সিলেট ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:০১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯
গোয়াইনঘাটে নিখোঁজের তিনদিন পর গোয়াইন নদী থেকে আব্দুল হক নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আব্দুল হক উপজেলার আলীরগাঁও ইউনিয়নের পূর্ণা নগর গ্রামের কুদরত উল্লাহর ছেলে। সোমবার দুপুরে উপজেলার গোয়াইন নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনাটি হত্যাকান্ড বলে দাবী করা হলেও প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে পুলিশ। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে আব্দুল হক বাড়ির পাশে গোয়াইন নদীর বল্লারডর এলাকায় মাছ ধরতে যান। এর প্রায় ঘন্টাখানেক পর সে তার বড় ভাই আব্দুল আহাদের মোবাইলে ফোন দিয়ে বলেন যে, ভাই আমাকে কারা যেন মারতে আসছে। একথা বলার পরপরই তার ফোনের লাইনটি কেটে যায়। বিষয়টি শুনারপর আব্দুল আহাদ লোকজন নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন নৌকার মধ্যে শুধু তার ভাই আব্দুল হকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও গায়ের শার্ট পড়ে আছে। কিন্তু আব্দুল হক নেই।এরপর থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান পায়নি পরিবার। নিখোঁজের পরদিন শনিবার তার ভাই আব্দুল আহাদ এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সোমবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয়রা গোয়াইন নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে থানা পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন। উদ্ধারের পর লাশটি আব্দুল হকের বলে সনাক্ত করেন তার বড় ভাই আব্দুল আহাদ। পরে মরদেহটির ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় যুবকের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ওসি মো. আব্দুল আহাদ বলেন, যতটুকু জেনেছি নিহত আব্দুল হক বেশকিছু টাকা দেনা ছিলেন। হয়তো সেই ঋণের টাকার চাপে পড়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে সঠিক বিষয়টি জানা যাবে। তবে নিহতের পরিবারের দাবীর প্রেক্ষিতে এ ঘটনায় থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd