সিলেট ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১লা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:১৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক :: জকিগঞ্জ সদর ইউপির এক মেম্বার ৫ মাস ধরে জেলবন্দী রয়েছেন। অজ্ঞাত কারণে স্থগিত করা হচ্ছে না তার সদস্যপদ। উপর মহল থেকে বারবার তাগিদ দেওয়া সত্বেও বিষয়টি আমালে নিচ্ছেন না ইউএনও। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি বার বার লালফিতায় বন্দী রয়েছে। তাই জেলবন্দী থেকেও দীর্ঘ ৫ মাস ধরে স্বপদের বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি। কারবন্দী মেম্বার মো: আব্দুল মুকিত জকিগঞ্জ উপজেলার সদর ইউপি’র ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য।
জনা গেছে, জকিগঞ্জ সদর ইউপি’র ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার মো: আব্দৃল মুকিত গত ২২ মে থেকে কারাবন্দী রয়েছেন। সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের মামলায় দীর্ঘ ৫ মাস ধরে তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে। ফলে ওয়ার্ডের উন্নয়ন সহ সরকারি-বেসরকারী সকল সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থায় তার সদস্যপদ স্থগিত করে ওয়ার্ড মেম্বারের দায়িত্ব অন্য কাউকে দেওয়ার জন্য ওয়ার্ডবাসীর পক্ষ থেকে গত ২৫ মে একটি আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার গত ১২ জুন ২০২২ ইং তারিখের ৩৪৮ নং স্মারকপত্রে এবং ২৮ জুন সিলেটের জেলা প্রশাসক ২৯৫ নং স্মারকে তার বিরুদ্ধে বিধিগত ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দশ দেন। উভয় স্মারকে স্থানীয় সরকার আইন ২০০০৯ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৫ মাসেও বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের আদেশ আমলে নেননি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অজ্ঞাত কারণে তা আমলে না নেওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফায়সাল জানান, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্মারকপত্র আমার কাছে পৌছাতে দেরি হয়েছে। অতি নিকটবর্তী সময়ে এ আদেশ আমার কাছে পৌছায়। তিনি বলেন নির্বাচিত কোনো ইউপি চেয়ারম্যান বা ইউপি সদস্যের পদ স্থগিত বা বাতিল করার দায়িত্ব ও ক্ষমতা আমার নেই। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে বিস্তারিত পতিবেদন পাঠানোই আমার দায়িত্ব । প্রতিবেদন পাওয়য়ার পর মন্ত্রনাল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই বাস্তবায়ন করা আমার দায়িত্ব। দেরি না করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে এ বিষয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়ে দেবেন বলে জানান তিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd