সিলেট ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৩২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : দক্ষিণ সুরমার কদমতলী ইয়াসিন প্লাজার প্যারাগন ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন এন্ড ইকুইপমেন্ট ও মমতাজ কর্পোরেশনের ম্যানেজার বিপ্লব চন্দ্র দাশ সাড়ে ১১ লাখ টাকা, মুল্যবান কাগজাদি, ব্যাংকের চেক নিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের স্বত্বাধিকারী জুবায়ের আহমদ বাদী হয়ে ২২ সেপ্টেম্বর এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার সত্যতা পেয়ে পুলিশ মামলা রেকর্ড করেন। যার নং- ১০ (২২.০৯.২০২০)।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘ ৭ বছর থেকে প্যারাগন ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন এন্ড ইকুইপমেন্ট ও মমতাজ কর্পোরেশনের ম্যানেজার পদে দায়িত্ব পালন করছেন বিপ্লব কুমার দাশ। তিনি নবীগঞ্জ উপজেলার বুরুঙ্গা গ্রামের ভীম লাল দাশের ছেলে।দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি আজমল কমপ্লেক্সের ইউনিট ১৮ (৩য় তলার) ভাড়া থাকতেন।
দীর্ঘদিন থেকে ম্যানেজারের দায়িত্ব করায় বিপ্লব প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের মালিক জুবায়ের আহমদের বিশস্থতা অর্জন করেন। যার ফলে হিসাব নিকাশ, বিভিন্ন পার্টিকে টাকা প্রদান ও ইয়ার্ডের যাবতীয় খরচ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্পাদন করতেন বিপ্লব। সে সুবাদে বিপ্লব চন্দ্র দাশকে বিভিন্ন চেক ডিজঅনার মামলার বাদী করেন জুবায়ের আহমদ। উক্ত মামলাগুলো বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন আছে। যাহার নং-সদর সি,আর মামলা নং-৩২৪/২৫, ধারা নিগোসিয়েবল ইনস্টমেন্ট এ্যাক্ট, যার ব্যাংক এশিয়া চেক নং-৩২৪৬৪০১, তাং- ১০/১১/১৯ টাকার পরিমাণ-সাড়ে ১২ লাখ এবং চেক নং-৩২৪৬৪০২ তাং ২৯/১১/২০১৯ টাকার পরিমাণ- ১৩ লাখ।
বিপ্লব চন্দ্র দাসকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ইয়ার্ডের খরচের জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা (যার ব্যাংক এশিয়ার চেক নং- ঈউ৪২৩৪২৩৬) প্রদান করেন। উক্ত ইয়ার্ডের যন্ত্রপাতি বাবত খরচ না করে বিপ্লব টাকা নিজের পকেটস্থ করে নেন। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় এক লাখ টাকা (ব্যাংক এশিয়ার চেক নং- ঈউ৪২৩৪২৩৯) ও দেড় লক্ষ টাকা (ব্যাংক এশিয়ার চেক নং- ঈউ ৪২৩৪২৩৮) উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এরপর আর ইয়ার্ড অফিসে ফিরেননি বিপ্লব।
বাদি অফিসে গিয়ে দেখতে পারেন-অফিসে রক্ষিত বিভিন্ন মামলার চেক যার মধ্যে-সদর সিআর মামলা নং-৭১৭/১৮, যার দায়রা মামলা নং-১৪৯/১৯ সংক্রান্ত পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের চেক নং-৪৭২৭৩৯৬৬ তাং-১০/০১/২০১৮ টাকার পরিমাণ- ৩০ লাখ টাকা, প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন গ্রাহকের আনুমানিক ৯০/৯৫ টি বিভিন্ন অংকের চেক ও গ্রাহক লেজার বুক ৫/৬টি দিয়ে আত্মগোপন করেন বিপ্লব।
এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মচারীর সাথে সম্পাদিত চুক্তিপত্র ৩০/৩৫টি এবং আমার প্রতিষ্ঠানের নামে ইষ্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের আমার স্বাক্ষর, টাকার অংক ও তারিখ বিহীন শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের সিলযুক্ত একখানা চেক, যাহার নম্বর- ঈঅ০১৭৭৬৫৭, ২টি মোটরসাইকেলের মূল কাগজ যাহার রেজিঃ নং- সিলেট-হ-১৪-৮৬০৭ ও সিলেট-এ-০২-১১০৩সহ প্রতিষ্ঠানের আমদানীকৃত বিভিন্ন ইকুপমেন্টের এলসির মূল ডকুমেন্ট নিয়ে যান।
আমার প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে মোট সাড়ে ১১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে ও বিভিন্ন চেকডিজওনার মামলার বাদী হিসেবে মামলার মূল্যবান চেক সমূহ ও কাগজপত্রাদি নিয়ে পালিয়ে যান। এরপর তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ও তার সাথে থাকা আমাদের অফিসের নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তার বাসায় গিয়েও জানতে পারি স্ত্রী নিয়ে বিপ্লব চলে গেছে। এ ঘটনায় আর কোন উপায়ান্তর না পেয়ে মামলা দায়ের করেন জুবায়ের আহমদ।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd