সিলেট ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৫০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট ওসমানী হাসপাতালের অধীন লালঘর’র সেবিকা (নার্স) আসমা। সেই আসমার বেআইনী ডেলিভারীর কবলে পড়ে গর্ভের দু’সনস্তানসহ এক প্রসূতি মারা যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেবিকা আসমার বর্তমান বাসা সিলেট নগরীর কানিশাইলে।
স্থানীয় সূত্রে প্রাপ্ত অভিযোগে প্রকাশ, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মুজাইপাড়া গ্রামের তৈমুছ আলীর স্ত্রী সেলি বেগম একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ছিলেন। চিকিৎসা ও ডেলিভারীর জন্য রোববার সিলেট ওসমানী হাসপাতালের পেছনের লালঘরে যান তিনি। সেখানে যাওয়ার পর নার্স আসমা নিজেকে গাইনী ডাক্তার পরিচয় দিয়ে সহজে সন্তান ডেলিভারী করে দেওয়ার জন্য তাকে আশ্বস্ত করেন এবং বিনিময়ে অভিভাবকের সাথে ৮ হাজার টাকায় চুক্তি করেন। চুক্তি মোতাবেক ৮ হাজার টাকা নিয়ে আসমা ওই প্রসুতিকে তার বাসায় নিয়ে যান এবং চিকিৎসা শুরু করেন। তখনো রোগীর প্রসব বেদনা বলতে কিছুই ছিল না। তাই আসমা ওই রোগীর শরীরে বেদনার জন্য ইঞ্জেকশন পুশ করেন।
এসময় রোগীর অভিভাবকদের তিনি জানান, রাত ১২টার দিকে সন্তান ডেলিভারি হবে। রাত ১২ টা পেরিয়ে তিনটার দিকে রোগীর অবস্থা যখন আশংকাজনক হয়ে যায়, তখন তিনি তাদেরকে বলেন- আমার পক্ষে সম্ভব নয়,আপনারা ওই মহিলাকে নিয়ে উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলে যান। নিরূপায় হয়ে অভিভাবক সেলি বেগমকে নিয়ে উইমেন্স মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার জানান, রোগীর অবস্থা আশংকা জনক,আপনারা ওসমানিতে নিয়ে যান। সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর পরীক্ষা করে ডাক্তার জানান, রোগী ও তার গর্ভে থাকা দু’টো সন্তানই মারা গেছে । মৃত সেলি বেগমের পিতার বাড়ি সিলেট সদর উপজেলার হাটখোলা ইউনিয়নের সতেরো গ্রামে। তার আরো দু’টো সন্তান রয়েছে। আসমার বিরুদ্ধে এর আগেও বেআইনী প্রাইভেট ডেলিভারী করে অনেক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে এবং রোববারের এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে স্থানীয় একটি নিভর্রযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd