লোহা গরম করে গৃহ পরিচালিকার গোপনাঙ্গে ছ্যাকা!

প্রকাশিত: ৫:০৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০২০

লোহা গরম করে গৃহ পরিচালিকার গোপনাঙ্গে ছ্যাকা!

Manual4 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: রংপুর নগরীর আদর্শপাড়া এলাকায় গৃহপরিচালিকা ১২ বছরের শিশু আখি মনিকে টাকা চুরির মিথ্যা অভিযোগ এনে লোহা গরম করে গোপনাঙ্গে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাকা দিয়ে গুরতর আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে দন্ত চিকিৎসক দম্পতির বিরুদ্ধে।

শুধু তাই নয় শিশুটির মাকে ডেকে এনে সাদা ষ্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে বিভিন্ন ভয়ভিতী দেখিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় এলাকাবাসি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে দেয়।

Manual7 Ad Code

এদিকে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটির অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হবার জন্য রেফার্ড করলেও হাসপাতালের জরুরী বিভাগে শিশুটিকে ভর্তি না করে হাসপাতাল থেকে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে আবারো শিশুটিকে নিয়ে তার মা নিজের বাড়ি কিশোরগঞ্জে চলে গেছে। এতবড় নির্মম ঘটনা ঘটলেও রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের কোতয়ালী থানা কিছুই জানেনা বলে জানিয়েছে।

এলাকাবাসি স্বজন ও কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর গ্রামের তালিকাভুক্ত ভিক্ষুক মৃত বাছেদ আলী ফকিরের মেয়ে আঁখিমনি। আঁখিমনির মা শিরিনা খাতুন জানায়, প্রতিবেশী ডালিম চন্দ্র রায় নামের এক ব্যাক্তির মাধ্যমে তার মেয়ে দুই বছর থেকে গৃহকর্মীর কাজ করতো রংপুর নগরীর আর্দশপাড়া মহল্লার দন্ত চিকিৎসক কান্তা বেগম এবং রেজাউল বারী দম্পতির বাসায়।

গত ২৮ নভেম্বর শনিবার ডালিম চন্দ্র রায় শিশু আখিমনির মা শিরিনা বেগমকে নিয়ে রংপুরের দন্ত চিকিৎসক কান্তা বেগমের বাসায় যায় । সেখানে গেলে তারা জানায় আমার মেয়ে টাকা চুরি করেছে। তাই তারা তাকে আর বাসায় রাখবেনা। এ সময় তার মেয়ে সেখানে বলে সে টাকা চুরি করেনি। তবুও বাড়ির লোকজন তাকে শারীরিক নির্যাতন ও গোপনাঙ্গে গরম ছ্যাকা দিয়েছে। এ অবস্থায় ওই দন্ত চিকিৎসক কান্তা বেগম ও তাঁর স্বামী রেজাউল বারী ৩শ টাকার একটি সাদা স্ট্যাম্পে আমার স্বাক্ষর নিয়ে মেয়েকে আমার হাতে তুলে দেয়। আমি মেয়েকে নিয়ে গ্রামে ফিরে আসি। এখানে এসে মেয়ের শারিরিক অবস্থা খারাপ দেখতে পেয়ে গ্রামবাসীকে ডেকে বিস্তারিত জানাই।

Manual1 Ad Code

গ্রামের নুরউদ্দিন আলী জানান, বিষয়টি জানার পর এলাকাবাসি আমরা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানায় । এরপর কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ এসে শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

ওই হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাঃ সাবির হোসেন সরকার জানান, শিশুটির সারা শরীরে ও তার গোপনাঙ্গে মারাত্মক ক্ষত হয়েছে । সে কারনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিলম্ব না করে শিশুটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

Manual3 Ad Code

এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে দন্ত চিকিৎসক কান্তা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মেয়েটি টাকা চুরি করেছে। ওর মাকে ডেকে আনলে মেয়েটির মা তাকে মেরেছে আমরা মারিনি বা নির্যাতন করিনি।

তবে নির্যাতনের শিকার আখিমনি কান্না বিজরিত কন্ঠে সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, ওই দাঁতের ডাক্তার, ডাক্তারের স্বামী রেজাউল বারী, তার মা খালেদা বেগম তাকে নির্যাতন করে ও প্রোসাবের স্থানে গরম ছ্যাকা দেয়।

Manual2 Ad Code

এদিকে সোমবার বিকেলে গুরতর অসুস্থ শিশু আখিমনিকে নিয়ে তার মা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি হবার জন্য গেলে তাদের ভর্তি না করে উল্টো নানান ধরনের হুমকি দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়।

এদিকে গৃহপরিচালিকা শিশুকে অমানুষিক নির্যাতনের বিষয়টি জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়। গনমাধ্যম কর্মীরা হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে ঘুরে তাদের কোন সন্ধান না পাওয়ায় কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে শিশুটির মায়ের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হতে গিয়ে তার মেয়েকে ভর্তি করাতে পারেননি। উল্টো তাদের হাসপাতাল থেকে জোর করে বের করে দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মফিজুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আখি মনি মেয়েটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। যেহেতু ঘটনা স্থল রংপুর নগরীর আদর্শপাড়া মহল্লায় এবং ওই এলাকাটি রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের অধিন সে কারনে এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।

সার্বিক বিষয় জানতে রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের কোতয়ালী থানার ওসি তদন্ত রাজিবুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তারা বিষয়টি জানেন না। পরে খবর পেয়ে তারা ভিকটিমের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে মামলা নেবেন সেই সাথে দায়িদের গ্রেফতার করার পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2020
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..