সিলেট ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৫৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৫, ২০১৯
রিমঝিম বাতাসেই ঢেউয়ের গর্জন। যেন সাগরের ধারণ করা উত্তাল রূপ। কখনো শান্ত শীতলপাটির স্বচ্ছ জলরাশিতে নামেন পর্যটকরা। হাওর বিলাস, ক্যাপসুল বুট, ট্রলার, স্পিডবোটে হাকালুকির সৌন্দর্য অবলোকনে এবার ঈদ উল আযহার ছুটিতে হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসছেন সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া জিরো পয়েন্টে ‘মিনি কক্সবাজার’ খ্যাত হাকালুকিতে।
প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্য চারিদিকে দৃশ্যমান হাওরে। হাওরের মধ্যখানে রয়েছে হিজল করচের বাগান। পুরো হাওরকে দৃষ্টি সীমানার ভেতরে নিয়ে আসতে মাঝ হাওরে ওয়াচ টাওয়ারে যেতে হয় পর্যটকদের। ওয়াচ টাওয়ারে দাঁড়িয়ে উপভোগ করা যায় প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য। ঈদের দিন থেকেই পর্যটকরা ভিড় জমিয়েছেন জিরো পয়েন্টে। ভাড়ায় চালিত বিভিন্ন নৌযানে করে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন হাওরের বুকে। সিলেট সহ ৬ উপেজেলা জুড়ে অবস্থিত হাকালুকির সৌন্দর্য।
২০১৫ সালে পর্যটকদের মুখে মুখে ছড়িয়ে যায় ‘মিনি কক্সবাজার’ হাকালুকি নামটি। এরপর থেকে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে হাকালুকি হাওরের পশ্চিম তীর ঘিলাছড়া জিরো পয়েন্টের। পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়াতে স্থানীয় লোকজনের আয় বেড়েছে। পরিবর্তন হয়েছে জীবনমানের। বেকার যুবকদের অনেকে পর্যটকদের ট্রলার সুবিধা দিয়ে সন্তোষজনক আয়ও করছেন।
ইতিপূর্বে জেলা পরিষদের উদ্যোগে হাকালুকির তীরবর্তী জিরো পয়েন্টের ঘাটের উন্নয়নের পাশাপাশি পর্যটকদের বসার জন্য টাইলস দিয়ে বেঞ্চ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ঐতিহ্যের বাহক বটবৃক্ষের চারপাশ জুড়ে করা তৈরিকৃত বেঞ্চের পাশাপাশি টাইলস লাগানো হয়েছে হাঁটাচলার স্থানেও। তবে এখানে পর্যটকদের জন্য তৈরি করা হয়নি শৌচাগার ও ড্রেসিং রুম। কখনো বাতাসের ক্ষিপ্তগতি উত্তাল হয় হাকালুকি হাওর। ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালী করে মাছ ধরছেন জেলেরা। আবার কখনো নীরব নিস্তব্ধ জলরাশি শীতলপাটি বিছিয়ে যেন কাছে টানে পর্যটকদের। তাইতো স্বচ্ছ জলের আকৃষ্ট হয়ে সাঁতার কাটতে নামেন পর্যটকরা।
মঙ্গলবার সরেজমিনে জিরো পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। সাঁতার কাটছেন ভ্রমণপিপাসুরা। কেউ কেউ স্পিডবোট সহ ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন হাওরের বুকে।
ঢাকা থেকে স্বপরিবারে ঘুরতে আসা এক ব্যাংক কর্মকর্তা খালিক সিকদার বলেন, হাওর বিলাস ভাড়া করে স্বপরিবারে হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছি।
আরেক পর্যটক মামুন আহমদ বলেন, সবাই যাতে নিজের ইচ্ছে মতো আনন্দ করতে পারেন সেজন্য হাওর বিলাসে রান্না করার ব্যবস্থা রয়েছে। শফিকুল ইসলাম বলেন, মধ্যবিত্তরা অল্প খরচে হাকালুকি হাওর থেকে কক্সবাজারের স্বাদ নিতে পারবেন।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, পর্যকদের নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পর্যটকরা হয়রানি হয়েছে এমন অভিযোগ পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd