সিলেট ১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৪১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০২০
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট নগরীর বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালনা করছে র্যাব ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। কিন্তু এখনো চোঁখে পড়েনি নগরীর লালদিঘীর পাড় এলাকার এই বিশাল অবৈধ ফুচকার ফ্যাক্টরির। ফ্যাক্টরির মালিকরা দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের এই অবৈধ ফুচকার ব্যবসা।
জানা গেছে, অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মাঝে সিলেট নগরীর মহাজনপট্টি ও লালদিঘীর পাড় সহ বিভিন্ন বাসায় বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধ ফুসকা কারখানায় উৎপাদন চলছে। এসব ফুসকা বাজারে বিক্রি হয়ে আসছে। যার ফলে ভোক্তারা নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এই কারখানায় অপরিচ্ছন্ন, পা দিয়ে দলিয়ে কাই তৈরী করে। বেশির ভাগ এই লালদিঘীর পাড় এলাকার ৭নং গলির অবৈধ ফ্যাক্টরির ফুচকা নগরীর ক্বীন ব্রিজের নিচে ও কাজিরবাজার ব্রিজে বিক্রি করেন দোকানীরা। এই ফ্যাক্টরির লোকজনের কিছু নির্দারিত লোক আছে যারা নগরীর চটপটি দোকানীদের কাছে প্রচারণা করে থাকে।
ফুচকা একটি অতি জনপ্রিয় সুস্বাদু মুখরোচক খাদ্য। সারা দেশের সব জায়গাতেই এই বিশেষ খাদ্যটির প্রচলন রয়েছে। ফুচকা এমন একটা খাদ্য যার নাম শুনলে খেতে ইচ্ছা করে, বিশেষ করে মহিলারা এই খাদ্যটির বিশেষ ভক্ত। সিলেটের অনেকেই হয়তো জানেন না যে ফুচকা কিভাবে তৈরি হয় ? আসলে ফুচকার যে আটা বা ময়দা সেটা মাখা হয় পা দিয়ে।
নগরীর মহাজনপট্টি ও লালধীঘিরপাড় এলাকায় বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স না নিয়ে অবৈধ ভাবে ফুচকা তৈরির কারখানা চালিয়ে যাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এই অসাধু ব্যবসায়ীরা খালি পায়ে দলেই ফুচকার কাই তৈরি করে। এখনও এই পদ্ধতির কোন বিকল্প তৈরি হয়নি।
আর পাঁচ বছর তারা একই পদ্ধতিতে কাজ করে চলেছেন। তারা এতদিন ধরে পায়ে দলেই কাই বানিয়ে এসেছেন। তারাও বলেন যে এই পদ্ধতির কোন বিকল্প হয়নি। কিন্তু ফুচকা তৈরির এই পদ্ধতি কারোর জানা নেই।
এক ফুচকা বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা করা হলে সে জানায় যে তারা জানেনা কীভাবে ফুচকা তৈরি করা হয়। তারা দাম দিয়ে ফুচকা কিনে আনে কারখানা থেকে। যদি পা দিয়ে ফুচকা তৈরি করা হয়ে থাকে তাহলে তা খুবই অন্যায়।
শুধু ফুচকা কেন কোন খাদ্যদ্রব্যই পা দিয়ে বানানো উচিত্ নয়। পায়ে থাকা ধুলো ময়লা যায় সেই খাবারে। আর সেই খাবার খেলে শরীর খারাপ হবে অবধারিত। প্রশাসন এই ক্ষেত্রে কেনো কিছু করছে না তা জানা নেই। চাইলেই প্রশাসন নজরদারি রাখতে পারে।
নগরীর সুরমা পাড়ের ফুচকা খেয়ে দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ্য হয়ে নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যে দোকানে ফুচকা খেয়ে তারা আহত হয়েছেন ওই দোকানের মালিক বলেন আমরা লালদিঘীর পাড় এলাকার ৭নং গলির ভিতরে একটি ফুচকার কারখানা আছে সেখান থেকে আমরা ফুচকা সংগ্রহ করে থাকি
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd