মধ্যনগরে আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ২:৪৯ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০২৩

মধ্যনগরে আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ

Manual6 Ad Code

ধর্মপাশা ও মধ্যনগর সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জের নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতার বিরুদ্ধে মধ্যনগরে সরকারি খাস জমি দখল করে ৪টি ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।

 

আয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে বিনিয়োগ ছাড়াই জলমহাল থেকে অর্থ আদায়, ঠিকাদারি কাজে ভাগ বসানো, তদবির বাণিজ্য সরকারি জায়গা থেকে মাটি বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা বানিয়েছেন মোবারক।

 

মোবারক হোসেন মধ্যনগর বাজারে ৪ তলা পাকা বাড়ি ছাড়াও তিনি এখন চার-চারটি বাড়ির মালিক। গত ১৪ বছরের ব্যবধানে বহু জমির মালিক হয়েছন। তাছাড়াও হরেক রকম ব্যবসাও দাঁড় করিয়েছেন। সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ তো আছেই। একাধিক ব্যাংক হিসেবে রয়েছে তার লাখ লাখ টাকা। রাজধানী টাকার অভিজাত এলাকায় বসবাস করা ছাড়াও চড়েন দামি গাড়িতে।

 

সম্প্রতি মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মোবারক হোসেন তালুকদার উপজেলার মধ্যনগর বাজারের সরকারি জমি, খাল দখল করে গড়ে তুলেছেন ৩টি অট্টালিকা। মধ্যনগরে কান্দাপাড়া ও নোয়াপাড়ার মধ্যবর্তী এলাকার একটি বড় খাল দখল করে নির্মাণ করেছেন পাকা বাড়ি। কান্দাপাড়া গ্রামে নিজের বাড়ি ও ফসলি জমি থাকার পরও দলের প্রভাব খাটিয়ে ২০১২ সালে ভূমিহীন হিসেবে মধ্যনগর পোস্ট অফিস ও ভূমি অফিসের মধ্যবর্তী স্থানে সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে লিজ নিয়ে ‘সখিনা ভিলা’ নামে গড়ে তুলেছেন দুই তলা ভবন। একই বছর মধ্যনগর থানার সামনে জনৈক মিনা দে’র সরকারি লিজ জমি জোরপূর্বক দখল করে সেখানে নির্মাণ করেছেন দুই তলা ভবন এবং মধ্যনগর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রর পাশে সরকারি খাস জমি দখল করে গড়ে তুলেছেন পাকা বাড়ি ।

 

Manual7 Ad Code

এছাড়াও মোবারকের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে জোরপূর্বক মধ্যনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কমিটির সভাপতির পদ দখল করে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও বদলি বাণিজ্যে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে এলাকায়। এছাড়াও ওই আওয়ামী লীগের নেতা মোবারক হোসেন তালুকদার এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ কথা বলার সাহস পায়না। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে নানা ক্ষোভ রয়েছে।

 

Manual1 Ad Code

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জনপ্রতিনিধি জানান, মোবারক ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ খমতায় আশারপর স্থানীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের হাত ধরে রাজনীতিতে এসে আয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক হওয়ার পর থেকে তাদের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে থাকে। সে আলাদীনের চেরাগ হাতে পেয়ে যায়। গত ১৪ বছরে কোটি কোটি টাকা সহ সম্পদের পাহাড় গড়েছে। এলাকায় সবচেয়ে প্রভাবশালী সে। এ ছাড়াও সরকারি খাসজমিতে পাকা ভবন কিংবা ভিত্তি স্থাপনের কোনো সুযোগ নেই। ওই ভবনের উচ্ছেদের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক হোসেন তালুকাদার বলেন, আমি বেআইনিভাবে কোনো সরকারি জায়গা দখল করিনি। আমি যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লিজ নিয়েই ভবন নির্মাণ করেছি। তিনি দাবি করেন, এমন অবৈধভাবে আরও অনেক ভবন উঠানো আছে ।

Manual7 Ad Code

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মধ্যনগরের আওয়ামীলীগ একধিক নেতা বলেন, মোবারক হোসেন তালুকদারের সরকারি খাস জমি দখল করে একাধিক ভবন নির্মণ করেছেন । ওই ভবন গুলি উচ্ছেদের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

 

এ ব্যাপারে মধ্যনগর ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. আরমান আলী বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি তবে ভবন নির্মাণের বিষটি নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Manual8 Ad Code

 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদ হাসান খান বলেন, সরকারি খাসজমিতে স্থাপনার কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ সরকারি খাস জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে থাকে তা হলে অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

 

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, সরকারি খাসজমিতে পাকা ভবন স্থাপনের কোনো সুযোগ নেই। ইউএনও এবং এসিল্যেন্ডকে নির্দেশ দিয়েছি সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখলদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..