সিলেটে বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা রিনা রানী’র খুঁটির জোর কোথায়?

প্রকাশিত: ৮:৫০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩

সিলেটে বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা রিনা রানী’র খুঁটির জোর কোথায়?

Manual4 Ad Code

ক্রাইম প্রতিবেদক: সিলেট নগরীর আম্বরখানা দরগা গেইট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি। এই রাজনীতির নেত্রীর ভূমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগের তীর প্রধান শিক্ষিকা রিনা রানী কর্মকারের দিকে। প্রধান শিক্ষিকা রিনা রানী কর্মকারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে তাকে অনত্র্য বদলি ও বির্তকিত প্রধান শিক্ষিকার অনিয়ম ও অপকর্মের প্রতিবাদকারী বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সিদ্দিকা খাতুনের অনিয়মন্ত্রাতিক ডেপুটিশন বাতিল পূর্বক এবং বিদ্যালয়ে সার্বিক সুষ্ট পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবীতে রবিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল অনুমাণ ০৯ ঘটিকার দিকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিদ্যালয়টি তালাবদ্ধ করেন। এ ঘটনায় সিলেট জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক তুলকালাম। এমন ঘটনা সিলেটের ইতিহাসে সর্বপ্রথমই বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

 

প্রধান শিক্ষিকা রিনা রানী কর্মকার বিদ্যালয়ের কাজে ফাঁকি ও উন্নয়নের টাকা আত্মসাৎ ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে নিজ পকেট ভারীর যে ন্যক্কার জনক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন বলে অভিযোগে প্রকাশ। এই শিক্ষিকার বিভিন্ন অনিয়ম ও অসদাচরণ সম্পর্কে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত হলেও আজও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি এই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। তবে উল্টো প্রতিবাদকারী বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সিদ্দিকা খাতুনের অনিয়মন্ত্রাতিক ডেপুটিশনের খবরে ব্যাপক সরগরম হয়ে ওঠেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী। তাহলে প্রশ্ন থেকে যায় ‘অনিয়ম’ ও ‘সীমাহীন দুর্নীতির’ রাণী বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা রিনা রানী কর্মকারের খুঁটির জোর কোথায়?

 

এদিকে, গত ২০ জুলাই ২০২২ই্ং তারিখে বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা রিনা রানী কর্মকারের বিরুদ্ধে সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সিদ্দিকা খাতুন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও আলোর মুখ দেখতে পায় নি অভিযোগটির। গোলাপগঞ্জের শিক্ষা অফিসার দেওয়ান নাজমুল আলমকে উক্ত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। উল্টো বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা রিনা রানী কর্মকারের ইশারায় সহকারী শিক্ষিকা সিদ্দিকা খাতুনকে ডেপুটিশন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ প্রকাশ। তাহলে প্রশ্ন থেকে যায় সত্যি কি বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা রিনার হাতের মুঠো ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মিনিষ্টার’?

 

এব্যাপারে নগরীর আম্বরখানা দরগা গেইট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশফাক আহমদ এর মুঠুফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- বিদ্যালয়ে তালাবদ্ধ করার বিষয়ে তিনি অবগত নয়। আর প্রধান শিক্ষিকার বিষয়ে কথা বলতেই তিনি বলেন এ বিষয়ে আমার কোন কিছু করার নেই যা করার তাদের শিক্ষা অধিদ্প্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আছে উনারা দেখবেন বলে তিনি ফোন রেখে দেন।

 

এব্যাপারে সিলেট সদর উপজেলার শিক্ষা অফিসার আব্দুল জলিল ও সহকারী শিক্ষা অফিসার লিপিকা রায় এর ব্যবহৃত মুঠুফোনে যোগাযোগ করলে উভয়ে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয় নি।

 

