ডিসি’র সাথে অন্তরঙ্গ হওয়া ওই নারীর পরিচয় পাওয়া গেছে!

প্রকাশিত: ৬:৪৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০১৯

ডিসি’র সাথে অন্তরঙ্গ হওয়া ওই নারীর পরিচয় পাওয়া গেছে!

Manual6 Ad Code

একের পর এক নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে। এবার হয়তো এই গুঞ্জন সত্যি হতে চলছে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে জেলা প্রশাসকের অনৈতিক কর্মের একটি ভিডিও। যা বর্তমানে জামালপুরের ‘টক অব দ্যা টাউন’। পাঠকদের জন্য ভিডিওটি এ সংবাদের একেবারে নিচে দেওয়া হয়েছে।

ওই নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিওটি নিয়ে তোলপার হচ্ছে। ভিডিওটি স্বামী স্ত্রীর নয় এবং এটি জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের বলে প্রচার পেয়েছে। যদিও তিনি বলছেন, এটি চক্রান্ত এবং মানুষটি তিনি নন।

সংবাদ সম্মেলন করে ডিসি বলেন, একটি চক্র তাকে নানাভাবে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেছে। তাদের অবৈধ দাবি না মানায় ভুয়া এই ভিডিওটি ফেসবুকে ছেড়েছে। এর পেছনে কারা আছে, তাদেরকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তবে এই ভিডিও প্রকাশের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করা করার অনুরোধ করে সহযোগিতাও চেয়েছেন জেলা প্রশাসক।

Manual5 Ad Code

এরই মধ্যে ফুটেজটি ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্যা টাউনে’ পরিণত হয়েছে। বলা হচ্ছে ৪ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিওটির পুরো ঘটনা যে জেলা প্রশাসকের অফিসের শয্যাকক্ষে। পুরুষ ও নারীর চেহারাও মোটামুটি স্পষ্ট।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খন্দকার ‘সোহেল আহমেদ’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। আর ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। যদিও শুক্রবার সকালে ওই আইডিতে ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়নি।

কিন্তু এর মধ্যেই ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে। এই ‘সোহেল আহমেদ’ এর পরিচয়ও এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা প্রশাসক। বলেন, ভিডিওর মানুষ তিনি নন। আর যে ফেসবুক আইডি দিয়ে এটি প্রকাশ করা হয়েছে, সেটি ভুয়া।

Manual8 Ad Code

‘আমি মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত অবস্থায় আছি। আপনারা আমাকে একটু সময় দেবেন। প্রকৃত ঘটনা জানতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপনারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’

‘এটি একটি সাজানো ভিডিও। একটি হ্যাকার গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছিল। আমি বিষয়টি গুরুত্ব দেইনি। বানোয়াট ভিডিওটি একটি ফেইক (ভুয়া) আইডি থেকে পোস্ট দেওয়া হয়।’

তবে ভিডিওটিতে দেখানো কক্ষটি তার অফিসের বিশ্রাম নেওয়ার কক্ষ এবং ভিডিওর ওই নারী তার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত বলে তিনি নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে ‘সহযোগিতা’ কামনা করে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন জেলা প্রশাসক।

৪ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর তার অফিসের গোপনীয় কক্ষের বেডরুমে সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা নামে এক নারী কর্মচারীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে খেতে ওই কক্ষের ইলেট্রিক লাইটের সুইচ অফ করছেন।

এছাড়া ওই নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায়ও দেখা যায় তাকে। ফুটেজে দেখা গেছে সিএ এম-২ ক্যামেরায় এটি ধারণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য জেলা প্রশাসকের নারী কেলেঙ্কারি নিয়ে র্দীঘদিন ধরে জামালপুরের নানা মহলে গুঞ্জন, কানাঘুষা চলছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসকের অধিনস্ত এক কর্মচারী জানিয়েছে বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর নিজেকে বাঁচাতে তার সাথে ঘনিষ্ঠ সর্ম্পকিত ঊর্ধ্বতন কর্মকতাসহ এক সাংবাদিক নেতা নিয়ে রাতভর মিটিং করেন। ভোর ৬টায় মিটিং শেষে উপস্থিতরা জেলা প্রশাসকের বাসভবন থেকে বেরিয়ে যান।

জামালপুরের নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট শামীম আরা বলেন, জেলার সরকারি শীর্ষ কর্মকর্তার কাছে নানা সমস্যা নিয়ে নারীরা তার কার্যালয়ে যান। নিরাপত্তাও চান তার কাছে। কিন্তু রক্ষক যদি ভক্ষকের ভূমিকা পালন করেন তাহলে নারীরা কোথায় নিরাপদ। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

Manual8 Ad Code

মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। তিনি তদন্ত সাপেক্ষে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি বলেন, জামালপুরের জেলা প্রশাসকের একটি ভিডিও ভাইরালের খবর তিনি শুনেছি। যদি ঘটনা সঠিক হয়, তবে সেটা ন্যক্কারজনক। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ঘটনাটি জানানো হয়েছে।

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

August 2019
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..