সিলেটে যাত্রীদের দুর্ভোগ: নগর এক্সপ্রেস’র সঙ্কট!

প্রকাশিত: ৩:২৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০২২

সিলেটে যাত্রীদের দুর্ভোগ: নগর এক্সপ্রেস’র সঙ্কট!

Manual8 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গণপরিবহনহীন নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে ২০১৯ সালে চালু হয় ‘নগর এক্সপ্রেস’। যাত্রীসেবার নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে চালু হয় এই বাস সার্ভিস। তবে তিন বছরে প্রতিশ্রুতির বেশিরভাগই বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টো অব্যবস্থাপনা আর ভোগান্তি বেড়েছে। যাত্রীরাও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ফলে সঙ্কটে পড়েছে ‘নগর এক্সপ্রেস’। আশানুরূপ ব্যবসা করতে না পারায় বাস মালিকরাও হতাশ। ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন তারা। কমে এসেছে বাসের সংখ্যা ও চলাচলের রুট।

সিলেট নগরে যাত্রীদের গণপরিবহনের সঙ্কট দূর করতে ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর ২১টি বাস নিয়ে চালু হয় ‘নগর এক্সপ্রেস’। শুরুতে সিটি করপোরেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, প্রতিটি বাসে থাকবে ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবস্থা। বাসের ভেতরে থাকবে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা ও ই-টিকিটের ব্যবস্থা। আর নারীদের জন্য আলাদা একটি বাস থাকবে যার চালক এবং সহযোগীও হবেন নারী। এছাড়া স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে আলাদা তিনটি বাস। তবে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এসবের কোনটিই বাস্তবে দেখা মেলেনি।

Manual1 Ad Code

যাত্রীদের উঠানামার জন্য নগরের বিভিন্ন এলাকায় আলাদা যাত্রী ছাউনি করা হবে বলেও শুরুতে আশ্বাস দিয়েছিলেন সিলেট সিটি মেয়র। তবে এখন পর্যন্ত একটি যাত্রী ছাউনিও নির্মিত হয়নি। বাসগুলোর জন্য নেই নির্দিষ্ট কোনো স্ট্যান্ডও।

Manual7 Ad Code

বন্দরবাজার এলাকায় দেখা যায়, সড়কের উপর দাঁড় করিয়ে রেখে যাত্রী তুলছে নগর এক্সপ্রেসের তিনটি বাস। একটি বাসের ভেতরে গিয়ে যায় যায়, বেশিরভাগ সিটই ভাঙাচোরা ও ময়লা। ভাড়া নিয়ে এক যাত্রীর সঙ্গে চালকের সহযোগীকে বাকবিতন্ডায় জড়াতেও দেখা গেল।

Manual3 Ad Code

‘নগর এক্সপেস’ মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, নিটল টাটা গ্রুপের কাছ থেকে ছোট আকারের এই বাসগুলো কিনে নগর এক্সপ্রেসের কার্যক্রম শুরু হয়। ৪১টি বাস নিয়ে এই সেবা চালু হওয়ার কথা থাকলেও চালু হয় ২১টি বাস। তবে এখন এই সংখ্যা কমে এসেছে ১২টিতে। এখন কেবল সালুটিকর, বটেশ্বর, মোগলাবাজার ও হেতিমগঞ্জ সড়কে এই বাস চলে।

Manual5 Ad Code

নগর এক্সপ্রেসের আগে ২০০৮ সালে ৩৫টি মিনি বাস নিয়ে ‘টাউন বাস’ সার্ভিস নামে ব্যক্তি উদ্যোগে সিলেটে গণপরিবহন সেবা চালু হয়েছিল। তবে অব্যবস্থাপনা ও লোকসানের কারণে ছয় বছরের মাথায় বন্ধ হয়ে যায় এই সেবা।

সিলেট সিটি করপোরেশনের পরিবহন শাখার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর চৌধুরী বলেন, নগর এক্সপ্রেস পরিসেবাটি সিটি করপোরেশনের নয়। নগরবাসীকে ভোগান্তিবিহীন পরিবহনসেবা দিতে সিটি করপোরেশন একটি বাস মালিক গ্রুপের সঙ্গে সমন্বয় করে এই সেবা চালু করেছে। তবে এর লাভ-লোকসান বা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে আমরা জড়িত নয়। সিটি করপোরেশন শুধু রোড ম্যাপ করে দিয়েছে এবং সমন্বয় করে।

নারী ও স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা বাস সার্ভিস চালুসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুরুতে কিছুদিন এসব সার্ভিস ছিল। কিন্তু আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় পরে বন্ধ হয়ে গেছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2022
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..