সিলেট ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:০৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২১
সৈয়দ হেলাল আহমদ বাদশা :: গোয়াইনঘাট উপজেলায় আশ্রয়ণ ২ প্রকল্পের মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে বসবাস শুরু করেছেন অসহায় অসচ্ছল উপকারভোগী পরিবারগন। গত ২৩ জানুয়ারি (২০২১) বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পৃথিবীতে এক অনন্য নজির স্থাপনের মধ্য দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একযোগে প্রায় ৭০ হাজার গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি করে দিয়ে তাদের নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখিয়েছেন তিনি। দিয়েছেন বেঁচে থাকার অবলম্বন। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে মানবতা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ হতে মুজিববর্ষের সেরা মানবিক উপহার গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি ঘরের চাবি সহ ২ শতাংশ খাসজমি, টিনসেড পাকা ২ কক্ষ বিশিষ্ট বসতঘর। সাথে রেজিস্টারী কবুলিয়ত দলিল, নামজারি খতিয়ান ও একটি সনদপত্র সম্বলিত ফোল্ডার ব্যাগ এবং একটি কম্বল, একটি চারা গাছ ও কিছু সবজির বীজ উপজেলার প্রত্যেকটি উপকারভোগী পরিবারের হাতে তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের দৃষ্টিনন্দন পাকাঘরে বসবাস শুরু করেছে অসচ্ছল ও দুস্থ উপকারভোগী পরিবার। এর মধ্যে ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, দিনমজুর, রিকশাচালক, স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা, অন্যের বাড়িতে গৃপরিচারিকার কাজ করে জীবিকা চালানো অতিদরিদ্র নারীও রয়েছেন, যারা কখনো কল্পনাও করেননি কোনো দিন পাকা ঘরে বসবাস করবেন। উপজেলা প্রশাসন সরকারের আশ্রায়ন ২ প্রকল্পের অর্থায়নে গত ২০ জানুয়ারী (২০২১) এর মধ্যে এসব ঘর নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করে। এতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ঘর প্রতি ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের পাকাঘরে বসবাসকারী উপজেলার নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের লামাপাড়া গ্রামের প্রতিবন্ধি ও স্বামী পরিত্যক্ত সিরাজুন নেছা জানান,সন্তান সন্তনি নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। খড়ের ছাউনি আর ইকোড় বেতের বেড়ার ছোট্ট ঘরে পশুপাখির মতো মেঘ-বৃষ্টি, ঝড়-তুফানের সঙ্গে লড়াই করেই থাকতেন। নানা দুর্যোগ-আতঙ্কে এক মুহূর্তও শান্তিতে ঘুমাননি। কোনোদিন কল্পনাও করেননি পাকাঘরে ঘুমাবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন পাকাঘর নির্মাণ করে দেওয়ায় এখন তিনি ছেলে-মেয়ে নিয়ে শান্তিতে ঘুমাচ্ছেন। স্কুল ও বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা এখন ঘরে টেবিল সাজিয়ে অনায়াসে লেখাপড়া করতে পারছে। গ্রামীণ দরিদ্র গৃহহীন জনগোষ্ঠীর দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ২৫০ অসহায়-অসচ্ছল পরিবারকে গৃহনির্মাণ করে দিয়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। পাকাঘর প্রাপ্ত দিনমজুর ধীরেন্দ্র নমঃ নানা সুযোগ-সুবিধা সংবলিত দৃষ্টিনন্দন বসতঘর উপহার দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন আমরা সব সময় বঙ্গবন্ধু প্রেমিক।
সরেজমিন পরিদর্শনে কয়েকটি উপকারভোগী পরিবারের ঘরে গিয়ে দেখা যায়, রুমের ভিতরে পালঙ্কের উপর বিছনা পরিপাটি করে সাজিয়ে রাখা। পড়ার টেবিলে বই থাক করা, কিচেন রুমে হাড়ি পাতিল অত্যন্ত সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে দেখার মত পরিকল্পিত একেকটি পরিবার। উপজেলার ইউনিয়নগুলোর মধ্যে উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা ১ নং রুস্তমপুর ইউনিয়নে ১৪ টি, ২ নং পশ্চিম জাফলং ৫৬ টি, ৩ নং পূর্ব জাফলং ১৫ টি, ১০ নং পশ্চিম আলীরগাঁও ১৩ টি,৫নং পূর্ব আলীরগাঁও ২৫ টি, ৯ নং ডৌবাড়ী ৭ টি, ৪ নং লেংগুড়া ১৬ টি, ৬ নং ফতেপুর ৪৭ টি, ৭ নং নন্দীরগাঁও ৬৪ টি ও ৮ নং তোয়াকুল ইউনিয়নে ৩ টি সহ সর্বমোট ২৫০ টি পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের দৃষ্টিনন্দন এসব পাকাঘর পেয়ে দরিদ্র উপকারভোগীরা অত্যন্ত খুশি। সরকারিভাবে ২৫০টি পরিবারকে পাকাঘর নির্মাণ করে দেওয়ায় উপজেলার সহস্রাধিক দরিদ্র-অসচ্ছল মানুষ উন্নত আবাসনের আওতায় এসেছেন।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd