সিলেট ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৫৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০২৩
ডেস্ক রিপোর্ট: শুরুতে অগ্রহায়ণ মাসে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করেন। প্রায় ১০০ মিটার দৈর্ঘ্য এই সেতু নির্মাণে কাজ করেন অন্তত দুই শতাধিক মানুষ। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত লেগে যায়।
সেতু নির্মাণ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িতদের অন্যতম আব্দুল বাছির বাঁশের ওই সেতু নির্মাণের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘দাওরাইসহ এলাকার প্রায় ১২ গ্রামের লোকজন সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন। দুই শতাধিক মানুষের টানা ১৪/১৫ দিনের পরিশ্রমের ফলে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নদীর মধ্যবর্তী জায়গা খুবই গভীর। দুটো বাঁশকে জোড়া দিয়ে নাট মেরে খুঁটি তৈরি করা হয়। এরপর নদীর গভীর জায়গায় দেয়া হয় লম্বা কয়েকটি খুঁটি। এভাবেই শত শত মানুষের প্রচেষ্টায় সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এতে প্রায় ১৫ দিন লেগে যায়। সেতুটি নির্মাণে প্রায় ৫ লাখ টাকার বাঁশ লাগে। কত কষ্ট হয় আমাদের। বর্ষায় খেয়া নৌকা আর শুকনো মৌসুমে বাঁশের সেতু আমাদের নিজেদের অর্থেই তৈরি হয়। একটি স্থায়ী সেতু হলে ১২টি গ্রামের লোকজন এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
আশারকান্দি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা মো. ফজলু মিয়া জানান, সেতু স্বচক্ষে না দেখলে অনুধাবন করা যাবে না কতটি বাঁশ দিয়ে এটি তৈরি করা হয়েছে। এখানে সেতুর কতটুকু প্রয়োজন সেটি যে কেউ দেখেই বুঝতে পারবে। কিন্তু সেতু আর হয় না। অনেক দিন ধরে কেবল শুনেই আসছি এখানে সেতু হবে। কতবার মাপজোঁকও নিয়েছে। কিন্তু কোনো ফলাফল মিলেনি।’
জানা গেছে, সেতু দিয়ে অগ্রহায়ণ থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত নির্বিঘ্নে লোকজন যাতায়াত করেন। কোনো কোনো সময় বিলম্বে বর্ষা এলে সেতু দিয়ে চলাচল অব্যাহত থাকে। কিন্তু নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথেই খেয়া নৌকার চলাচল শুরু হয়ে যায়। তখন সেতুটি ভেঙে বাঁশ নিয়ে যাওয়া হয়। হালোখাল নদীর উত্তর পাড়ের দাওরাই, মিলিক, কালাম্বরপুর, শুক্লাম্বরপুর, শুম্ভপুর, কালাঞ্জুরা, দিঘলবাক দক্ষিণ, কালনীরচর, বড়ফেচী, ঐয়ারকোণা, মিঠাভরাং, জয়দা গ্রাম এবং দক্ষিণ পাড়ের উত্তর দাওরাই, দারুল ইসলাম, মধুপুর, ছইদাবাদ, জামারপুর, রৌডর, রুপসপুর গ্রামের লোকজন সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন। এই সেতু পার হয়েই স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বাজার, ইউনিয়ন অফিস, তহশিল (ভূমি) অফিসে যেতে হয়। এসকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাজার ও সরকারি দপ্তরে এভাবেই যুগের পর যুগ ধরে দুর্ভোগ নিয়ে সাধারণ লোকজন ও শিক্ষার্থীদেরকে চলাচল করতে হচ্ছে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd