সিলেট ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:০৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক :: অনিয়ম ও ঘুষবাণিজ্যের অপর নাম সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস। এই অফিসের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্তঃ নেই। সপ্তাহে যেখানে হয় কোটি টাকার ঘুষবাণিজ্য। যার একটা অংশ যায় সংশিষ্ট দপ্তরের উপর মহলেও। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে অনেক লেথালেখি হলেও পাল্টায়নি এর। তবে এবার অভিযোগের তদন্তে এবার হানা দিয়েছে দুদক । বৃহস্পতিবার (৮সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস পরিদর্শন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকেতর একটি টিম। প্রাথমিক তদন্তের জন্য অফিস পরিদর্শন করেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। তদন্ত রিপোর্ট দুদক প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণের পর প্রমাণসাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক সিলেট অঞ্চল কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নূর-ই-আলম।
তিনি বলেন- ‘আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ এসেছিলো। আমরা প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত করার অনুমোদন পেয়েছি। তাই তদন্তের স্বার্থে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদক সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে যায়। আগামী সপ্তাহে তদন্ত রিপোর্ট প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করা হবে। রিপোর্ট অনুসারে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।’
অভিযোগ রয়েছে, সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের কর্তব্যক্তি ঘুষছাড়া কিছুই বুঝেন না। ঘুষেল মাধ্যম হিসেবে তিনি গড়ে তুলেছেন ইটডোর ও ইনডোর একাধিক দালাল সিন্ডিকেটে। এই দালাল নিন্ডিকেটের নাম মার্কা এজেন্সি। শতাধিক ট্রাভেলস র্ম্কাা এজেন্সি হিসেবে পাসপোর্ট-এর দালালী করে থাকে। এজেন্সিগুলোর সমন্বয়ক একজন রয়েছেন, তাকে বলা হয় মার্কার রাজা। আর পাস না দিয়ে আপনার উপায় নেই। ঘুষের টাকা না দিলে না আপনার ফাইল নেবে না পাসপোর্ট অফিস। ঘুষের মার্ক না থাকলে ফাইল গ্রহণ করবে না গ্রহণ করলেও ফিঙ্গার নেবে না কম্পিউটার সেকশন।ফাইল ফিঙ্গার নিলেও মাসের পর মাস দেবে না পাসপোর্ট। নানা অজুহাতে আটকে রাখবে আপনার আবেদন। এনকি পরিচালকের বাহ্যিক অনুমতিও কাজে আসবে না। কাজে আসবে শুধু টাকা আর টাকা। পাসপোর্ট অফিসে এমনও হয় যে পরিচালক আবেদন গ্রহণের অনুমতি দিলেও বাকি কাজ হয় না টাকা ছাড়া। বাহ্যিক অনুমতি এবং পরোক্ষভাবে টাকা ও মার্কা ছাড়া ছাড়া কাজ নেই, মূলত এটাই পরিচালকের নির্দেশ।
অভিযোগে প্রকাশ সিলেটের বেসরকারী হাসপাতালের একজন নার্স পাসপোর্ট করতে যান। অফিসের পরিচালকের সুপারিশে একটি ফাইল জমা দেন। পরে তাকে ফিঙ্গার রুমের পাঠানো হয়। কিন্তু এরপরও ওই নার্সের আর কোন ধরণের ফিঙ্গার নেওয়া হয়নি। প্রায় তিন মাস পাসপোর্ট অফিসে আসা-যাওয়া করেও কোন কোন ভাবেই ফিঙ্গার নেওয়া হচ্ছিলনা তার। পররবর্তীতে ট্রাভেলস নামের একটি মার্ক এজেন্সির মাধ্যমে মার্ক ফি’র নির্ধারিত ঘুষের টাকা দিয়ে পাসপোর্ট জমা দেন। এরপর আর দেরি হয়নি,সাথে সাথে ফিঙ্গারও নেওয়া হয়ে যায় তার। কিন্তু এর আগের দিন পর্যন্ত কোন ফিঙ্গার নেয়নি।
আবেদন ফাইলে কোনো ধরণের কাগুজে বা আক্ষরিক প্রবলেম না থাকলেও সিলেট পাসপোর্ট অফিসে সরকারী ফি’র অতিরিক্ত আর্জেন্ট মার্কা ফি দিতে হয় ১৮শ’ টাকা এবং নরমাল বা অর্ডিনারী আবেদনে দিতে হয় ১২শ’ টাকা। এ টাকা থেকে ১শ’ পায় মার্ক এজেন্সি, ১ শ’ আবেদন গ্রহীতা এবং বাকি টাকা শতকরা হারে বন্ঠন করা হয় পরিচালক, সহকারী ও উর্ধতন মহলের মধ্যে। তবে সাংবাদিক নামধারী এমন কিছু দালাল আছেন যারা মার্কা নিলেও পাসপোর্টকে দিতে হয় না। নিউজ না করার তারা নিজেই এ টাকা হজম করে ফেলেন।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd