সিলেটে প্রেমিকা তাহমিনার মামলায় পরকীয়া প্রেমিক শ্রীঘরে

প্রকাশিত: ১০:৪১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১

সিলেটে প্রেমিকা তাহমিনার মামলায় পরকীয়া প্রেমিক শ্রীঘরে

Manual1 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : এবার প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করলেন সিলেটের আলোচিত গৃহবধূ তাহমিনা বেগম (২৮)। তাহমিনার মামলায় গ্রেফতার হয়ে পরকীয়া প্রেমিক নূর হোসেন এখন শ্রীঘরে। মঙ্গলবার দিবাগত (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে এসএমপি’র জালালাবাদ থানায় এ মামলা দায়ের করে তাহমিনা। মামলার পরপরই পুলিশ তাহমিনার প্রেমিক নূর হোসেনকে গ্রেফতার করে।

জানা গেছে, সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানার কেমিদপুর (ভুলতা) গ্রামের সৌদী প্রবাসী কবির মিয়ার স্ত্রী দুই সন্তানের জননী তাহমিনা বেগম (২৮) গত ৯ জানুয়ারি রাতে স্বামীর ঘর থেকে উধাও হয়ে যায়। এ সময় স্বামীগৃহ থেকে নগদ ৫ লাখ টাকা, ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩ টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় বলে অভিযোগে প্রকাশ।

খোঁজ না পেয়ে তাহমিনার শাশুড়ি ছফিনা বেগম ১০ জানুয়ারি জালালাবাদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন এবং পরে চুরির অভিযোগে একটি এজাহারও দাখিল করেন। পরবর্তীতে অনেক নাটকীয়তার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি তাহমিনা স্বামীর বাড়ি ফিরে গেলে জানতে পারেন যে- স্বামী তাকে তালাক দিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নারী ও শিশু হেফাজতী কেন্দ্রে প্রেরণ করে।

Manual5 Ad Code

গত ১০ ফেব্রুয়ারি হেফাজতী কেন্দ্র থেকে মুক্তি পেয়ে তাহমিনা চলে যান সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পারকুলস্থ তার বোনের বাড়ি। সেখানে গিয়ে ১৬ ফেব্রয়ারি রাতে জালালাবাদ থানায় গিয়ে প্রেমিক নূর হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা (নং-১৬ (২) ২১) দায়ের করেন। মামলায় তাহমিনা তার পিতার নাম ও পিত্রালয়ের ঠিকানা উল্লে করেন।

Manual7 Ad Code

মামলায় তাহমিনা উল্লেখ করেন- সিলেটে সদরের জালালাবাদ থানার ভগতিপুর গ্রামের নূর হোসেনের (২৭) সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে তার সাথে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে নূূর হোসেন তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে তার সাথে দেখা করতে বলেন। তার কথায় বিশ্বস করে তাহমিনা ১০ ফেব্রুয়ারি জালালাবাদ থানাধীন টুকের বাজারে গিয়ে নূর হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন। পরে নূর হোসেন তাকে টুকেরগাঁওয়ের আব্দুল্লাহর বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে সাদা কাগজে দস্তখত নিয়ে তাকে বিয়ে করেছেন বলে জানান এবং স্বামী পরিচয়ে তার সাথে প্রতিদিনই শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরে তাকে বিভিন্ন স্থানে এবং নিজ বাড়িতে নিয়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত তার সাথে অনবরত শারিরীক মেলামেশা করে ও প্রতারণামূলক তাকে ধর্ষণ করেন। গত ৩১ জানুয়ারি তাহমিনা বিয়ের কাবিননামা চাইলে নূূর হোসেন বিয়ের কাবিননামা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং পরে তাহমিনাকে তার বাড়ি থেকে বের করে দেন। এর পরে তাহমিনা কোথায় ছিল মামলায় তা উল্লেখ করেনি।

Manual4 Ad Code

তবে পুলিশ জানায়, ১ ফেব্রুয়ারি তাহমিনাকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্টে সেন্টারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি বোনের জিম্মায় গিয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি এ মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ নূর হোসেনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

গ্রেফতারকৃত নূর হোসেন এসএমপি’র জালালাবাদ থানার ভগতিপুরের তেরাব আলীর পুত্র এবং মামলার বাদী তাহমিনা বেগম সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার রায় সন্তুষপুর গ্রামের মৃত আফতাবুর রহমানের মেয়ে।

এসএমপি’র জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হুদা খান এ বিষয়ে জানান, মামলা দায়েরের পর আসামিকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে এবং তাহমিনাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কোতোয়ালি থানাধীন ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

Manual3 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

February 2021
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728  

সর্বশেষ খবর

………………………..