সিলেট ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৩৮ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৯, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্ত এলাকায় গুলো চোরাচালানের অবরন্যে পরিনত হয়েছে। প্রতিদিন রাতে আধারে বিছানাকান্দি সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করছে হাজার হাজার ভারতীয় চোরাই গরু।
এই ভারতীয় গরুর অবৈধতার রশিদ দিচ্ছেন হাদারপারের আমিন আহমদ নামের এক লোক। শুধু আমিন একা নয় তার সাথে রয়েছে স্থানীয় একটি শক্তিশালী চাঁদাবাজ চক্র।
এই চক্রের সদস্যরা গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পুলিশের নামে গরু প্রতি ৩ হাজার টাকা করে আদায় করেন। যার ফলে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ এসকল ভারতীয় গরু আটক না করে ছেড়ে দেয়। এসএমপির জালালাবাদ থানায় এই ভারতীয় চোরাই গরু আটক হওয়ায় গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানামুখী প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এসএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) এর দিক নির্দেশনায় জালালাবাদ থানা এলাকায় থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (৭ অক্টোবর) পুলিশের অভিযানে ৫টি পিকআপ ভর্তি ২৪ টি ভারতীয় গরু উদ্ধার এবং ৪ চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গোয়াইনঘাটের ইসবপুর গ্রামের আজির উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২০), একই গ্রামের মৃত সইবুর রহমানের ছেলে আল আমিন হোসেন (২৩), পাইকরাজ গ্রামের কমর উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রব (২০) ও একই গ্রামের বুরহান উদ্দিনের ছেলে আতিকুর রহমান (২৬)।
পলাতক আসামীরা হলেন, মোঃ জাবেদ (২০) পিতা-অজ্ঞাত সাং-পাইকরাজ, থানা-গোয়াইনঘাট, মোঃ বাবুল মিয়া(৪৫) পিতা- তুরাব আলী সাং-তুরোবাগ, থানা-গোয়াইনঘাট, মোশাহিদ (৪৭) পিতা-মৃত আব্দুল জলিল, সাং-বৌল গ্রাম, থানা-গোয়াইনঘাট, মোস্তফা, পিতা-মকলিস আলী, সাং-করদাপাড়া, থানা-গোলাপগঞ্জ। উক্ত ঘটনায় ধৃত অভিযুক্তদের ও পলাতক সহ অজ্ঞাতনামা ৩ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে জালালাবাদ থানার মামলা নং-৩/১৪০, দায়ের করা হয়।
গ্রেফপ্তাকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd