সিলেট ৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় গৃহবধু ফাতেমার মৃত্যু নিয়ে নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। শশুর বাড়ির লোকজনের দাবী সে আত্মহত্যা করেছে।
অন্যদিকে তার বাবার বাড়ির লোকজন বলছেন, যৌতুকের জন্যেই তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ গ্রামের বাড়ি নিয়ে গেলে সেখানে তাকে দাফন করতে দেয়নি গ্রামবাসি। গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁধার মুখে সিলেট মানিকপীর টিলায় তাকে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ফাতেমা উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের শেখেরগাঁও গ্রামের জামিল আহমদের স্ত্রী। গেল ২ জুলাই দুপুরে বসতঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় তার নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন ৩ জুলাই শুক্রবার তার লাশ গ্রামে নিয়ে গেলে দাফনে আপত্তি জানায় গ্রামবাসি। তাদের বাঁধার মুখে ওইদিন রাত ৮টায় সিলেট মানিকপীর টিলায় তাকে দাফন করা হয়। ফাতেমার স্বামীর দাবী, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। কি কারণে এমনটি করলো তা জানেন না তিনি।
ফাতেমার বড় ভাই রুবেল আহমদের অভিযোগ, যৌতুক লোভী ওই পরিবার পরিকল্পিত ভাবে আমার বোনকে হত্যা করে আত্মহত্যার মঞ্চস্থ করেছে। এর আগেও আমার বোনকে তারা হত্যার উদ্দেশ্যে চাউলের ড্রামের ভিতরে লুকিয়ে রেখেছিল। আল্লাহর হুকুমে আমার বোন রক্ষা পায়। ফাতেমার মা জানান, আমার মেয়েকে হত্যার পর লাশ লুকিয়ে মানিকপীর টিলায় দাফন করা হয়েছে। অথচ আমাদেরকে জানানো হয়নি। আমি তাদের অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত দিয়েছি আমরা এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে জামিলের সাথে বিয়ে হয় রামপাশা ইউনিয়নের আনরপুর গ্রামের ইলিয়াস আলীর মেয়ে ফাতেমার। বিয়ের পর থেকে কলহ লেগেই ছিল তাদের সংসারে। একাধিক বার এনিয়ে সালিশ বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। ফাতেমার স্বামীর পরিবার যৌতুকের জন্যই তাকে নির্যাতন করতো। এক পর্যায়ে ফাতেমার শশুর তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিলে সে আর ওই সংসারে থাকতে অপারগতা প্রকাশ করে। সালিশ বৈঠকে সে বিষয়টি উপস্থাপন করলে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন মুরুব্বিরা। কিন্তু বৈঠকের পর কৌশলে জামিল তার স্ত্রী ফাতেমাকে ফুসলিয়ে নিজের বাড়ি নিয়ে যায়। এর কিছুদিন পরই এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইন-চার্জ শামীম মুসা বলেন, গৃহবধু ফাতেমার পরিবার একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে। তদন্তে হত্যার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd