মান সম্মানের উপর আঘাত হেনেছেন। এছাড়া সম্প্রতি ফখর তার লোকজন দিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঘাটে আসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করেছেন। আর তার দোষ চাপিয়েছেন আমাদের উপর। এ ঘটনার জন্য রাতারগুল গ্রামের কেউ জড়িত নয়। রাতারগুল ঘাটের নৌকার মাঝি মিনহাজ বলেন, এই জলারবনে তিনটি ঘাট রয়েছে। এর মধ্যে রাতারগুল ঘাটে বর্তমানে ১৩২টি নৌকা চলাচল করে। এর মাধ্যমে ৩শ পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে। করোনার কারণে এমনিতেই পর্যটক কম। আমাদের আয় রোজগারও কম। এই অবস্থায় রামনগর গ্রামের চৌরঙ্গীর ঘাট ছেড়ে আরও ২৬টি নৌকা আমাদের ঘাটে চালানো দাবি তুলেছেন ফখরের লোকজন। অথচ তারা চৌরঙ্গির ঘাটে রাতারগুল গ্রামের কোন মাঝিকে নৌকা চালাতে দেয়না। মূলত ফখরের ঘাটে পর্যটক বাড়াতে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। রাস্তায় গাড়ি আটকিয়ে চাঁদাবাজিও করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। মিনহাজ বলেন, ফখর মেম্বারের চাঁদাবাজির কারণে আমরা অতিষ্ঠ। শুধু আমরা নয়, পর্যটকবাহী গাড়ি আটকে দিয়ে ফখর ও তার লোকজন সিলেটের সম্মান ও ভাবমুর্তিতে আঘাত হেনেছেন। আমরা অবিলম্বে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি। একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে চালানো অপপ্রচারে কেউ বিভ্রান্ত না হওয়ারও আহ্বান জানান।

Manual6 Ad Code

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রাতারগুল গ্রামের সোনা মিয়া, কাদির, বিলাল, খালেদ, দেওয়ানের গাও এলাকার কয়ছর ও ফখরুল ইসলামসহ অনেকে।

Manual3 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

October 2021
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  

সর্বশেষ খবর

………………………..