কবে বন্ধ হবে জুয়াড়ি কাশেম-জাছমিন চক্রের জুয়া আসর?

প্রকাশিত: ৪:২৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০২৩

কবে বন্ধ হবে জুয়াড়ি কাশেম-জাছমিন চক্রের জুয়া আসর?

ক্রাইম প্রতিবেদক: সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমা থানাধীন খোঁজারখলা এলাকার জিঞ্জির শাহের মাজার সংলগ্ন ও খেয়াঘাটের কাশেম ও তার মেয়ে জাছমিনের শেল্টারে অবাধে চলছে অবৈধ ভারতীয় ‘শিলংতীর’ নামক জুয়া খেলা। বিভিন্ন মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দীর্ঘদিন থেকে এ জুয়া খেলা চালিয়ে আসছে তারা বাবা-মেয়ে। কাশেম ও তার মেয়ে জাছমিনসহ তাদের আরেক সহযোগী তমিজ ওরফে হাতকাটা তমিজ দীর্ঘদিন থেকে প্রশাসনের চোখে আঙ্গুল দিয়ে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের জমজমাট জুয়ার আসর। ‘শিলং তীর’ নামীয় জুয়া খেলায় মোবাইলে গুটির টোকেন বিক্রি করে এখন রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ এই জুয়াড়ি চক্র। আর এদিকে তাদের ফাঁদে পরে বিপদগামী হচ্ছেন এলাকার উঠতি বয়সী যুবসমাজ।

দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশ্যে এলাকা জুড়ে তাদের শেল্টারে জুয়া খেলা চললেও প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। তাহলে কি এই জুয়াড়ি চক্র স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশে চালিয়ে যাচ্ছে এমন অপতৎপরতা প্রশ্ন সচেতন মহলের? তাদের এই জুয়ার আসরকে কেন্দ্র করে ক্রমশই এলাকা জুড়ে বাড়ছে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ অসামাজিক নানান কর্মকান্ড। বর্তমান সরকার মাদক ও জুয়া খেলার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা দিলেও এ চক্রের বিরুদ্ধে অদৃশ্য কারণে তা বাস্তবায়নে ব্যার্থ হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। জুয়াড়ি কাশেম ও তার মেয়ে জাছমিনসহ তাদের আরেক সহযোগী তমিজ ওরফে হাতকাটা তমিজের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিতে যেনও হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।

অনুসন্ধানে ওঠে আসে, এই এলাকাসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকায় বিস্তৃত রয়েছে জাছমিনের মোবাইল ‘শিলং তীর’ খেলা। লালাবাজার, নাজির বাজার, রশিদ পুরসহ বিভিন্ন জুয়ার আসরে মোবাইলে গুটি টোকেন কাটা হচ্ছে জুয়াড়ি জাছমিনের শেল্টারে। এখনোও জাছমিন তার নিজস্ব এজেন্টের মাধ্যমে এ জুয়া খেলা অব্যাহত রেখেছে। য়ার নেশায় আসক্ত হয়ে জাছমিনের খপ্পড়ে পড়ে দিশেহারা হচ্ছেন নিম্ন আয়ের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। আর তাতে করে প্রতিনিয়ত বাড়ছে পারিবারিব কলহ। আর শেষ পরিণতি হচ্ছে হত্যাকান্ডের মতো ঘটনার মাধ্যমে।

জুয়াড়ি কাশেম ও তার মেয়ে জাছমিনসহ তাদের আরেক সহযোগী তমিজ ওরফে হাতকাটা তমিজের জুয়ার নেশায় আসক্ত হয়ে স্ববর্স খুয়িয়েছেন বহুলোক। অনেকে আবার সারাদিন কষ্ট করে টাকা উপার্জন করলেও তারা ঘরে খরচাপাতি না করে রোজগারকৃত এসব টাকা দিয়ে খেলছেন মোবাইলে জুয়া। এ নিয়ে তাদের পরিবারে দেখা দিয়েছে অশান্তি। ১০টাকায় ৭০০ টাকা, ১শ’ টাকায় ৭ হাজার ৫শ’ টাকা, ১ হাজার টাকায় ৭৫ হাজার টাকা পাওয়া যাবে- এমন প্রলোভন দেখিয়ে তারা এ জুয়া খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। এমন প্রলোভনে পা দিয়ে প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছেন অসহায় ও গরিব লোকজন। আর ‘আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ’ হচ্ছেন এই জুয়াড়ি চক্র। তাদের এ খেলা বন্ধে সম্প্রতি এলাকাবাসী জোর প্রতিবাদ জানালেও স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলার কারণে তা সম্ভব হয়নি বলে জানান এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনর্চাজ প্রতিবেদকে জানান- আমি ওমরাহ হজ্বে ছিলাম গতকাল থানায় এসেছি। এসব জুয়াড়ীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান আছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

January 2023
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..