কানাইঘাট মরা আন্দু জলমহালে অবৈধ ভাবে মাছ শিকারের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১:০৯ পূর্বাহ্ণ, জুন ৫, ২০২১

কানাইঘাট মরা আন্দু জলমহালে অবৈধ ভাবে মাছ শিকারের অভিযোগ

কানাইঘাট প্রতিনিধি: কানাইঘাট মরা আন্দু জলমহালে অবৈধ ভাবে মাছ শিকারের অভিযোগ করেছেন জলমহালের ইজারাদার মৎস্যজীবী আজির উদ্দিন সহ জলমহালের দেখাশোনার কাজের সাথে সম্পৃক্তরা। ইজারাদার আজির উদ্দিন জানান বছর খানেক পূর্বে প্রতিবছর প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকারী ক্ষোষাগারে জমা দিয়ে ৫ বছরের জন্য নারাইনপুর নক্তিপাড়া মৎস্যজীবী সমিতির নামে বৈধ ভাবে মরা আন্দু জলমহাল ইজারা আনেন।

কয়েক মাস পূর্বে জলমহালে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের ছোট ও মাজারী সাইজের বিভিন্ন প্রজাতির ৩০ লক্ষ বড় মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। বর্তমানে জলমহালের পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রায় মাস দিন থেকে এলাকার কতিপয় ধাঙ্গাবাজ উশৃঙ্খল প্রকৃতির লোকজন জলমহালে কারেন্ট জাল দিয়ে দিন ও রাতের বেলা অবাধে মাছ শিকার করছে। এতে বাধা দিলে জলমহালের নৈশ্য প্রহরী এবং তাকে বিভিন্ন ভাবে এলাকার যারা সহযোগিতা করে আসছেন তাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে আসছে মাস শিকারীরা। এতে করে জলমহালটির ইজারা নিয়ে তিনি নানা ভাবে হয়রানী সহ মোটা অংকের আর্থিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন। সম্প্রতি ইজারাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ কয়েক বার জলমহাল এলাকা পরিদর্শন করে বেশ কিছু কারেন্ট জাল জলমহাল থেকে মাছ শিকারের সময় জব্দ করেন।

পুলিশ অবৈধ ভাবে জলমহাল থেকে মাছ শিকারের সাথে জড়িতদের মাছ শিকার না করার জন্য কঠোর নিষেদ করার পরও মাছ শিকার থামছে না বলে ইজারাদার মৎসজীবী আজির উদ্দিন ও জলমহালের দেখাশোনার সাথে সম্পৃক্ত স্থানীয় মাসুক উদ্দিন, খালেদ আহমদ, আফতাব উদ্দিন সহ আরো অনেকে জানিয়েছেন।

তাদের অভিযোগ জলমহালের পাশে অবস্থিত ধনমাইরমাটি গ্রামের বাসিন্দা মহিলা ইউপি সদস্যা মাসুদা বেগমের নেতৃত্বে তার পরিবারের লোকজন এবং এলাকার কতিপয় কিছু উশৃঙ্খল লোকজন জলমহাল থেকে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে নানা প্রকার কারেন্ট জাল দিয়ে অবাদে মাছ শিকার করছে। বাধা দিলে তাদেরকে গালিগলাজ সহ এমনকি জলমহালের নৈশ্য প্রহরীদের পর্যন্ত মারধর করা হয়।

জলমহালে জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ এবং এর সাথে জড়িতদের বিরোদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অফিসের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ইজারাদার আজির উদ্দিন ও তার লোকজন।

সরজমিনে গিয়ে জলমহাল থেকে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকার করতে দেখা গেছে। তবে ইউপি সদস্যা মাসুদা বেগম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয় দাবী করে বলেন, জলমহালের ইজারার অংশের বাহিরে এলাকার কিছু ছেলেরা মাছ মাঝে মধ্যে খাবারের জন্য ধরে থাকে। যা লীজকৃত জলমহালের অংশ থেকে নয় এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আমরা অভিযোগ দিয়েছি।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..