গোয়াইনঘাটে অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্টে দিন কাটছে চাকুরী প্রার্থীদের

প্রকাশিত: ৫:০৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২০

গোয়াইনঘাটে অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্টে দিন কাটছে চাকুরী প্রার্থীদের

Manual5 Ad Code

সৈয়দ হেলাল আহমদ বাদশা :: দেশের বৃহত্তর একটি জনগোষ্ঠী শিক্ষিত বেকার চাকুরিপ্রার্থীরা। সেই মোতাবেক গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রায় ২0,000 হাজার চাকুরিপ্রার্থীরা আছেন দুশ্চিন্তায় কাটাচ্ছেন মানবেতর জীবনযাপন। পৃথিবীতে সবচাইতে কঠিন কাজ হচ্ছে বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ। এই রকম হাজারো শিক্ষিত বেকারের জীবন্ত লাশের বোঝা বহন করে চলেছেন বাবারা অথবা পরিবার প্রধানরা। কর্মহীন জীবন সাদা কাফনে মোড়ানো জীবন্ত একটা লাশ। শুধু লাশ নয় এমনকি পরিবারের বোঝা অনেকের মানসিক চাপ। এই চাপে শুধু শিক্ষিত বেকার নয়, থাকেন পরিবারের সকল সদস্যরা।

Manual5 Ad Code

করোনাভাইরাসের কারণে গত মার্চ থেকে এ পর্যন্ত সব ধরনের সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি বন্ধ আছে। এই সময়ে অনেকের চাকরিতে আবেদনের বয়স শেষ হয়ে গেছে। তাঁরা চাইছেন দেশের এই বিশেষ সময়ের কথা বিবেচনা করে ভবিষ্যতে যেসব চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে, সেখানে যেন তাঁদের আবেদনে বয়সের শর্ত শিথিল করা হয়। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলছে, তারা এই বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।

Manual5 Ad Code

চাকুরি প্রার্থীরা এ নিয়ে আছেন মহাসংকটে দুশ্চিন্তা আর টেনসনে। পরিশেষে সরকার এ নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নিতে পারে, অপেক্ষায় থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।

Manual2 Ad Code

রুস্তমপুর ইউ/পির একজন চাকুরী প্রার্থী তিনি বিভিন্ন চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গত ২১ মে তাঁর সরকারি চাকরিতে আবেদনের শেষ দিন ছিল। ওই দিন তাঁর বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে। সরকারি চাকরির নিয়ম অনুসারে তিনি আর নতুন কোনো চাকরিতে আবেদন করতে পারবেন না।

তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম আমার চাকরিতে আবেদনের বয়স শেষ হওয়ার আগে কয়েকটি চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পাবে। সেখানে আমি আবেদন করতে পারব। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে গত কয়েক মাসে সব বন্ধ থাকায় কোনো সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি। তাই নতুন কোনো চাকরিতে আবেদন করতে পারলাম না। সরকার যদি আমাদের কথা ভেবে এখন নতুন চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় এই কয়েক মাস আমলে নিয়ে নিয়োগে আবেদনের সময় পিছিয়ে দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, তাহলে যাঁদের আবেদনের বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাঁদের উপকার হতো। আমি মনে করি সরকার সমস্যার বিষয়টি বুঝতে পারবে।’

গোয়াইনঘাট উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের স্নাতকত্তোর চাকরিপ্রার্থীদের কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তারা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলেন, প্রাইভেট টিউশনি করে পার্ট টাইম জব করে অথবা কোচিং সেন্টারে টিচিং করে চলতো আমাদের জীবন। অনেক সময় এই টাকা থেকে পরিবারের প্রয়োজনও কাজেও লাগানো যেতো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা চাকরির আবেদনের জন্য এইসব টাকা ব্যয় করি। তাতে করে পরিবারের চাপ অনেকটা লাঘব হতো। অনেক সময় আমাদের খরচ করার জন্য পকেটে একটি টাকাও থাকে না, তখন আমরা ধারদেনা করে নেই। করোনাভাইরাস মহামারীতে আমরা এমন বিপর্যয়ে আছি যা কারো বোধগম্য নয়।

Manual1 Ad Code

আলীর গাঁও ইউ/পির একজন বলেন, ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা ছিল। ইচ্ছা ছিল রাজনীতি করবেন, কিন্তু রাজনৈতিক মারপ্যাঁচে নতুন কমিটিতে কোনো স্থান পাননি তিনি। তাই অনেকটা ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও এখন চাকরির যুদ্ধে নেমেছেন। নন্দীর গাঁও ইউ/পির সদর উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সরকারি চাকরি পাওয়া সোনার হরিণ পাওয়ার চেয়েও দুর্লভ বস্তুতে রূপান্তরিত হয়েছে।বর্তমান সময়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৎস্য ও প্রানী সম্পদ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ পরিসংখান রুরোতে আবেদনের কিছুটা সুযোগ হয়েছে যা খুবই অল্পসংখ্যক চাকুরি প্রার্থীরা সুযোগ পাবে।দেশের রৃহত্তর বেকার চাকুরি প্রার্থীদের কথা বিবেচনা করে সরকার চাকুরি প্রার্থীদের বয়স সীমা নিয়ে ভাববে ও শীতিল ব্যবস্হা গ্রহন করবে বলে তারা আশাবাদী।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..