সিলেট ২৮শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৫১ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৩, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : হবিগঞ্জের বাহুবলে প্রেমিক ফয়সল মিয়াকে দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে ঘটনার মূলহোতা মা ও মেয়ে এখনো পলাতক।
গ্রেফতাররা হলেন- ওই উপজেলার দ্বিমুড়া গ্রামের অভিযুক্ত সালাউদ্দিন ও মঈন উদ্দিন।
সোমবার দুপুরে বাহুবল মডেল থানায় মামলাটি করেন নির্যাতিত যুবকের মা রাবিয়া খাতুন। মামলায় ছেলের প্রেমিকা মাহফুজা আক্তার লিজা ও তার মা জাহানারা আক্তার লিপিসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউপির দ্বিমুড়া গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আব্দুল হাইয়ের মেয়ে লিজা আক্তারের সঙ্গে ফয়সলের প্রেম চলছিল। তারা দুজন একই কলেজে পড়েন। কিছুদিন আগে লিজা তাদের সম্পর্কের কথা মাকে জানান এবং ফয়সলকে পরিচয় করিয়ে দেন। একপর্যায়ে লিজার কথায় প্রেমিককে বাড়িতে দাওয়াত করেন মা লিপি বেগম।
এরই প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে প্রেমিকার বাড়িতে যান ফয়সল। এরপর প্রেমিকার পরিবারের লোকজন ফয়সলের হাত-পা খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে ডাকাত বলে পুলিশে খবর দেয়। পরে ফয়সলকে উদ্ধার করে নিজ পরিবারের জিম্মায় দেয় পুলিশ। গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা।
এরই মধ্যে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, প্রথমে ফয়সলের মাথার পাগড়ি দিয়ে হাত-পা বাঁধা হয়। পরে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন করেন প্রেমিকা লিজার বাড়ির লোকজন। এ সময় তিনি বাঁচার জন্য আকুতি-মিনতি করছেন। এরপরও চালানো হয় বর্বর নির্যাতন।
ফয়সলের বাবা আহসান উল্ল্যা বলেন, আমার ছেলেকে মোবাইলে খবর দিয়ে বাড়িতে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। বর্তমানে সে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। কাউকে চিনতে পারছে না।
বাহুবল মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আলমগীর কবীর বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করা হয়। মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd