কোম্পানীগঞ্জে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নৌপথের চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করলো পুলিশ

প্রকাশিত: ১২:২০ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৫, ২০২১

কোম্পানীগঞ্জে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নৌপথের চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করলো পুলিশ

Manual2 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদী থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ঘনফুট উত্তোলিত বালু নৌকাযোগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ছাতকসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। বালু বোঝাই এইসব নৌকা গুলো উপজেলার তেলিখাল ও ইছাকলস ইউনিয়নের বিস্তির্ণ জলাশয়ের উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। কম জনবহুল দুইটি ইউনিয়নের জলপথ ততটা নিরাপদ নয়।জলপথে ৬/৭ টি পয়েন্টে স্বসস্ত্র মহড়ায় চাঁদাবাজি চলে।ছোট ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকায় প্রতিটি গ্রুপে ৫/৬ জনের সদস্য রয়েছে।এইসব জলপথ দিয়ে বালু নিতে চাইলে নৌকার মালিককে গুনতে হবে ৪/৫ শত টাকা চাঁদা। চাঁদা না দিলে নৌকার শ্রমিকরা হামলার শিকার হয়। ক্ষুদ্র এই জনপদে বালু ব্যাবসায়ীদের প্রধান আতঙ্ক নৌপথে চাঁদাবাজী। প্রতিদিনই ঘটছে চাঁদাবাজীর ঘটনা। দুই একটি ঘটনার খবরাখবর থানা পুলিশ পর্যন্ত পৌছালেও অধিকাংশ চাঁদাবাজীর ঘটনা আড়ালেই থেকে যায়।

সোমবার ১৪ জুন দুপুর ০১ টার সময় উপজেলার ইছাকলস ইউনিয়নের বাগজুর এলাকায় চেঙ্গের খালে ছোট নৌকা দিয়ে চাঁদা তুলছিল একটি চক্র।

Manual8 Ad Code

খবর পেয়ে তড়িৎ অভিযানের স্বিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক কেএম নজরুল।কাকে পাঠাবেন অভিযানে আস্থা পাচ্ছেনা কারও উপর।অবশেষে উপ পরিদর্শক আবু সায়েম চৌধুরীর কাধে চাঁদাবাজ ধরার দায়িত্ব এসে পরে। সকাল ১০ টায় আবু সায়েম চৌধুরী চৌকস একটি টিম নিয়ে যাত্রা করেন চেঙ্গের খালে। ইঞ্চিনচালিত দ্রুতগতিসম্পন্ন ছোট ছোট নৌকায় করে চাঁদাবাজরা নদীর মাঝখান থেকে শুরু করে অল্প পানিতেও চাঁদাবাজি করে। গোয়াইনঘাট,সিলেট সদর, ছাতক ও কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকার নদীপথে এরা চাঁদাবাজী করে বলে এঁদের ধরা প্রায় অসম্ভব।

Manual4 Ad Code

সেই চক্রটি বালুবাহী নৌকা ও বার্জ থেকে চাঁদাবাজীকালে ধাওয়া করে পুলিশ। প্রায় দুই কিলোমিটার নৌপথ ও জঙ্গলে ধাওয়া করে চাঁদাবাজিকালে ব্যবহৃত একটি নৌকাসহ মারজান নামে এক চাঁদাবাজকে আটক করেন আবু সায়েম চৌধুরী। আটককৃত চাঁদাবাজ উপজেলার কালারুকা গ্রামে রইছ আলীর ছেলে।

Manual8 Ad Code

অভিযান শেষে উপ পরিদর্শক আবু সায়েম চৌধুরী বলেন,ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে ৫/৬ জনের একটি গ্রুপ চাঁদাবাজীকালে তাদেরকে ধাওয়া করি।প্রায় দুই কিলোমিটার ধাওয়া করে একজনকে আটক করলেও অন্যরা নৌকা ফেলে পালিয়ে যায়।

এব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম নজরুল জাহান কাজল জানিয়েছেন, কোম্পানীগঞ্জ থানার অধীন স্থানগুলো চিহ্নিত করে চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশ তৎপর রয়েছে। আটক চাঁদাবাজের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে পলাতক চাঁদাবাজদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Manual3 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..