সিলেট ২০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৪৯ অপরাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২০
মুমিন রশিদ, কানাইঘাট :: কানাইঘাট উপজেলায় সুদি দাদন ব্যবসা জমজমাট আকার ধারন করেছে। নামে বেনামে দাদন ব্যবসায়ীরা তাদের লাভজনক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে অনেকে সর্বশান্ত হচ্ছেন। দাদন ব্যবসীদের খপ্পরে পড়ে অনেকে হাজতবাস খাটা সহ নানা ভাবে হয়রানীর স্বীকার হচ্ছেন।
এধরনের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে ভূক্তভোগীদের কাছ থেকে। তারা জানান রাজশাহী জেলার ছারঘাট থানার বাসিন্দা দীর্ঘদিন ধরে কানাইঘাটে পরিবার নিয়ে বসবাসরত আনিছুর রহমান এক সময় কানাইঘাট টিএমএস অফিসে চাকরি করতেন। সেখান থেকে অনুমানিক ৮/১০ বছর পূর্বে চাকরি ছেড়ে দিয়ে আনিছুর রহমান সরকারী কোন ধরনের অনুমতি না নিয়ে নিজে অধিক মুনাফা লাভের আশায় সুদি ব্যবসায় নেমে পড়েন। কানাইঘাট বাজার, গাছবাড়ী বাজার সহ বিভিন্ন হাট-বাজারে ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ীদের তিনি লোন দিতে শুরু করেন। ৯০ দিনের জন্য ১ লক্ষ টাকা ব্যবসায়ীদের লোন দিয়ে তিনি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিন ১২’শ টাকা করে ৩ মাসে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা আদায় করেন। টাকা প্রদানের সময় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অগ্রিম ব্লাঙ্কচেক সহ সাদা কার্টিজ পেপার নেন সুদি ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান। প্রতিদিন কিস্তি প্রদান না করা হলে তিনি মামলার ভয় দেখিয়ে হয়রানী করেন বলে তার কাছ থেকে সুদে লোন নেওয়া কানাইঘাট বাজারের মাংস ব্যবসায়ী শামীম আহমদ, বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আফতাব, সবজি ব্যবসায়ী নজির আহমদ সহ অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। করোনা দূর্যোগের সময় আনিছুর রহমান কিস্তি জোর পূর্বক ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আদায় করছেন। ১ লক্ষ টাকার লোন দিয়ে ৩ মাসে ৩০ হাজার টাকা জ্যামিতিক হারে সুদ নেন আনিছুর রহমান বলে তারা জানান।
ভোক্ত ভোগীরা বলেন, সুদি ব্যবসা করে আনিছুল রহমান পৌরসভার রায়গড় গ্রামে নিজস্ব বাড়ী করেছেন এবং জমিজমা কিনেছেন।
এব্যাপারে আনিছুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ঋন প্রদানে সরকারী কোন ধরনের অনুমতি তার নেই। নিজ ইচ্ছায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋন দিয়ে থাকেন। তিনি স্বীকার করে আরো বলেন অনেকের কাছ থেকে তিনি টাকা নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋন দেন। নিয়ম-কানুন মেনে তার কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা ঋন নেন এবং কিস্তি আদায় করে থাকেন।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd