সিলেট ১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৫৪ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছে সিলেচ মহানগর পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ। সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় নগরে উপশহরস্থ সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তর এর সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস) বি,এম, আশরাফ উল্যাহ তাহেরের পরিচালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ কমিশনার মোঃ নিশারুল আরিফ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) পরিতোষ ঘোষ, অতিরিক্ত পুলিশ কশিনার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো. শফিকুল ইসলাম। এতে নগরের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলেন সাংবাদিকরা।
সাংবা হকার উচ্ছেদ সম্পর্কে পুলিশ কমিশনার বলেন, ইতিমধ্যে সিলেট সিটি মেয়রের সহযোগিতায় হকারদের লালদিঘীরপাড়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে নগরী হকারমুক্ত হবে। যানজট ও অবৈধ পার্কিং নিরসনে এসএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে এর পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে সচেতন করার জন্য সংবাদকর্মীদের এ বিষয়ে লেখালেখি করার আহবান জানান। সাধারণ মানুষের বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সমাধানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, যাত্রীদের জানমাল নিরাপত্তায় সিএনজির গ্রিল লাগানোর বিষয়ে ২০১২ সালে সরকার ঘোষিত আদেশ সারাদেশের মতো সিলেটেও যথারীতি বাস্তবায়ন হবে। এছাড়াও এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অন্যান্য স্থানে এম্বুলেন্স সমূহের পার্কিংয়ের শৃঙ্খলা শীঘ্রই নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজ, ইভটিজারদের তালিকা প্রস্তুত করে তা প্রতিরোধে তাদের অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করে তাদের সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হবে, যদি তাতে কাজ না হয় পরবর্তীতে আইনগত অ্যাকশন নেওয়া হবে।
মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেন তিনি বলেন, যদি কোন পুলিশ সদস্যও মাদকের সঙ্গে যুক্ত হয় তাহলে তাকে চাকুরিচ্যূত করে আইনের আওতায় আনা হবে এবং মাদকের বিরুদ্ধে সামগ্রিকভাবে কঠোর থেকে কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, শিলং তীর খেলার এজেন্টদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকসহ জনসাধারণের কাছ থেকে কাছে তথ্য থাকলে তা দিয়ে সহায়তা করার জন্য আহবান জানান। নগরীর লোকজনকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেবা প্রদান করার জন্য প্রতিটি থানায় কিউ.আর,টি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রবাসী ও দূর্বলদের জায়গাজমি ও বসতবাড়ি দখল সংক্রান্তে কোন অভিযোগ আসলে পুলিশ খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে অ্যাকশন নিবে বলে জানান। পুলিশ কর্তৃক জনসাধারণ কিংবা যাত্রীদের হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া এবং ভোরবেলা যাত্রীসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান। এসএমপির বিভিন্ন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইতোমধ্যে পরিবর্তন করা হয়েছে এবং শীঘ্রই বাকিদেরও পরিবর্তন করা হবে। তবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে জনবান্ধব পুলিশিং করার দেশাত্মবোধ ও অন্তরিকতা সবার মধ্যে আরও বৃদ্ধি করতে হবে।
বিভিন্ন থানায় ওপেন হাউস ডে প্রসঙ্গে কমিশশনার বলেন, প্রতি মাসের ৮ তারিখে এয়ারপোর্ট থানা, ১২ তারিখ দক্ষিণ সুরমা থানা, ১৫ তারিখ জালালাবাদ থানা, ১৮ তারিখ মোগলাবাজার থানা, ২২ তারিখ কোতোয়ালী থানা, ২৫ শাহপরাণ (র.) থানা প্রাঙ্গনে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ওপেন হাউজ ডে তে পুলিশ কমিশনার নিজে উপস্থিত থেকে এবং কমপক্ষে উপ পুলিশ কমিশনার সাধারণ জনগণের অভিযোগ শুনবেন এবং উক্ত ওপেন হাউজ ডে তে সিলেট নগরীর সকল নাগরিকবৃন্দকে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ জানানোর জন্য আহবান করেন।
এছাড়া কমিউনিটি পুলিশিং সম্পর্কে তিনি বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং এর নতুন কমিটি গঠন করা নিয়ে অফিসাররা কাজ করছেন।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd