বরিশালের দুই ছাত্রীর সমকামিতা নিয়ে তোলপাড়

প্রকাশিত: ৯:৩৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০১৯

বরিশালের দুই ছাত্রীর সমকামিতা নিয়ে তোলপাড়

Manual5 Ad Code

বরিশালের দুই ছাত্রীর সমকামিতা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তারা পালিয়ে গিয়ে ‘লিভ টুগেদার’ এর প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। অথচ তাদের অ’পহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল পরিবারের পক্ষ থেকে। ওই অভিযোগে একজনকে গ্রে’ফতারও করে পুলিশ। পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে ওই দুই ছাত্রী সমকামিতায় লি’প্ত ।

শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেল ৫টায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকার শাহমখদুম থানার নওদাপাড়া এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। এরপর রবিবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে তাদের বরিশাল আ’দালতে হাজির করা হয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের ১৯ মার্চ ওই দুই তরুণী নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তিনজনকে আ’সামি করে একটি অ’পহরণ মামলা করেন এক তরুণীর বাবা।

Manual2 Ad Code

তারা হলেন- বরিশাল নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের আগরপুর রোডস্থ রাজিয়া ম্যানশনের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের মেয়ে ও বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ ফাহমিদ আজমিন তামান্না ও বিএম কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী নাসির উদ্দিনের মেয়ে কলেজছাত্রী তামান্না আক্তার।

Manual4 Ad Code

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফিরোজ আলম মামুন জানান, চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল আগরপুর রোডের বাসিন্দা বিএনপি নেতা ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন মিয়া বাদী হয়ে তার মেয়েকে অ’পহরণের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোডের আমজাদ মঞ্জিলের ভাড়াটিয়া বাসিন্দা আ. রহমান দুলাল ফকিরের ছেলে উজ্জল হোসেন রানা, স্ত্রী আলেয়া বেগম ও মেয়ে জামাই মো. মাসুমকে অভিযুক্ত করা হয়। এমনকি অ’পহরণ মামলায় প্রধান আ’সামি উজ্জল হোসেন রানাকে গ্রে’ফতারও করা হয়।

এসআই মামুন বলেন, গত চার মাস ধরে বিএনপি নেতার মেয়েসহ অপর ছাত্রী নিখোঁজ ছিলো। পরবর্তীতে তাদের সন্ধান নিশ্চিত হতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নেন। এতে ওই দুই ছাত্রীর অবস্থান রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকায় নিশ্চিত হওয়া যায়। পরবর্তীতে কোতয়ালি মডেল থানার এসআই ফিরোজ আল মামুন এর নেতৃত্বে একটি টিম শনিবার দিনভর রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। পরে সেখানকার শাহমখদুম থানাধীন নওদা পাড়া এলাকায় আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এর মালিকানাধীন বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।

Manual3 Ad Code

এসআই মামুন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ওই ছাত্রীরা স্বীকার করেছে যে তারা অ’পহরণ হয়নি, তারা দু’জন স্বেচ্ছায় পালিয়ে যায়। এমনকি দু’জন আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ নামের ওই ব্যক্তির কাছ থেকে বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস করে আসছিল। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে সমকামিতা থেকেই তাদের এই পালিয়ে যাওয়া। পাশাপাশি অ’পহরণ মামলায় আ’সামিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয় বলেও পুলিশকে জানিয়েছে ওই ছাত্রীরা।

রবিবার সকালে তাদের বরিশালে আনা হয়েছে। তাদের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দুপুরে তাদের আ’দালতে হাজির করা হয় বলেও জানিয়েছেন ফিরোজ আলম মামুন।

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

August 2019
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..