কোম্পানীগঞ্জে ত্রাণ প্রত্যাশীদের হট্টগোল, পুলিশের সাথে হাতাহাতি

প্রকাশিত: ৫:২৮ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০২২

কোম্পানীগঞ্জে ত্রাণ প্রত্যাশীদের হট্টগোল, পুলিশের সাথে হাতাহাতি

Manual8 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ প্রত্যাশীদের মধ্যে হট্টগোল ও পুলিশের সাথে হাতাহাতির ঘটোনা ঘটেছে। শনিবার (২১ মে) সকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের থানা বাজার পয়েন্টে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, সিলেটে নিজ নির্বাচনী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন ও বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে এসেছেন প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে মন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করার পরপরই ত্রাণপ্রত্যাশী আর প্রশাসনের লোকজনের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। এতে পুলিশ প্রশাসন বাধা দিলে তাদের সঙ্গে জনতার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

অতিবৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সিলেটের প্রায় সব উপজেলার মতো কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়। এতে প্রায় ৫০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হন। আর এসব পরিবারের লোকজনের মধ্যে কোনো ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়নি।

Manual7 Ad Code

শনিবার সকালে এসব পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে আসেন স্থানীয় সাংসদ প্রবাসী মন্ত্রী ইমরান আহমদ। সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বরাদ্দকৃত ১২০ প্যাকেট শুকনো খাবার দেওয়ার জন্য অনুষ্ঠান আয়োজন করা হলে বরাদ্দের সংখ্যায় চেয়ে বেশি মানুষ উপস্থিত হন।

তালিকাভুক্ত না হয়ে অন্যান্যরা খাদ্য সামগ্রীর জন্য প্রশাসনের কাছে আকুতি জানালে পরবর্তী সময়ে সবাইকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হবে বলে জানান প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তি। এসব কথা না মেনে উপস্থিত জনতার কিছুসংখ্যক লোক অন্যান্যদের জন্য বরাদ্দ শুকনো খাবারের প্যাকেট নিয়ে যেতে চান। এসময় পুলিশ বাধা দেয়। পরে পুলিশ ও জনতার মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে পুলিশ লোকজন সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

Manual3 Ad Code

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, আমরা গরিব মানুষ। ঘরে ভাত নাই। মন্ত্রী আসার খবরে ত্রাণ নিতে এসেছি ; কোনো ত্রাণ পাইনি। আমরা খুব কষ্টে আছি। আমরা ৫০ হাজার পরিবার বন্যায় প্লাবিত হয়েছি। তাদের জন্য মাত্র ১২০ প্যাকেট খাবার নিয়ে এসেছেন মন্ত্রী। যা উপস্থিত জনসাধারণের ৫ ভাগের ১ ভাগ।

Manual8 Ad Code

স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুসিকান্ত হাজং বলেন, আমরা ২০০ জনের তালিকা করে মন্ত্রীকে দিয়ে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছি। তবে সেখানে তালিকার বাইরের লোকজন এসে হট্টগোল শুরু করে। আমরা পর্যায়ক্রমে তাদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করবো।

ইউএনও ২০০ প্যাকেটের কথা বললেও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, আমাদের প্রত্যেক ইউনিয়নের জন্য ২০ প্যাকেট করে খাবার দেওয়ার জন্য তালিকা করা হয়েছে। তালিকার বাইরের লোকজন হট্টগোল করলে আমরা তা নিয়ন্ত্রণে আনি।

তথ্য অনুযায়ী কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় ছয়টি ইউনিয়নে ২০০ প্যাকেট নয়, ১২০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আট ধরনের পণ্য সামগ্রী দিয়ে ২২০০ টাকা মূল্যের প্রায় সাড়ে তিন হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

Manual4 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

May 2022
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..