সিলেট ও সুনামগঞ্জের কলঙ্ক সেই মাদ্রাসা শিক্ষক ‘ধর্ষক’ বেলালী

প্রকাশিত: ১০:২৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ৬, ২০১৯

সিলেট ও সুনামগঞ্জের কলঙ্ক সেই মাদ্রাসা শিক্ষক ‘ধর্ষক’ বেলালী

Manual1 Ad Code

মাদ্রাসার ভেতরে ছাত্রীদের ধর্ষণের দায়ে গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক আবুল খায়ের বেলালীকে নিয়ে দেশজুড়েই চলছে আলোচনা-সমালোচনা। গ্রেপ্তারের পর আট ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন নেত্রোকোনোর কেন্দুয়া শহরের আঠারবাড়ি এলাকায় ‘মা হাওয়া (আ.) কওমী মহিলা মাদ্রাসার’ শিক্ষক আবুল খায়ের।

Manual7 Ad Code

গ্রেপ্তার মাওলানা আবুল খায়ের বেলালী ওই মাদ্রাসার মোহতামিম (পরিচালক)। তিনি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের সোণাকানী গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে। আবুল খায়ের পড়ালেখা করেছেন সিলেটে। সিলেট নগরীর উপকণ্ঠের  বালুচর কওমী মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেন তিনি।

Manual8 Ad Code

শুক্রবার ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসার থেকে আবুল খায়ের বেলালীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওই সময় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা হয়েছে বলে পুলিশ জানালেও পরে তা সংশোধন করে বলা হয়, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একইদিনে দুটি ধর্ষণের মামলা হয়েছে।

নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, “প্রথমে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে ওঠে। পরে আমরা ওই ছাত্রীটির সঙ্গে নিবিড়ভাবে কথা বলে জানতে পারি ধর্ষণের কথা। এছাড়া থানায় জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য দিয়েছেন গ্রেপ্তার আবুল খায়ের বেলালী।”

তিনি জানান, গত এক বছর ধরে এই মাদ্রাসায় আছেন আবুল খায়ের। মাদ্রাসাটিতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৩৫ জন ছাত্রী রয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জন মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রী। শিক্ষক আবুল খায়ের বেলালীও থাকেন মাদ্রাসার আবাসিকে।
“এই এক বছরে আবুল খায়ের বেলালী মাদ্রাসার আট ছাত্রীকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন করার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।”

বেলালীর যৌন নির্যাতনের বিবরণ দিতে গিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, সময় সুযোগ বুঝে নিজের কক্ষে পছন্দমতো কোনো ছাত্রীকে ডেকে নিতেন। পরে তার হাত-পা টিপে দিতে বলতেন। এক পর্যায়ে ওই শিশুকে ধর্ষণ করতেন এবং কাউকে কিছু না বলতে শপথ করাতেন, ভয় দেখাতেন।

বয়ানে সুবক্তা এই মাওলানা বেলালীর শিকার শিশুদের বয়স ৮ থেকে ১১ বছরের মধ্যে, বলেন শাহজাহান মিয়া।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার ধর্ষণের শিকার  আট বছর বয়সী মেয়েটি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। তার মা চট্রগ্রামে গৃহকর্মীর কাজ করেন। মাদ্রাসাটির ছাত্রী নিবাসে থেকে লেখাপড়া করে সে। সকালে খায়ের মেয়েটিকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে।

“এ সময় মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে আটক করে পিটুনি দেয়। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে খায়েরকে গ্রেপ্তার করে।”

কেন্দুয়া থানার ওসি রাশেদুজ্জামান বলেন, শুক্রবার সকালে মা হাওয়া (আ.) কওমী মহিলা মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বেলালীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মেয়েটির চাচা।

এর আগে বেলালীকে এলাকাবাসী পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন বলে ওসি জানান।

Manual1 Ad Code

তিনি আরও বলেন, “একই দিন আরেক ছাত্রীর বাবাও বেলালীর বিরুদ্ধে তার মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন।”

ওসি জানান, মেডিকেল পরীক্ষার জন্য দুই ছাত্রীকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দির জন্য ওই দুই ছাত্রীকে বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানো হবে।

Manual1 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..