এ ব্যাপারে সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাখাওয়াত এরশেদ এর মুঠুফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- বিদ্যালয়ে তালাবদ্ধ করার বিষয় শুনে সদর উপজেলার শিক্ষা অফিসার ও সহকারী শিক্ষা অফিসার সরজমিন ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। এই ঘটনার মূল কারণ কি জানতে চাহিলে তিনি বলেন- তারা এখনোও আমাকে কোনকিছু জানান নি আমি জেনে আপনাকে জানাচ্ছি। প্রধান শিক্ষিকা রিনা রানী কর্মকারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগের বিত্তিতে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সেই তদন্ত কমিটির দাখিল করা তদন্ত রিপোর্টের বিষয়ে জানতে চাহিলে তিনি জানান- এই বিদ্যালয় নিয়ে অনেকগুলো অভিযোগ জমা হয়েছে ইতিমধ্যে তা তন্তদ সাপেক্ষে ধারাবাহিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধান শিক্ষিকা রিনা রানী কর্মকার না কি কোন সচিবের আত্মীয় যার সুবাধে আপনারা উনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হিমশিম খাচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- আসলে কে কার আত্মীয় এসব আমাদের দেখার সুযোগ নেই বলে তিনি ফোন রেখে দেন।

Manual8 Ad Code

 

উল্লেখ্য, বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা রিনা রানী কর্মকারের বিরুদ্ধে ‘সীমাহীন দুর্নীতি’ ও ‘অনিয়মের’ অভিযোগ তুলে ধরে বিগত রবিবার (২৭ মার্চ ২০২২ ই্ং) দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

 

এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য গোলাম জিলানী বলেন, রিনা রানী কর্মকার বিদ্যালয়ের কাজে ফাঁকি ও উন্নয়নের টাকা আত্মসাৎ ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে নিজ পকেট ভারীর যে ন্যক্কার জনক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন তা প্রকাশ করাও অসম্মানের। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করা নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি। আমরা মনে করি তার দুর্নীতি ও অনিয়ম গুটা শিক্ষক সমাজ ও মহান শিক্ষকতা পেশাকে কলুষিত করে। অভিযোগ করেও কোন ফল না পাওয়ার অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই শিক্ষিকার বিভিন্ন অনিয়ম ও অসদাচরণ সম্পর্কে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ করলেও একজন সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও অপর একজন সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত করলেও আজও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি ওই শিক্ষিকা এখন আরও দুর্বার হয়ে উঠেছেন। তিনি বলে বেড়ান, ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মিনিষ্টার আমার হাতের মুঠোয়। অধিদপ্তরে আমার ঘনিষ্ট পরিচালক আছেন এবং মিনিষ্ট্রতে অতিরিক্ত সচিব এর সাথে যোগাযোগ আছে। তাই কেউ আমার কিছু করতে পারবে না।’ একজন প্রধান শিক্ষিকার এমন আচরণ ও ক্ষমতার দম্ভ সত্যিই অবাক লাগে। অথচ তার বিরুদ্ধে লক্ষ টাকার দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এরপরও তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় অনেকের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আসলেই তার খুটির জোর কোথায়। এই শিক্ষিকার দুর্নীতির ফিরিস্থি শুনলে যে কেউই তাজ্জব হবেন। ওই শিক্ষিকা অন্য শিক্ষক ও অভিবাবকদের হুমকি ও ধমক দেওয়ার অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি এভাবে জনসমক্ষে নিয়ে আসতে চাইনি। আমরা চেয়েছিলাম উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরও কর্তৃপক্ষীয় মহলের কোন গরজ দেখছি না। এমনকি প্রধান শিক্ষিকা রিনা রানী কর্মকারের অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তিনি প্রায় সময় বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিবাবকদের, এমনকি আমাদের সামনে সহ-শিক্ষিকাদেরকেও হুমকি ধামকিসহ রুঢ় আচরণ করেন। তাই অনেকে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মুখ খুলতে ভয় পান। তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষিকা রিনা রানী কর্মকার দায়িত্ব পালনে ফাঁকিদানসহ অর্থ আত্মসাৎ বিভিন্ন অনিয়ম চাঁদাবাজী, দুর্নীতি ও অসদাচরণ করে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীর মৌলিক অধিকার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করছেন। ভবিষ্যত জীবন অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। তাই যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে এই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে শিক্ষক সমাজেকে কলঙ্ক থেকে মুক্তি এবং একটি সরকারি স্কুলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনারও দাবি জানান তারা। প্রধান শিক্ষিকা রিনা রানী কর্মকারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষিকা রিনা রানী কর্মকার বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কোন পাঠদান করেন না।

 

