সিলেট ৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৩ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২১
বাবর হোসেন : কেউ বলেন কুচাইর কামাল, কেউ বলেন ভট্টো কামাল, আবার অনেকে তাঁকে চিনেন “স্পীকার কামাল” হিসেবে। পুরো নাম নজরুল ইসলাম কামাল, সিলেট দক্ষিন সুরমার মোগলাবাজার থানা এলাকার কুচাই ইউনিয়নের খালিগাওঁ,র মৃত রাশিদ মিয়ার ছেলে তিনি । যুবক বয়সেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন, এরশাদের জাতীয় পার্টির সিলেটের পরিচিত নেতাদের মধ্যে অন্যতম যুব নেতা ছিলেন। প্রখ্যাত কুটনীতিক হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী জাতীয় পার্টিতে যোগদান পরবর্তী সময়ে নজরুল ইসলাম কামালের রাজনীতির অঙ্গনে বিচরন শুরু হয়েছিলো।এরশাদের শাসন আমল শেষে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী আওয়ামীলীগে যোগদান করলে কামালও আওয়ামীলীগের ঘরে প্রবেশ করেন। ৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী জাতীয় সংসদের স্পীকার নির্বাচিত হবার আগে থেকেই নজরুল ইসলাম কামাল, হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর অন্যতম বিশ্বাসও আস্থা ভাজন হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর প্রতি মি: চৌধুরীর এমন বিশ্বাস ও আস্থা ছিলো যে , সিলেট-১ আসনের এম পি হিসেবে স্পীকার কোম্পানীগজ্ঞের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাওয়ার প্রাক্কালে কিছু রাস্তা মোটর সাইকেলে করে যাওয়ার প্রয়োজন হয়েছিলো। আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী ,পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের দায়ীত্বরত কর্মকর্তারা নিজেদের মোটরসাইকেলে স্পীকারকে বহনকরার আয়োজন করেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেলো, স্পীকার তাঁর একান্ত আস্থা ভাজন হিসেবে নজরুল ইসলাম কামালের মোটর সাইকেলে চড়ে গন্তব্যে গিয়েছিলেন। সেই থেকে মি; কামালকে অনেকেই “স্পীকার কামাল” হিসেবে ডাকতো। সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের শফিক-শামীম কমিটির অন্যতম সদস্য হয়েছিলেন নজরুল ইসলাম কামাল । সেই সাথে দক্ষিন সুরমা আওয়ামীলীগের যুগ্ম -সাধারন সম্পাদকও ছিলেন তিনি ।
২০০১ সালের নির্বাচনের পরর্বতী সময়ে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের উপর বি এন পি,র আইনী ছিত্তমের তান্ডব বাড়তে থাকলে নজরুল ইসলাম কামাল ২০০৩ সালের দিকে লন্ডন চলে যান।অবশ্য এর আগে থেকেই তাঁর পরিবারের প্রায় সকল সদস্যই সেখানে অবস্থান করতেন। মা জীবিত ছিলেন,অসুস্থ হবার পর প্রায় ১৬ বছর মায়ের সেবা -যত্ন করেই লন্ডনের দিন গুলো তিনি কাটিয়েছেন। অবশ্য মাঝে মধ্যে আওয়ামী রাজনীতির কর্মকান্ডের আলামত পাওয়া যেতো। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে মি: কামালের মাতা মৃত্যুবরন করলে সেখানেই তাঁকে দাফন করা হয়। সিলেট আওয়ামীলীগের সেই পরীক্ষীত নেতা নজরুল ইসলাম কামাল ১৭ বছর পর চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন বলে তাঁর ঘনিষ্ট জন সুত্র বাংলার বারুদ কে জানিয়েছেন। ওসমানী আন্তজার্তীক বিমান বন্দরে তাঁকে সল্প আকারে সম্বর্ধনা দেয়া হবে এবং মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যেমে সিলেট নগরের কোয়ারেন্টাইন অবস্থান স্থলে নিয়ে আসা হবে। কোয়ারেন্টাইন শেষে পুনরায় মোটর শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দক্ষিন সুরমা-কুচাই শ্রীরামপুর তথা সিলেট-৩ আসনের নজরুল ইসলাম কামাল সমর্থক গোষ্টীর নেতা-কর্মীরা তাদের প্রীয় নেতাকে নিজ এলাকায় নিয়ে যাবার যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd