সিলেট ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৪৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০২২
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১০নং পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের অন্তর্গত বুধিগাঁও হাওর এলাকার সীমার বাজারস্থ সানোয়ার হোসেনের দোকানের সামনে বিচার-সালিশ চলাকালে ইঞ্জিন নৌকার এক মাঝির উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আসামপাড়া হাওর গ্রামের আবদুস সাত্তার এ-র পুত্র রতন আলী (৪৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। এঘটনায় আহত রতন আলী বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টায় একই ইউনিয়নস্থ বুধিগাঁও হাওরের রাজবাড়ী কান্দী এলাকার মুতলিব মিয়ার ছেলে জনৈক ফয়সল আহমদ(৩০) আমার নৌকা রিজার্ভ নিয়া গোয়াইনঘাট উপজেলায় যাওয়ার জন্য ফোন করিলে আমি সীমার বাজার থেকে তাকে নৌকায় উঠাইয়া গোয়াইনঘাট নিয়ে আসি। পরে ফয়সল আহমদকে নিয়ে পূণরায় সীমার বাজারে গিয়ে ঐ দিন দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় সানোয়ার হোসেন’র দোকানের সামনে পৌছিলে বর্নিত আসামিগন আমার নৌকা ভাড়া না দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে। আমরা উভয় পক্ষের বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে বিবাদী হারুন মিয়া তার হাতে থাকা ইঞ্জিন নৌকার হ্যান্ডেল দিয়ে আমার মাথায় সজোরে আঘাত করলে হ্যান্ডেলটি শ্লিপ হয়ে আমার ডান চোখের উপরে পড়লে চোখে রক্তক্ষরণ ও লীলা ফুলা জখম হয়।
এসময় ফয়সল আহমদ’র সাথে থাকা অপর বিবাদী আবদুল হান্নান এবং জাহাঙ্গীর এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে আমার পকেট থেকে আনুমানিক ত্রিশ হাজার টাকা ও একটি রেডমি টাচ মোবাইল যাহার বাজার মূল্য বার হাজার টাকা নিয়ে আমি মৃত ভেবে ঘটনাস্থলে ফেলে চলে যায়। এরপর বিবাদীগন চলে গেলে আমার আর্তচিৎকারে সানোয়ার হোসেনসহ অপরাপর স্বাক্ষীগনের সহায়তায় আমাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে বাড়ি চলে যাই।
এ দিকে এঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবাদীগন আমাকে ও আমার পরিবার পরিজনকে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমি আমার পরিবার পরিজনকে নিয়ে শংক্বায় দিন-রাত পার করছি। অবশেষে নিরুপায় হয়ে থানা পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) উমর ফারুক মোড়ল বলেন, নৌকার ভাড়া নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত রতন আলী’র দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলমকে বিষয়টি তদন্তের জন্য বলা হয়েছে। তদন্তে শেষে বিবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
………………………..
