সিলেট ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:২৭ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০২২
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ও খাজাঞ্চী ইউনিয়নে হু-হু করে ঢুকছে পানি। বর্তমানে সুরমা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার উপর দিয়ে।
বিশ্বনাথ-লামাকাজী সড়কের বিভিন্ন অংশ সহ গ্রামীন রাস্তা-ঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বাড়ির আঙ্গিনাসহ নিম্মাঞ্চলে বাস করা মানুষের বসত ঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করে দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে।
অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অঘোষিতভাবে বন্ধ হয়ে পড়েছে। পানি বন্দী মানুষের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র খোলার খবর পাওয়া গেছে। ৫-৬ দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে উপজেলার লামাকাজী ও খাজাঞ্চী ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের মানুষ বর্তমানে পানি বন্দী অবস্থায় রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্যানুযায়ী বর্তমানে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে দুই ইউনিয়নের ছোট-বড় অসংখ্য সবজী বাগান, ফসলী জমি।
লামাকাজী বাস পয়েন্ট ছাড়া গোটা রাস্তা-ঘাট ও ব্যবসায়ী প্রতষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। লামাকাজী বাজারের রাস্তায় এখন নৌকা চলাচল করতে দেখা গেছে।
লামাকাজী-বিশ্বনাথ সড়ক, লামাকাজী-আকিলপুর সড়ক, লামাকাজী-প্রিতীগন্জ সড়ক, লামাকাজী-গোলচন্দ বাজার সড়ক, লামাকাজী-প্রিতীগন্জ-খাজাঞ্চী গাঁও সড়ক, খাজাঞ্চী-মুফতির বাজার সড়কসহ দুই ইউনিয়নের অনেক সড়কের বিভিন্ন অংশ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
লামাকাজী ইউনিয়নের মুন্সিরগাঁও, দোয়ারী গাঁও, মাখর গাঁও, হাজরাই, আতাপুর, জাগির আলা, দুর্লভপুর, রাজাপুর, কেশবপুর, সাঙ্গিরাই, দোকানী পাড়া, হাইলকেয়ারী, কোনাউরা নোয়াগাঁও, হেকুরা গাঁও, পাঠানগাও, উদয়পুর, দিঘলী মাধবপুর, মির্জার গাঁও, মাহতাবপুর, শাহপুর, সাহেব নগর, শাখারীকোনা, হামজাপুর, মিরপুর, আকিলপুর, রসুলপুর, তিলকপুর, হাজারীগাঁও, খাজাঞ্চী গাঁও এবং খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বাওনপুর, চরগাঁও, তেঘরী, মুছেধর, তবলপুর, রহিমপুর, এনায়েতপুর, অষ্টগ্রাম, মাইজলা মাল, হোসেনপুর, কিশোরপুর, ইসলামপুর, রঘুপুর ও বন্ধুয়া এলাকায় পানি প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
প্লাবিত হয়েছে স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদরাসা, হাটবাজার ও রাস্তাঘাট। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে।বিধ্বস্ত হয়েছে গ্রামের বেশ কয়েকটি কাঁচা ঘরবাড়ি। পানিতে তলিয়ে গেছে ৫ হেক্টর বোরো ফসল, ৩০ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলা ও ১৫ হেক্টর সবজি ক্ষেত। এমন পরিস্থিতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ওইসব এলাকার মানুষ।
এদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক নুশরাত জাহান বন্যার্তদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করে ঘোষনা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd