অদৃশ্য মায়ার টানে সিলেট পাসপোর্ট অফিসে বারবার ফিরে আসেন পরিচালক মাজহারুল!

প্রকাশিত: ৭:৪২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৫, ২০২২

অদৃশ্য মায়ার টানে সিলেট পাসপোর্ট অফিসে বারবার ফিরে আসেন পরিচালক মাজহারুল!

Manual2 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক: অদৃশ্য মায়ার টানে বারবার সিলেট পাসপোর্ট অফিসে ফিরে আসেন এ কে এম মাজহারুল ইসলাম। কী সেই মায়া যার জন্য সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে চতুর্থ বারের মতো দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বর্তমানেও তিনি পরিচালক পদে রয়েছেন।

Manual2 Ad Code

জানা যায়, এ কে এম মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এ নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রতিবেদন প্রকাশ হচ্ছে।

বিষয়টি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন এমপি’র নজরে পড়লে তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেছেন,সিলেট পাসপোর্ট অফিসে কোন দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবেনা।

তিনি অপরাধীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন।সিলেট পাসপোর্ট অফিসের বর্তমান পরিচালক এ কে এম মাজহারুল ইসলাম এর আগে আরো তিন বার সিলেট পাসপোর্ট অফিসে দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিবারই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আসে।

তিনি ১৯৯১-১৯৯২ সালে শেখঘাটস্থ সিলেট পাসপোর্ট অফিসে প্রথম কাজ করেন।২০১১ সালে নগরীর উপশহরে এমআরপি পাসপোর্ট চালু হলে তিনি আবার সিলেট আসেন।

এসময় তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে তিন মাসের মধ্যে তাকে সিলেট থেকে বদলী করা হয়। কিন্তু তিনি এ বদলী মেনে নিতে পারেননি। ব্যাপক তদবীর এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দিয়ে লবিং করে ২০১৭ সালে আবার সিলেট চলে আসেন।

তবে দুর্নীর্তির জন্য বেশিদিন টিকতে পারেননি। এসময় তৎকালীন পরিচালক সেলিনা বানুকে প্রধান করে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাকে আবার ঢাকায় বদলী করা হয়।

এতো কিছুর পরও তিনি ২০১৯ সালের সেপটেম্বর মাসে চতুর্থ বারের মতো সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। এ বিষয়টি শুরু থেকে মেনে নিতে পারেনি সিলেটের সাধারণ মানুষ।

Manual3 Ad Code

একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়,সিলেটে ই-পাসপোর্ট চালু করার উদ্যোগ নেয়ার পর একজন অভিজ্ঞ পরিচালক নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।এ খবরে তৎপর হয়ে উঠেন এ কে এম মাজহারুল ইসলাম।শুরু করেন ব্যাপক তদবির।এসময় তিনি ঢাকায় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের সাথে যুক্ত ছিলেন।

প্রাপ্ত সরকারের একজন তাকে দিয়ে লবিং শুরু সূত্র জানায়,কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রভাবশালী মন্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক থাকায় তিনি করেন। অন্যদিকে সিলেট বিভাগের একজন মন্ত্রীর এনআরবি উপদেষ্টাকেও কাজে লাগান এ কে এম মাজহারুল ইসলাম।

যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ঐ এনআরবি উপদেষ্টা’ মন্ত্রীকে জানান সিলেটে ই-পাসপোর্ট চালু করতে হলে এ কে এম মাজহারুল ইসলাম-এর বিকল্প নেই। তিনি এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ।

এ কে এম মাজহারুল ইসলাম অত্যন্ত সৎ এবং দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবেও মন্ত্রীর কাছে উপস্থাপনা করে একটি ডিও লেটারও সংগ্রহ করে এই চক্র।তারপর যা হবার তাই হলো। বার বার দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সেই কেএম মাজহারুল ইসলাম সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক হয়েচতুর্থবারের মতো সিলেট এলেন। এবং শুরু করলেন তাঁর পুরোনো কার্যক্রম। হয়ে উটেন ঘুষের রাজা।

Manual4 Ad Code

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নাকি সিলেট পাসপোর্ট অফিসে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালী এক সিন্ডিকেট। যারা মানুষের কাছ থেকে আইনের নানা অজুহাত দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা।

Manual1 Ad Code

ইমিগ্রেন্ট, ভিজিট, স্টুডেন্টসহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে এখান থেকে লোকজন বাইরে যাচ্ছেন। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে কর্মী ও ইউরোপ-আমেরিকায় স্টুডেন্ট ভিসায় শিক্ষার্থীদের যাওয়া বৃদ্ধি পেয়েছে।তাই পাসপোর্ট তৈরীর হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি দিন ছয়শতাধিক পাসপোর্টের ফাইল জমা হয়।

সুত্র আরো জানায়, সিলেট পাসপোর্ট অফিস থেকে প্রতিমাসে যে ঘুষের টাকা সংগ্রহ করা হয় সে টাকার ভাগ নাকি প্রভাবশালী মহলও পেয়ে থাকেন। আর একারণে এতোসব অপকর্মের পরও বহাল তবিয়তে টিকে আছেন এ কে এম মাজহারুল ইসলাম। সুত্র: সিলেট নিউজপেপার।

ক্রাইম সিলেট/রায়হান

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

August 2022
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..