কানাইঘাটে নিজ বাড়ীতে মৎস্য, গভাদীপশু ও সবজী চাষ করে সাবলম্বী একটি পরিবার

প্রকাশিত: ৭:০৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮

কানাইঘাটে নিজ বাড়ীতে মৎস্য, গভাদীপশু ও সবজী চাষ করে সাবলম্বী একটি পরিবার

Manual4 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: কানাইঘাটের নক্তিপাড়া গ্রামে নিজ বাড়ীতে মৎস্য চাষ, গভাদী পশু পালন ও শাক-সবজী চাষ করে সাবলম্বী একটি পরিবার। তারা দীর্ঘদিন প্রবাস জিবন কাটিয়ে নিজ ভূমিতে এসে প্রবাসের কৃষি কাজের অভিজ্ঞতাকে নিজ দেশের কাজে লাগাতে প্রায় ৮ একর জায়গায় করেছেন ফরমালীন মুক্ত শীতকালীন শাক সবজী চাষ। এছাড়া তারা নিজ বাড়ীতে করেছেন গভাদী পশুর খামার ও মৎস্য চাষ। সবমিলিয়ে বর্তমানে তারা নিজ ভুমিতে কৃষি খামার করে সফলতা অর্জন করে হয়েছেন সাবলম্বী। এতে তাদের কৃষি খামারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এলাকার আরো ১০/১২ জন দরিদ্র কৃষকের।

জানা যায়, কানাইঘাট উপজেলার ১নং লক্ষীপ্রসাদ পুর্ব ইউপির নক্তিপাড়া গ্রামের মরহুম হাজী আবু বক্কর উরফে কালাহাজী’র ছেলে এবাদুর রহমান, তৈয়বুর রহমান, আজিজুর রহমান ও আমিনুর রহমান দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন। সেখানে তারা কৃষি কাজ করতেন সেই দীর্ঘ প্রবাস জিবনের কৃষি কাজের অভিজ্ঞতাকে নিজ দেশের কাজে লাগাতে এবং গ্রামের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরি করতে দেশে এসে তাদের বাড়ীর পাশে সুরমা নদী সংলগ্ন প্রায় ৮ একর ভূমিতে শীতকালীন শাক সবজী চাষ করে নিজ দেশেই হয়েছেন সাবলম্বী। এর পাশাপাশি নক্তিপাড়া গ্রামে হাজী আবু বক্কর ডেইরী, মৎস্য ও কৃষি খামার নাম দিয়ে প্রবাসী ৪ ভাই মিলে প্রবাস জীবনের অর্জিত অর্থ দিয়ে নিজ বাড়ীতে করেছেন ডেইরী খামার ও মৎস্য খামার। এছাড়া গভাদী পশুর খাবার হিসাবে বাড়ীর পাশে জাপানী ঘাশ চাষ করেছেন।

Manual4 Ad Code

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, এ বছর শীতকালীন শাক সবজী হিসাবে প্রায় ৮ বিঘা জায়গায় তারা ফুল কপি, বাধা কপি, লাউ, টমেটো, সিম, লতা বেগুন, ফরাস, কুমড়া, শসা, বরবটি, মিষ্টি আলু, সরিষা, বাখর পাতা, মুলা, গাজর, লাই ইত্যাদী চাষ করেছেন। এতে তারা গ্রামের ১০/১২ জন দরিদ্র কৃষকের মূখে হাসি ফুটিয়েছেন। কর্ম সংস্থান সৃষ্টি করে দিয়েছেন আরো কয়েকজনের। নক্তিপাড়া গ্রামের সফল কৃষক প্রবাস ফেরত এবাদুর রহমান ও আজিজুর রহমান ও আমিনুর রহমান বলেন, নিজ দেশেই কৃষি খামার করে আমরা ৪ ভাই বর্তমানে সাবলম্বী। তারা বলেন, এবারের শীত মৌসূমে শাক সবজী বিক্রি করে আমরা কমপক্ষে ৮ লাখ টাকা আয় করতে পারবো। এছাড়া মৎস্য চাষ ও গভাদী পশু মোটা তাজা করনের খামার থেকে আমরা এ বছর কমপক্ষে আরো ১০ লাখ টাকা আয় করবো। সবমিলিয়ে আমরা এখন সাবলম্বী। এবাদুর রহমান, আজিজুর রহমান ও আমিনুর রহমান বলেন, সরকারের সহযোগীতা পেলে আমাদের কৃষি খামারকে বর্ধিত করে আমরা এলাকার অন্তত ৩০ জন বেকার যুবকের কর্মসংস্থান দিতে পারবো। পাশাপাশি ফরমালিন মুক্ত মাছ, গভাদী পশু, দুগ্ধ খামার, ও শীতকালীন শাক সবজী চাষ করে সবাইকে উপহার দিতে পারবো।

Manual5 Ad Code

এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য মুজির উদ্দিন বলেন, নক্তিপাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী এবাদুর রহমান ও তার ভাইয়ের মতো নিজ দেশের ভূমিতে কৃষি কাজে সবাই এগিয়ে এলে ফরমালীন মুক্ত শাক-সবজী চাষ সহ দেশের কৃষি বিপ্লবকে আরেক ধাপ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..