জৈন্তাপুরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতি

প্রকাশিত: ৩:২২ অপরাহ্ণ, মে ৬, ২০২৩

জৈন্তাপুরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতি

Manual7 Ad Code

ডেস্ক রিপোর্ট: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি, অসংগতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে কর্মচারী পদে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে।

 

Manual4 Ad Code

একইসাথে পরীক্ষা এবং ভুক্তভোগীদের অভিযোগ থাকার পরও অভিযোগের তদন্ত না করে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগকৃত কর্মচারী পদে এমপিওভুক্তির জন্য কার্যক্রম চালানোর অভিযোগও পাওয়া গেছে।

 

তাদের মধ্যে আলোচিত দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হল জৈন্তিয়াপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও চারিকাটা উচ্চ বিদ্যালয়। কর্মচারী পদে নিয়োগ এমপিও কার্যক্রম স্থগিত ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে ভুক্তভোগীগণ মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবরে শরণাপন্ন হয়েছেন।

 

Manual4 Ad Code

ভুক্তভোগীগণ গত বৃহস্পতিবার (৩ মে) মহাপরিচালক বরাবরে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন, তারা সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কর্মচারী পদে নিয়োগ পরীক্ষার্থী। নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণ শেষে জানতে পারেন উক্ত নিয়োগগুলোতে অনিয়ম, দুর্নীতি, অসংগতির ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে। ফলে উক্ত নিয়োগ পরীক্ষাগুলো নিয়ে মহাপরিচালক, উপ-পরিচালক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। কিন্তু পরে জানতে পারে যে, অভিযোগ গুলোর তদন্ত না করে কর্তৃপক্ষ কর্মচারী পদে এমপিওভুক্তির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

উল্লেখ্য , উক্ত নিয়োগ পরীক্ষার অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসংগতি নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদনকারীর কাছ থেকে দুটি স্কুলের কর্তৃপক্ষের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের অগ্রিম উৎকোচ গ্রহণের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এমনকি নিয়োগ পরীক্ষার আগে পরীক্ষার্থীকে সাম্প্রদায়িকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। আবেদনকারী প্রার্থীকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরীক্ষার একদিন আগে উনার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে পরীক্ষার্থীর হোয়াটসঅ্যাপে এডমিট কার্ডের ছবি পাঠিয়ে পরীক্ষার দিন হলে প্রবেশ করার পর এডমিট কার্ডের মূল কপি দিবেন বলে আশ্বাস দেন। অভিযোগ থাকার পরও তদন্ত না করে সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃপক্ষ কর্মচারী নিয়োগ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযোগের ভুয়া আপোষনামা দিয়ে তদন্ত রিপোর্ট প্রেরণ করে পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

 

বিষয়টি নিয়ে সিলেট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ প্রতিবেদককে বলেন- অভিযোগগুলো পেয়েছি কিন্তু সব অভিযোগ যে তদন্ত করতে হবে তা নয়। বিষয়গুলো দেখা স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও নিয়োগ কমিটির কাজ। আমি একাডেমিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত। আমি এমপিওভুক্তির ফাইল ভালো করে কাগজপত্র দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।

Manual5 Ad Code

 

Manual3 Ad Code

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের বারবার ফোনে তিনি বিরক্তবোধ করছেন জানিয়ে এই প্রতিবেদককে তিনি অফিসে যাবার আমন্ত্রণ জানান।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..