সিলেট ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:০৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বিক্রয় ডটকমে মোটরসাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই যুবক সিলেটে এসে ছিনতাই ও ছুরিকাঘাতের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের সঙ্গে এমন করেছেন সিলেটের এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার শ্যালক ও তার সহযোগীরা। অভিযুক্তের নাম মো. শাহীন চৌধুরী (২০)। তিনি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ এলাকার পারুয়া মাঝপাড়া গ্রামের মো. সমছু মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি ইতোমধ্যে জব্দ করেছে সিলেট মহানগর এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। তবে অভিযুক্ত শাহীন ও তার সহযোগিরা পালিয়ে গেছেন।
এদিকে, ছিনতাই ও ছুরিকাঘাতের শিকার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই যুবক মেহেদী হাসান নজরুল (২৫) ও সাইফুল ইসলাম ইফতি (১৯) বর্তমানে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা এয়ারপোর্ট থানা অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন ও এয়ারপোর্ট পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ক্রয়-বিক্রয়ের ওয়েবসাইট ‘বিক্রয় ডটকম’-এ কয়েক দিন আগে একটি মোটরসাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপন দেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ এলাকার পারুয়া মাঝপাড়া গ্রামের মো. সমছু মিয়ার ছেলে মো. শাহীন চৌধুরী। এটি দেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার শরীফপুর গ্রামের মো. জজ মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান নজরুল ও একই থানার মেড্ডা পীরবাড়ী গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম ইফতি বিজ্ঞাপনদাতা শাহীনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। এসময় শাহীন তাদের দু লাখ টাকা নিয়ে সিলেটে এসে মোটরসাইকেল নিয়ে যেতে বলেন।
শাহীনের কথামতো ২৪ জানুয়ারি সিলেটে আসেন মেহেদী হাসান নজরুল ও সাইফুল ইসলাম ইফতি। সিলেটে আসার পর শাহীন তার দুলাইভাই- সিলেট এয়াপোর্ট থানাধীন খাদিমনগর ইউনিয়নের উমদার পাড়া গ্রামের ইছরাক আলীর ছেলে ও সিলেট সদর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক ফখরুল ইসলামের প্রাইভেট কারযোগে পুরো দিন নজরুল ও সাইফুলকে নিয়ে মোটরসাইকেল দেখানোর কথা বলে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায়। ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে শাহীন ও তার সহযোগিরা খাদিমনগর ইউনিয়নের টিলাপাড় নয়াবাজার এলাকায় নজরুল ও সাইফুলকে নিয়ে গিয়ে তাদরে কাছ থেকে জোরপূর্বক দু লাখ টাকা কেড়ে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
পরে নজরুল ও সাইফুল ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশকে বিস্তারিত বলেন। সঙ্গে সঙ্গে এয়ারপোর্ট থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নজরুল ও সাইফুল উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির জানান, ৯৯৯-এ পাওয়া কলের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এ দুই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্ত শাহীন ও তার সহযোগিদের পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের খুঁজছে পুলিশ। তবে শাহীনের দুলাভাইয়ের প্রাইভেট কারটি (ঢাকা মেট্রো গ-১২৬৫২৭) জব্দ করা হয়েছে।
নজরুল ও সাইফুল থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির।
এ বিষয়ে জানতে সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফখরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd