বিয়ের নামে প্রতারণা করে ২০ কোটি টাকার মালিক জান্নাত!

প্রকাশিত: ২:০৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০২০

বিয়ের নামে প্রতারণা করে ২০ কোটি টাকার মালিক জান্নাত!

Manual1 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: বিয়ের নামে প্রতারণা করে ২০ কোটি টাকার মালিক জান্নাত!
বিভিন্ন পত্রিকায় ‘উন্নত দেশগুলোর নাগরিকত্ব জুড়ে দিয়ে’ বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণাই তার পেশা। তার নাম জান্নাতুল। কানাডা প্রবাসী, শর্ট ডিভোর্সি অথচ নিঃসন্তান সুন্দরী- এমন নানা উপমা দিয়ে পত্রিকায় মনভোলানো বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো। বিয়ে করে বিদেশে আয়েশি জীবনের সেই হাতছানির ফাঁদে পা দিলেই হাতিয়ে নিতেন কোটি কোটি টাকা। এভাবে জান্নাত অন্তত ২০ কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন।

Manual6 Ad Code

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন সিআইডির মিডিয়া কর্মকর্তা সিনিয়র এসপি জিসানুল হক।
প্রতারণার শিকার একজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রতারক চক্র এখন পুলিশের খাঁচায়। জান্নাতসহ পাঁচজনকে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন (সিআইডি)।

Manual3 Ad Code

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাদিয়া জান্নাত ওরফে জান্নাতুল, জান্নাতের দ্বিতীয় স্বামী হাসান ওরফে জিহাদ, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, ফিরোজ মিয়া ও তামান্না।
সিনিয়র এসপি জিসানুল হক বলেন, বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বিয়ের নামে প্রতারণার অভিযোগে জান্নাত নামের এক নারী ও তার স্বামী এবং তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসএসসি পাস করতে না পারা জান্নাত প্রতারণায় পিএইচডি। এ পর্যন্ত প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়েছেন তিনি। প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করা স্বামীকে নিয়ে নামেন এই প্রতারণায়।
আরও পড়ুন- নরমাল ডেলিভারির পরও জোর করে সিজার!
তিনি জানান, চলতি বছরের আগস্ট মাসে একটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী কানাডার নাগরিক, ডিভোর্সি সন্তানহীন, নামাজি পাত্রীর জন্য ব্যবসার দায়িত্ব নিতে আগ্রহী বয়স্ক পাত্র চেয়ে একটি বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। আগ্রহীদের একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে বারিধারার একটি বাড়িতে যোগাযোগ করতে বলা হয়। পরে সিআইডির কাছে অভিযোগ দেয়া ভুক্তভোগী নাজির হোসেন ওই বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করা মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেন। পরে তার সঙ্গে গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করেন জান্নাত। এ সময় ভুক্তভোগী নাজির দেড় লাখ টাকা ও পাসপোর্ট তুলে দেন জান্নাতের হাতে।
পরে জান্নাত নাজির হোসেনকে জানান, তিনি নিজেই পাত্রী। কানাডায় দুইশ কোটি টাকার ব্যবসা আছে। কিন্তু বর্তমানে কানাডায় অনেক শীত থাকায় নাজির হোসেনকে নেয়া যাচ্ছে না। এরপর দেশে ব্যবসার জন্য কানাডা থেকে টাকা আনার কথা বলে ট্যাক্স, ভ্যাট, ডিএইচএল বিল ইত্যাদি খরচের কথা বলে এক কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। জান্নাত এরপর মোবাইল বন্ধ করে দেন। নাজিরের সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ করে দেন। পরে ভুক্তভোগী নাজির হোসেন এ বিষয়ে সিআইডিতে অভিযোগ করেন।
একইভাবে অন্য একজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় প্রথমে জান্নাতকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
পরে জান্নাতের কাছ থেকে তিনজন ভুক্তভোগীর পাসপোর্ট, ১০টি মোবাইল ফোন, তিনটি মেমোরি কার্ড, সাতটি সিল, অসংখ্য সিম, প্রতারণার শিকার হওয়া ভুক্তভোগীদের হিসাবের খাতা ও ব্যাংক এশিয়ায় ৪৮ লাখ টাকা জমা দেয়ার স্লিপ উদ্ধার করা হয়।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, উদ্ধার করা খাতায় বিগত দিনের প্রতারণার হিসাব ও ভুক্তভোগীদের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়। জান্নাতের নেতৃত্বে এই চক্রটি গত ১০ বছর ধরে এমন প্রতারণা করে আসছেন। এখন পর্যন্ত সিআইডি তাদের ২০ কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2020
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..