হাকারের লোক দিয়ে মেয়র আরিফের বেটাগিরি

প্রকাশিত: ১০:৪৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০১৯

হাকারের লোক দিয়ে মেয়র আরিফের বেটাগিরি

Manual6 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী হাকার ছাড়া অচল বলে মনে করেছেন নগরীর সচেতন মহল। তিনি লোক দেখানোর জন্য নগরীর ফুটপাতে অভিযান চালান তা বাস্তবে নয়। তিনি শনিবার (২৩ নভেম্বর) জেলা ও মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে মিছিল সহকারে যোগদান করেন। এই মিছিলে দেখা যাচ্ছে তিনি ছাড়া বাকি সকল লোকজন হচ্ছেন হাকারের। এই লোকজন জুড়ো কারাচ্ছেন মহানগর হকার্সদল সভাপতি আব্দুল আহাদ, সহ-সভাপতি নূর ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ইসরাত জাহান খোকন। তাদের ফাঁয়দা হচ্ছে মিছিল মিটিংয়ে হাকারদের নিয়ে উপস্থিত করে মেয়রের খাছ লোক পরিচয় দিয়ে ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজি করা। কোন হাকার মিছিলে না গেলে তার দোকান নিয়ে যায় নেতারা। এরপর তাকে ফুটপাতে তার কোন বসার স্থান দেওয়া হয়নি।

জানা গেছে- জানা গেছে, সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নিজস্ব লোক হাওয়ার কারণে এই তিন নেতা নিয়মিত ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। মেয়রের কোন অনুষ্টান হলেই এই তিন নেতার মাধমে অনুষ্টান সফলের লক্ষে হকারদের জুড়ো কারনো হয়। যার ফলে সিসিক মেয়রের কাছ থেকে অবৈধ সুবিদা হিসাবে নগরীর বিভিন্ন স্থানে হকার বসিয়ে বেপরোয়াভাবে চাঁদা আদায় করছে তারা। নেতাদের রয়েছে নির্ধারিত লাইনম্যান আর এদের দ্বারা তারা নিয়মিত মেয়রের কথা বলে চাঁদা আদায় করেন।

Manual5 Ad Code

সহ-সভাপতি নূর ইসলাম প্রতিদিন নগর ভবনে ফল বিতরণ করেন। বিদায় এই নেতার হাতে হাকারের রাজত্ব। দূর্গা কুমার স্কুলের ভিতরে নূর ইসলামের টর্চার সেল। এখানে হকারদের নিয়ে মারধর করেন। এমনকি তিনি প্রতিনিয়ত এই স্কুলের ভিতর আড্ডা দেন। কিন্তু নিরব স্কুল কর্তৃপক্ষ।

মিছিলে যোগদান করা এক হকারের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, সিসিক মেয়রের যে কোন প্রোগ্রাম হলেই যেতে হয়। না গেলে নূর ইসলাম তার টর্চার সেলে নিয়ে মারধর করে, এবং হাকার থেকে দোকান নিয়ে যায়। দৈনিক হকার নেতা আব্দুল আহাদ, নূর ইসলাম ও ইসরাত জাহান খোকনের তাদের লাইম্যান দিয়ে এই অসহায় হকারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় কারায়। যদি কোন হকার তাদের চাঁদা পরিশোধ না করে তাহলে সিসিকের মাধমে অভিযান দিয়ে ভ্যানগাড়িসহ সকল মালামাল নিয়ে যায়।

Manual3 Ad Code

সম্প্রতি চাঁদা না দেওয়ায় অভিযান দিয়ে প্রায় চল্লিশটি গাড়ি নিয়ে যায় সিসিকের লোক সায়মন। তাদের বেচে থাকা একমাত্র অবলম্বন ভ্যান গাড়ি হারিয়ে এখন পরিবার নিয়ে অসহায়। নেতাদের নিজ নিজ এলাকা ভাগ করা আছে। এই তিন নেতার দখলে হচ্ছে নগরীর করিমুল্লা মার্কেট থেকে জিন্দাবাজার পর্যন্ত। যার ফলে এই সকল এলাকায় হাকার বহাল তবিয়তে। ফুটপাতে ফলের দোকান থেকে নূর ইসলাম তিনি নিজে ২৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করেন।

Manual8 Ad Code

হাকারের এই তিন নেতার সম্পর্ক সরাসরি মেয়রের সাথে। তারা মেয়রের কথা বলে দোকান থেকে প্রকাশ্যে এই চাঁদা আদায় করেন। বাকিরা পুলিশের ও সিসিক কর্মচারীদের সাথে এরা প্রতিদিন রাতে টাকার হিসাব বুঝিয়ে দিতে হয়।

Manual7 Ad Code

এদের কবল থেকে এই ক্ষুদ্র অসহায় হকারদের রক্ষা করতে সরকার ও প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন নগরীর সচেতন মহল।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2019
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  

সর্বশেষ খবর

………………………..