সিলেট ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯
কোম্পানীগঞ্জের আলোচিত পাথর কোয়ারী শাহ আরফিন টিলায় পুলিশের একটি অভিযান নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। টাস্কফোর্স গঠন ছাড়া অভিযান করায় এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এমনকি অভিযানকালে বোমা মেশিন রেখে সেচ মেশিন ধবংস করা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন স্থানীয়রা। অনেকেই অভিযানকে আইনের পরিপন্থি বা অনিয়মতান্ত্রিক দাবি করেছেন। এমনকি পুলিশ প্রশাসনও অভিযান সম্পর্কে ভিন্ন কথা বলেছেন।
অভিযানের নাম করে ২০০ ফুট পাইপ জ্বালিয়ে দেয় ও ১টি সেচ মেশিন ভাংচুর করে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ। পুলিশের এমন কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তারা জানিয়েছেন, টাস্কফোর্সের অভিযান বা আদালতের নির্দেশ ছাড়া পুলিশ কোন ধবংসযজ্ঞ করতে পারেনা। এছাড়া অভিযানকালে একটি অস্থায়ী ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি ও শ্রমিকদের খাবার খাওয়ারও অভিযোগ উঠে অভিযানকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে থানা পুলিশের ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি তাজুল ইসলাম ভাংচুর বিষয়ে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে পাইপ ভাংচুর ও জ্বালানোর কথা স্বীকার করেছেন।
কিন্তু ওসি তদন্ত মো. রজিউল্লাহ খান কোন ধরণের মেশিন বা পাইপ ভাংচুর ও জ্বালানো হয়নি বলে প্রথমে দাবি করেন। তিনি বলেন, পুলিশ অভিযানে যাওয়ার আগেই বোমা মেশিন মালিকরা মেশিন তুলে নেয়। আমরা চতুর্দিক ঘুরাফেরা করে চলে আসি। সেচ মেশিন ও পাইপ ভাংচুরের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমাদের আরেকটি টিম অভিযান চালিয়েছে। তারা হয়তো সেচ মেশিন ভাংচুর ও পাইপ জ্বালিয়েছে। টাস্কফোর্স গঠন ছাড়া অভিযান চালিয়ে কোন কিছু ভাংচুর অথবা জ্বালানো কতটুকু বৈধ- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।
জানা যায়- রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি তাজুল ইসলামের নির্দেশে রিজার্ভ ফোর্স নিয়ে পুলিশের দুটি টিম শাহ আরফিন টিলায় অভিযান চালায়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন ওসি তদন্ত মো. রজিউল্লাহ খান ও সেকেন্ড অফিসার (অপস অফিসার) এসআই খায়রুল বাশার। অভিযানে গিয়ে রিজার্ভ পুলিশের বিরুদ্ধে ১০/১২জন পাথর শ্রমিকদের ভাত ও আলু ভর্তা খেয়ে নেয়া ও চা দোকানদার নাজমুলের দোকানে পাউরুটি, কলা, পান ও চা খেয়ে তার ক্যাশ থেকে নগদ ১২৫ টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠে। অভিযান চালিয়ে পুলিশের দুটি টিম শাহ আরফিনে ১টি সেচ মেশিন ভাংচুর ও প্রায় ২০০ ফুট পাইপ জ্বালিয়ে দেন।
এদিকে টাস্কফোর্স গঠন না করে অভিযান চালিয়ে শাহ আরফিনে পুলিশের তান্ডবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা বলছেন- পুলিশ অন্য কারো ব্যক্তিগত আক্রোশ বাস্তবায়ন করতেই অভিযানের নামে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ভাংচুর ও জ্বালাও পোড়াও ঘটনা ঘটিয়েছে। নতুবা পাশে থাকা বোমা মেশিন রেখে সেচ মেশিন কেন ভাংচুর করবে থানা পুলিশ? এমন প্রশ্নও ছুড়ে দেন তারা। পুলিশের এমন কার্যকলাপে অসন্তোষ প্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার জানান, পুলিশের অভিযানের ধরণ দেখে মনে হচ্ছে একটি পক্ষের মদদে করা হয়েছে। না হয় বোমা মেশিন রেখে সেচ মেশিন ধবংস করার প্রশ্ন উঠেনা। এছাড়া সব সময় টাস্কফোর্স অভিযান করে। অতি উৎসাহি হয়ে পুলিশের অভিযান নানা কারনে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd