ছাতকে বোনের পৈতৃক সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে!

প্রকাশিত: ৫:৪৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০২৪

ছাতকে বোনের পৈতৃক সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে!

Manual7 Ad Code

ক্রাইম প্রতিবেদক: ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সুহিতপুর গ্রামের ইলিয়াস আলীর ছেলে গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি কলেজের সাবেক ভিপি আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদ আলী রেজা কর্তৃক আপন বোনকে হয়রানি করে বোনের পৈতৃক সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে।

Manual4 Ad Code

 

বোনের পৈতৃক সম্পত্তি মাদ্রাসা ও এতিমখানা আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই এমন কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারই আপন বোন যুক্তরাজ্য প্রবাসী দিলারা বেগম ঝর্ণা।

 

এ ঘটনায় সিলেট রেঞ্জের ডি,আই,জি বরাবর দাখিলকৃত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ছাতক উপজেলার সুহিতপুর গ্রামের ইলিয়াছ আলীর ছোট মেয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী দিলারা বেগম ঝর্ণা ২০১৮ সালে সুহিতপুর এলাকায় তার মৌরসী ও খরিদা জায়গায় হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাঃ হাফিজিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন।

 

গত ১৮ আগস্ট রাত ৮ ঘটিকার সময় আওলাদ আলী রেজা’র হুকুমে তার ভাই ইউসুফ আলী ছেলে ছাত্রলীগ ক্যাডার এমদাদ মাদ্রাসায় প্রবেশ করিয়া দানবাক্স ভাংচুর সিসি ক্যামেরা, মনিটর, ক্যামেরার হার্ডডিস্ক সহ আগস্ট মাসের দোকান ও বাসা ভাড়ার ৫৭,২০০/= (সাতান্ন হাজার দুইশত টাকা) জোর পূর্বক ভাড়াটিয়ার নিকট হইতে আদায় করিয়া নিয়ে যায়। মাদ্রাসার মুসল্লীরা নামাজ শেষ করিয়া ভাংচুরের কারণ জিজ্ঞাসা করিলে ইউসুফ আলী মোহন গং মুসল্লীদের হুমকি প্রদান করিয়া বলেন তাহারা অচিরেই মাদ্রাসা বন্ধ করিবে এবং লোট করিয়া নিবে।

 

সরেজমিন মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) মাদ্রাসায় গিয়ে সিসি ক্যামেরা, হার্ডডিস্ক, মনিটর খুলে নেওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রধান শিক্ষক হাফিজ আল আমিন ছুটিতে থাকায় বাবুর্চি আব্দুস সবুর জানান বর্তমানে মাদ্রাসায় দুইজন শিক্ষক দুইজন কর্মচারী এবং আবাসিক অনাবাসিক মিলিয়ে ৪৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।

 

Manual8 Ad Code

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মাদ্রাসার দানবাক্স ভাংচুর, ক্যামেরা, মনিটর, হার্ডডিস্ক ইউসুফ আলী মোহন এবং তার ছেলে এমদাদ খুলে নিয়েছেন।

 

ঝর্না বেগম জানান, গত ছাতক উপজেলা নির্বাচনের কয়েকদিন আগে তার ভাই আওলাদ আলী রেজা পৈতৃক সম্পত্তির ন্যায্য হিসাব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য তাকে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আনেন। কিন্তু প্রাপ্ত সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিয়েই আওলাদ আলী রেজা ছাতক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন। এবং ইউসুফ আলী মোহন সহ হুমকি ধামকি দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করেন।

 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আওলাদ আলী রেজা ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার সুবাদে গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি কলেজের সহ সভাপতি (VP) ভিপি নির্বাচিত হন৷

 

পরবর্তীতে ছাতক উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে হয়ে যান সুনামগঞ্জ ৫ আসনের সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিক এর আস্থাবাজন। ছাতক উপজেলা জুড়ে আধিপত্যর বিস্তার বজায় রাখতে যোগ দেন মেয়র কালাম চৌধুরীর গ্রুপে। অংশ নেন ছাতক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রাখতে শুরু করেন বেপরোয়া কর্মকান্ড তবে তার রক্ত চক্ষু থেকে রক্ষা পাননি পরিবারের আপন বোনও।

Manual8 Ad Code

 

Manual1 Ad Code

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, আওলাদ আলী রেজা’র দখলবাজি থেকে ছাতক উপজেলার দিঘলী রামপুর জামে মসজিদের ফসলী জমিও রক্ষা পায়নি। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নিজ দখলে নেন মসজিদের ৭৫ পচাত্তর শতাংশ জায়গা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মসজিদ কমিটির একাদিক সদস্য এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

অন্যদিকে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই নিজ এবং পারিবারিক সম্পত্তি আত্মসাৎ করে তাহার পিতা ইলিয়াস আলীর নামে ফসলী জমিতে গড়ে তুলেছেন আবাসিক এলাকা। অভিযোগ রয়েছে এই আবাসিক এলাকার প্রাপ্ত অর্থ তিনি বিদেশে পাচার করেছেন৷

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

October 2024
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..