সিলেট ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:২৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০১৯
বাংলাদেশের সার্চ ট্রেন্ড বলছে, চলতি মাসের (আগস্ট) ১৮ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত গুগলে ‘ঢেলে দেই’ শব্দ দুটি সার্চ করেছেন প্রায় শতভাগ বাংলাদেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শব্দ দুটি সবচেয়ে ‘জনপ্রিয়’ ও ‘সমালোচিত’।
ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত এ শব্দ দুটির বক্তা মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরী।
তার বেশ কয়েকটি ওয়াজে দেখা গেছে, হাতে একটি চায়ের কাপ নিয়ে তাতে চুমুক দেন। এরপর বলেন, ‘কেউ কথা কইয়েন না, একটু চা খাব? খাই একটু? আপনারা খাবেন? ঢেলে দেই? (মুচকি হেসে আবারও) ঢেলে দেই? ৃ ‘ভাই পরিবেশটা সুন্দর না? কোনো হইচই আছে? আমি কি কাউকে গালি দিয়েছি? কারোর বিরুদ্ধে বলতেছি? এরপরও সকালে একদল লোক বলবে, তাহেরী বালা (ভালো) না।’
বক্তব্যের মধ্যে অশ্লীল ভঙ্গিও করেন তিনি। সেই সঙ্গে নাচ-গানসহ আরও বিনোদনমূলক কথাবার্তা। ওয়াজের সময় এভাবে বিনোদন দিয়ে বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে তাহেরী।
বি’ষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তাহেরী বললেন ভিন্ন কথা। বলেন, ‘হিংসা-প্রতিহিংসা থেকে অনেকে আমা’র বক্তব্য কাট করে ট্রল করছে’।
গণমাধ্যমকে তাহেরী বলেন, ‘দুই ঘণ্টার বেশি সময় আমি ওয়াজ-নসিয়ত করে থাকি। এর ভেতরে দুই একটি কথা হয়তো আমি মজা করে বলি কিংবা স্লিপ অব টাং হতে পারে। পরিস্থিতি এবং উপস্থিতির কারণে আমি বলতে পারি তাই বলে এটা নিয়ে ট্রল করে প্রচার করা খুবই দুঃখজনক।’
তিনি বলেন, ‘আমি যদি কোনো একটি কথা ভুল করে বলে থাকি সেটা আমাকে ভালোভাবে বলা যায়। আমি শুধরে নিতে পারি। কিন্তু এভাবে আমা’র কথা থেকে কে’টে এভাবে ট্রল করা কোনোভাবেই ভালো না।’ তিনি বলেন, ‘অনেক সময় আমা’র কাছের লোকজন বলে, বক্তব্যে ভেতরে এটা বলার কী দরকার? তখন আমি তাদের বলি এটা হয়তো ভুল করে বা পরিস্থিতি ট্যাকেল দিতে গিয়ে হয়ে যায়। তখন তারা আর কিছু বলে না।’
তাহেরী আরো বলেন, ‘তবে আমি যদি জানতাম আমা’র এসব কথা নিয়ে ট্রল হবে তাহলে আমি বলতাম না। মানুষ তো ভুল করেই। তবে ভুল করা মানুষকে নিয়ে খারাপ ভাবে না বলে শুধরে নিতে বলা উচিত।’
ওয়াজে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নজরদারির বি’ষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার-আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে কাউকে নজরদারিতে রাখতে পারে। এতে আমি বিচলিত নই। যদি মনে হয় আমা’র বক্তব্য উসকানিমূলক তাহলে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করবে।’
জানা যায়, দাওয়াতে ঈমানী বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুফতী মুহম্ম’দ গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জিকিরের সময় নেচে-গেয়ে ‘বসেন বসেন, বইসা যান’ বলায় সমালোচিত হন তাহেরী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে তৈরি হয়ে নানা ট্রল ও ভিডিও। এরপর কিছুদিন ওয়াজ বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। সম্প্রতি ফের আলোচনায় এলেন এই বক্তা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তাহেরী নামেই তিনি পরিচিত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেন মুফতী মুহম্ম’দ গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী। তাঁর পারিবারিক ইতিহাস ও বংশগত পরিচয় নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। তবে তিনি তর্ক বিতর্কের মধ্য দিয়েই যাচ্ছেন। যদিও তিনি তাঁর সম্পর্কে বিতর্কের বিভিন্ন ব্যাখ্যা তিনি দিয়ে আসছেন। তার বিরুদ্ধে নাচ করার যে অভিযোগ রয়েছে তাকে তিনি ক্যামেরার কারসাজি বলে উল্লেখ করেছেন।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd