শংকু রাণীর অপসারণের দাবীতে বিশ্বনাথ কলেজে তালা, পরীক্ষাসহ ক্লাস বর্জন

প্রকাশিত: ১০:৩২ অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২৩

শংকু রাণীর অপসারণের দাবীতে বিশ্বনাথ কলেজে তালা, পরীক্ষাসহ ক্লাস বর্জন

Manual4 Ad Code
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের প্রভাষক বেসামাল শংকু রাণী সরকারের অপসারণ দাবিতে উত্তাল কলেজ ক্যাম্পাস। প্রায় ৯ দিন থেকে শংকু রানীর অপসারণ দাবি নিয়ে আন্দোল চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অবশেষে আজ সোমবার সকালে শিক্ষার্থীরা তাদের পিটেস্ট পরিক্ষা বন্ধ করে পুরো কলেজ ক্যাম্পাসে তালা দিয়ে রেখেছে।
এদিকে প্রভাষক শংকু রানী সরকারের অসৌজন্যমূলক আচরণে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কলেজ ক্যাম্পাস, ফুঁসে উটেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাঁর এহেন আচরণে অতিষ্ঠিত হয়ে উঠেছে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ইউএনও পুলিশসহ সর্বমহলে মানুষ।
প্রায় ৯দিন আন্দোলনের পরও শংকু রানীকে অপসারণ না করায় শিক্ষার্থীরা সোমবার সকালে কলেজের পিটেস্ট পরিক্ষা বর্জন করে পুরো ক্যাম্পাস তালা দেয়। তাদের এই কর্মসুচীতে হানা দেন আলোচিত-সমালোচিত শংকু রাণী সরকার। এসময় তাঁকে কলেজে ঢুকতে না দিয়ে তাঁর উপর আন্দোলনকারিরা ডিম নিক্ষেপ করে। এতে আরো বেসামাল হয়ে শংকু রানী কাটাতারের বেড় অতিক্রম করে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন।
এসময় তিনি কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদেরকে অকথ্য ভাষার গালিগালাজ করেন। এতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন আন্দোলনকারি শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে কলেজে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিসহ একদল পুলিশ।
শিক্ষার্থীদের দাবি প্রতারণাকে পেশা বানিয়ে নিজের নারীত্বকে পূঁজি করে গায়ের জোরে সর্বক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে ব্যস্থ থাকা ‘সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতি কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ভূয়া আইনজীবি, ভূয়া সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী নামধারী কলেজের তথাকথিত প্রভাষক শংকু রাণীর আচরণে আজ অতিষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রশাসনের লোকজন।
এমন কি গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্বনাথ পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী সভা ছিল। নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ভরপুর ছিল কলেজ মাঠ।
এসময় হঠাৎ করে শংকু রানী কলেজে মেইন ফটকে তার ব্যবহিত কার গাড়ি নিয়ে ঢুকতে না পারায় সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে জোতা পেটাও করেন অনেককে।
এ ঘটনার পরও শংকু রানী কলেজের শিক্ষক, শির্ক্ষার্থীসহ দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগও দিয়েছেন। তার এমন অশুভ আচরণ ও কলেজের মান-সম্মাণ রক্ষায় শংকু রানীর অপসারণ আন্দোলন। শিক্ষার্থীদের যৌতিক আন্দোলনে একমত পোষন করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ মানিক মিয়া।
এদিকে শংকু রানী সরকারের দাবি, অধ্যক্ষ মানিক মিয়া কলেজে জামাত সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন এবং তাঁর কাছে চাওয়া ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদেরকে ফুসলিয়ে দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান জানান, শিক্ষক ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থী এবং অভিযোক্ত শংকু রানীর সাথে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..