সিলেট ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:১৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩০, ২০২১
বাবর হোসেন :: করোনা নামক বিষাক্ত ভাইরাসের ছোবল এখনো মানবজাতীর জীবনযাত্রাকে বিষাদময় করে রেখেছে। অনেকে নিজেদেরকে করোনা থেকেও শক্তিশালী হিসেবে হুংকার দিয়ে দাবী করেছিলেন, জানিনা বর্তমানে তাঁরা করোনার ভ্যাকসিন গ্রহনের জন্য কতটুকু অধির আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাসে যখন চরম লকডাইন কালীন সময়ে ছিলো রমজান মাস। সারা দেশের ন্যায় সিলেটের প্রকৃত পরিবহন শ্রমিকরা অনাহারে-অর্ধাহারে যখন দিনাতিপাত করেছিলেন, তখন শ্রমিক নেতা নামধারী কিছুলোক প্রাইভেট গাড়ী হাকিয়েভালো জাতের মাছ-মুরগী কোন বাজারে পাওয়া যায় সেই চেষ্টায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। অর্থাৎ আয়েশী জীবন-যাপন ছিলো তাদের পরিবার-পরিজনের মধ্যে।
২০২০ সালের এপ্রিলের শেষ দিকে রমজান মাস শুরু হলে প্রকৃত পরিবহন শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন, কোথায় যাবে, কার কাছে যাবে এবং কোথায় গেলে একটু চাল-ডালের যোগাড় করতে পারবে। রমজানের শেষের দিকে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা তাদের কষ্টে অর্জিত কল্যান ফান্ডের টাকা চেয়েছিলো ঈদের দিন পরিবার-পরিজনের মুখে একটু সেমাই-রুটি তোলে দেবার জন্য। কল্যান ফান্ডের জিম্মাদার কোটিপতি শ্রমিক নেতারা সাধারন শ্রমিকদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগী না করে বিলাসী কায়দায় নিজেরাই ঈদের আনন্দ ভোগ করেছিলেন।
অপর দিকে প্রকৃত ও সাধারন পরিবহন শ্রমিকরা তাদেরই কল্যান ফান্ড থেকে আপদকালীন সহায়তা না পেয়ে আন্দোলনে নেমেছিলো। তখন কোটিপতি শ্রমিক নেতারা ভাড়াটে শ্রমিক দিয়ে প্রকৃত শ্রমিকদের আন্দোলন দমানোর চেষ্ঠা করে ব্যর্থ হয়ে ভাড়া করলো রাষ্ট্রের পুলিশকে। আন্দোলনকারী শ্রমিকরা যাতে আন্দোলনের জন্য রাস্তায় নামতে না পারে সেই বুদ্ধিতে তৎকালীন ওসি খায়রুল ফজল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সহায়তার হাত। একজন সাব ইন্সপেক্টর কে বাদী করে ১৫/১৭ শত শ্রমিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিলো পুলিশ এ্যাশল্ট মামলা। সেই মামলাটি এখনো তদন্তাধীন বলে জানিয়েছেন বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দক্ষিণ সুরমা ফাড়ীর ইনচার্জ রোকনুজ্জামান চৌধুরী পিপিএম।
শ্রমিকদের ন্যায্য দাবীর আন্দোলন থামানোর জণ্য যে মামলা করা হয়েছিলো সেই মামলার প্রতি কি থানার এসি, জোনের এডিসি কিংবা ডিসির মতামতের প্রয়োজন হয়নি? নাকী চেইন অব কমান্ড নামক বিষয়টির তোয়াক্কা কেউ করেনি। পুলিশ যে কোটিপতি শ্রমিকনেতার পক্ষ হয়ে সে সময় কাজটি করেছে তার আলামত রয়েছে মামলাটির এজাহারেই। আগামী ১ ফেব্রæয়ারী সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন। পরিবহন শ্রমিকরা কি আবারো তাদের কল্যান ফান্ডের সেই জিম্মাদারকে ফরমালিনযুক্ত প্রতীকে ভোট দিয়ে ভবিষ্যতে পুনরায় ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হবার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন ?
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd