অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চাই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১২:১৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২১

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চাই: প্রধানমন্ত্রী

Manual1 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়তে চাই। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। সোনার বাংলাদেশ গড়তে চাই। যে দেশে কোনো অন্যায় থাকবে না। অবিচার থাকবে না। মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে, সেটাই আমি চাই।

Manual5 Ad Code

আজ (সোমবার) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেল দিবস-২০২১ এর উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এই বাংলাদেশ সামনে কেমন হবে তার জন্য প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করে দিয়েছি। বাংলাদেশের আগামী দিনের চলার পথে যেন কোনো রকম হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্র না হয়। বাংলাদেশের মানুষ যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে। ঘাতকের বুলেটে আর কোনো শিশুকে যেন এভাবে জীবন দিতে না হয়। আমি সমগ্র জাতির কাছে এই আহ্বানই জানাবো যে আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। কাজেই তাদের নিরাপত্তা দেওয়া, তাদের ভালোবাসা দেওয়া, তাদের সুন্দরভাবে গড়ে তোলা, তাদের জীবনটাকে স্বার্থক করা, অর্থবহ করা এটাই যেন সকলের আকাঙ্ক্ষা হয়, এটাই যেন সকলের আদর্শ হয় সেটাই আমি চাই।

তিনি বলেন, একজন শিশুকে হত্যা মানেই লাখো-কোটি শিশুর জীবনে একটা আশঙ্কা এসে যায়। স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা দেখেছি যে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এদেশের যেভাবে গণহত্যা চালিয়েছিল। তারাও কিন্তু শিশুদের রেহাই দেয়নি। ছোট্ট নবজাতক শিশুকেও তারা হত্যা করেছে। এমন কী মায়ের পেটের শিশুকেও হত্যা করেছে। আবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা দেখেছি ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনের পর। বিএনপি-জামায়াত একই কায়দায়, ঠিক যেন পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যেভাবে গণহত্যা চালিয়েছিল ওই ভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পচাত্তরের পনেরোই আগস্টের পরে কত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এই সেনাবাহিনীতে ১৯ বার ক্যু হয়েছে। একটা সেনাবাহিনীতে যদি ১৯ বার ক্যু হয় সেই সেনাবাহিনীতে ডিসিপ্লিন আছে বলে এটা কেউ দাবি করতে পারে না। আর এই একেকটা ক্যু ধরে ধরে হাজার হাজার সৈনিক অফিসার হত্যা করা হয়েছে। অনেকের পরিবার লাশও পায়নি। সেই সাথে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরও অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর। তাদের দিনের পর দিন ধরে নির্যাতন করা হয়েছে। আবার ঠিক সেই ঘটনা আমরা দেখেছি।

Manual4 Ad Code

তিনি বলেন, পচাত্তরের পর বার বার এসেছে এই ধরনের অত্যাচার। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর আবারও সেই একই ঘটনা। এর পর অগ্নি সন্ত্রাস থেকে শুরু করে কতভাবে মানুষকে হত্যা করেছে। বাসে আগুন দিয়েছে। শিশু পুড়ে মারা গিয়েছে। এই ঘটনাও আমরা বাংলাদেশে দেখেছি। কিন্তু আমরা তো এ রকম চাই না। আমরা চাই বাংলাদেশ একটা শান্তিপূর্ণ দেশ হবে। প্রত্যেকটা শিশুর জীবন অর্থবহ হবে, সুন্দর হবে। এভাবে অকালে ঝড়ে যাবে সেটা আমরা চাই না। একটি ফুল পূর্ণাঙ্গভাবে ফোটার আগে অকালে ঝড়ে যাক এটা কারো আকাঙ্ক্ষা নয়। এটা কেউ চায় না।

Manual1 Ad Code

সরকার প্রধান বলেন, পচাত্তরের পর শুধু হত্যা না, সাথে সাথে ইতিহাসকেও মুছে ফেলা হয়েছিল। আমাদের অনেক প্রজন্ম জানতেই পারে না যে সেখানে কত জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, কীভাবে হত্যা করা হয়েছে বা একাত্তর সালে কীভাবে গণহত্যা হয়েছিল আমাদের দেশে।

Manual1 Ad Code

শেখ হাসিনা বলেন, এই বাংলাদেশে প্রথম ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশু নিরাপত্তার জন্য আইন করে দিয়ে যান। কী দুর্ভাগ্য আমাদের ঘাতকের হাতে তারই সন্তানদের হত্যার শিকার হতে হয়। বাংলাদেশে যেন আর এই ধরনের কোনো ঘটনা ভবিষ্যতে না ঘটে সেটাই আমাদের আকাঙ্ক্ষা, সেটাই আমরা চাই।

শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি জিজ্ঞেস করতো তুমি কী হবে? সে বলতো আমি আর্মি হবো। সে একটা আর্মি অফিসার হবে, এটাই তার জীবনের স্বপ্ন ছিল।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

October 2021
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  

সর্বশেষ খবর

………………………..