পাঠদানকালীন সময়ে পাঠদান না করে ছাত্রদের বসিয়ে রেখে কয়েকজন শ্রেণী শিক্ষিকা নিয়ে চা আড্ডায় মেতে উঠেন। এতে ছাত্র-ছাত্রীর লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হয়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়। তিনি প্রায় সময় বাহিরে অফিসের কাজ অথবা মিঠিং এর কথা বলে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। তিনি বিদ্যালয়ের রুটিন মাফিক কাজ করেন না। তিনি ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে চাপ দিয়ে তিনশত করে টাকা নিয়ে হাজার হাজার টাকা চাঁদাবাজি করেন। ছাত্র-ছাত্রীর প্রত্যয়ন সনদে পাঁচশ থেকে এক হাজার পর্য়ন্ত টাকা দিতে বাধ্য করেন। অডিটের নামে বিদ্যালয় থেকে টাকা হাতিয়ে নেন এবং বিভিন্ন অজুহাতে টাকা তুলেন এবং বিদ্যালয়ের পুরাতন বই, কাগজপত্র ও দ্র্যবাদি বিক্রি করে তথ্য গোপন করে টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রধান শিক্ষকা রিনা রানী কর্মকার, ২০১৮-২০১৯ সালে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য সরকার কর্তৃক দুই লক্ষ টাকা কাজ না করে আত্মসাৎ করেন। তিনি বিভাগীয় অফিস ও আরো অন্যন্যা খাত থেকে ২০১৮-২০১৯ ও অন্যন্যা অর্থ বছরে বারদ্দকৃত দেড় লক্ষাধিক টাকা কাজ না করে আত্মসাৎ করেন। প্রধান শিক্ষাকা যোগদান এর পর থেকে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছর,২০১৮-২০১৯ অর্থ বছর, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছর ও ২০২০-২০২১ অর্থ বছর এ স্লিপের কাজ না করে প্রায় তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভুয়া তথ্য দিয়ে উত্তলোন করে আত্মসাৎ করেন। বিদ্যালয়ের ঝখওচ কমিটি ও ম্যানেজিং কমিটির অন্যন্যা সদস্যদের মিটিং এ ডাকেন না। শুধু সহসভাপতিকে নিয়ে তার যোগসাজসে সভার কাজ সম্পাদন করেন। সাধারণ সদস্যদের কৌশল অবলম্বন করে সাক্ষর করিয়ে নেন। বিদ্যালয়ের ডেক্স, ফ্যান নেই, ঝুকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক লাইন যা শিক্ষাথীদের জন্য নিরাপদ নয় এর কারনে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে ভয় পায়। প্রধান শিক্ষিকা সিলেবাস বাবৎ প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২০ টাকা করে অন্যায়ভাবে হাজার হাজার টাকা প্রতি বছর হাতিয়ে নেন। বিদ্যালয়ের করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে শিক্ষাদান অব্যাহত রাখার স্বার্থে পর্যাপ্ত হোমওর্য়াকশীট ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া কতৃপক্ষের নিদের্শ থাকা সত্বেও তিনি ছাত্রদের প্রদান না করে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত করে শিক্ষা জীবন অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছেন।

 

তিনি স্টুডেন্ট কাউন্সিলের নামে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। প্রধান শিক্ষিকা রুটিন মেইন্টেন্যান্স বাবত চল্লিশ হাজার টাকা করে ২ বারে আশি হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিদ্যুৎ বিলের টাকা সরকার থেকে পেয়েও মিথ্যা কথা বলে যোগদানের পর থেকে প্রতারণা করে বিদ্যালয় থেকে বিদ্যুৎ বিলের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে, স্বামীর ভূয়া চাকরি ও ঠিকানা দেখিয়ে আম্বরখানা দরগা গেইট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বদলি হয়ে আসেন। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে এই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মো. মিজান আহমদ, মো. আব্দুর ছোবহান লোকমান, মো. জুদেন আহমদ, মো. নূরুল ইসলাম, মো. মাছুম প্রমুখ।

Manual1 Ad Code

 

এর কিছুদিন যেতেই না যেতে আবারো বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা রিনা রানী কর্মকারের বদলীর দাবিতে মানববন্ধন অভিভাবক ও স্থানীয়রা। বিগত রবিবার (৫ জুন ২০২২ইং) দুপুরে বিদ্যালয় আয়োজিত মানববন্ধনে বির্তকিত প্রধান শিক্ষিকের অনিয়ম ও অপকর্মের প্রতিবাদকারী বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ইশরাত জাহান ও শাকিলা বেগমের অনিয়মন্ত্রাতিক ডেপুটিশন বাতিল পূর্বক ও বিদ্যালয়ে সার্বিক সুষ্ট পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রধান শিক্ষিকা রিনা রানী কর্মকারকে দ্রুত বদলির দাবি জানানো হয়।

 

Manual1 Ad Code

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বরিশাল থেকে অবৈধ ভাবে বদলি হয়ে সিলেটে এসে আম্বরখানা দরগা গেইট বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় মেতে উঠেছেন প্রধান শিক্ষক রিনা রানী কর্মকার। কোনো প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে নানা ভাবে অর্থ আদায় ও বিদ্যালয়ের উন্নয়ন বরাদ্ধের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করে যাচ্ছেন তিনি। বিতর্কিত রিনা রানীর এক আত্নীয় সচিব পদমর্যদায় সরকারের উচ্চস্তরে কর্মরত থাকার সুবাধে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তাঁর দূর্নীতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোনো কাজ হচ্ছে না।

 

প্রধান শিক্ষক রীনা রানী কর্মকারের বিরুদ্ধে অনিয়মের নানা অভিযোগ থাকার পরও শুধু মাত্র সচিবের আত্বীয় হওয়ার সুবাদে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উর্ধ্ধতন কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে নিরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। ফলে সম্প্রতি রিনা রানী কর্মকার সচিব আত্বীয়ের প্রভাব বিস্তার করে বিভাগীয় উপপরিচালক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে উল্টো প্রতিবাদকারী অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকদের নাজেহাল করার অপচেষ্ঠায় লিপ্ত রয়েছেন। যার ধারাবাহিকতায় উর্ধ্ধতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ইশরাত জাহান ও শাকিলা বেগমকে অনিয়মন্ত্রাতিক ডেপুটিশন করিয়ে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক রিনা রানী কর্মকার।

 

বক্তব্য রাখেন, অভিভাবক আবিদা বেগম রাহেলা বেগম, ফাহিমা বেগম, নুরজাহান বেগম, সামিয়া খাতুন, হাছনা বেগম, নাইমা বেগম, রুনা আক্তার, আখলিমা বেগম, শিরিন বেগম, শাহ্ হামিদা, রিপন আহমদ, মিজান আহমদ, রমনা চৌধুরী রুবি, মনজু আহমদ,অষ্টমী ধর, রোকশানা আক্তার, সানভী, মোঃ সেলিম মিয়া, পারুল বেগম।

 

উপস্থিত ছিলেন, অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দা এনাম আহমদ, জাহানারা বেগম, আনজুুমা বেগম,সোনালী,জাহানারা বেগম, মকে মিয়া,মমতা বেগম, রাবেয়া খাতুন,রাহেলা বেগম, ফেরদৌসী আক্তার,ছালমা বেগম, সাজনা বেগম,রাসেল আহমদ, আজিম উদ্দিন,ফারহানা আক্তার, আবদুল্লাহ, দুলাল মিয়া, অনুপমা সিনহা, রুহেল আহমদ, রত্না সিনহা,লাভলী শর্মা, লায়লা বেগম, আতিক আহমদ, বিলকিস আক্তার, লুৎফা বেগম, তানজিনা আক্তার, আয়শা আক্তার, মিজান আহমদ, নারগিস সুলতানা, ডলি বেগম, জায়দা বেগম, রিনা আক্তার, আহসানুুল হক জুয়েল প্রমুখ।

Manual5 Ad Code

 

এসময় বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা ইশরাত জাহান ও শাকিলা বেগমের অনিয়মন্ত্রান্তিক ডেপুটিশন দ্রুত বাতিলপূর্বক বির্তর্কিত প্রধান শিক্ষিকা রিনা রানী কর্মকারকে বদলি ও বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনে প্রাথমিক ও গন শিক্ষা মন্ত্রানালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীরা।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

January 2023
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..