সিলেট ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৭ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:১৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০২৪
স্টাফ রিপোর্টারঃ সিলেট মহানগরীর সুবিদবাজার এলাকায় যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এক ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে দুর্বৃত্তদের সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৮ আগস্ট) গভীর রাতে সংঘটিত এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ওই প্রবাসীর বাবা আব্দুস ছোবহান চৌধুরী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হামলার শিকার পরিবারের ছেলে আল আমীন চৌধুরী রাজু বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন এবং সিলেট মহানগরীর ১ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন। সম্প্রতি জুলাই মাসে চলমান ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি ফোনে স্থানীয় কয়েকজন ছাত্রকে আন্দোলনে অংশ না নিতে নিষেধ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া আন্দোলন প্রতিহত করতে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
রাজুর এসব কর্মকাণ্ড ও ফেসবুক পোস্ট ঘিরে এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। স্থানীয়ভাবে বিরোধী রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে তার পরিবারের সম্পর্কে উত্তেজনা তৈরি হয়। এরই জেরে রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুবিদবাজার এলাকার তাদের বাড়িতে একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। রাজু বাড়িতে না থাকায় তারা ঘরের জানালা-দরজা ভাঙচুর করে ও ঘরে থাকা মূল্যবান সামগ্রী লুটপাট করে।
হামলাকারীরা বাধা দিতে গেলে রাজুর বাবা আব্দুস ছোবহান চৌধুরীকে দা ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তার মা রুপজানা চৌধুরীকেও লাঞ্ছিত করা হয়। হামলার সময় বাড়ির নারী ও শিশু সদস্যরা আতঙ্কে চিৎকার করলে হামলাকারীরা তাদেরও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তারা বলে, “তোমাদের ছেলে রাজনীতি করে, তাকে বলো রাজনীতি ছেড়ে দিক দেশে ফিরলে তাকে টুকরো টুকরো করে ফেলব।”
পরিবারের অভিযোগ, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই আল আমীন চৌধুরী রাজু ও তার পরিবার নিয়মিত হুমকির মুখে রয়েছেন। ফোন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে বারবার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানিয়েছে।
এ বিষয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। কেউ অভিযোগ করলে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।”
ঘটনার পর পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
………………………..
