নবীগঞ্জে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিন জনসহ নিহত ৮

প্রকাশিত: ১১:০৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২০

নবীগঞ্জে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিন জনসহ নিহত ৮

Manual6 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : মা-বাবা অসুস্থ। তাদের দেখতে মন ছটফট করছিল ছমিরুন বেগমের। তাই তাদের দেখার জন্য বিকেল ৩টার দিকে বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তিনি। সাথে নিয়েছিলেন দেবরের স্ত্রী হালিমা বেগম ও দুই বছরের শিশু কন্যা মারিয়া। তবে অসুস্থ মা-বাবা আর দেখা হয়নি তার। দেখা হবেও না আর কোনো দিন। কারণ মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় চিরদিনের জন্য নিভে গেছে ছমিরুনের প্রাণ। এ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে তার শিশু কন্যা মারিয়া ও দেবরের স্ত্রী হালিমা বেগমেরও।

Manual4 Ad Code

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল চারটার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জের সাতহাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মোট ৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১০জন। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই দুর্ঘটনায় নিহত ৮ জনের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। আর দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

দুর্ঘটনার পর পর বিআরটিসির অপর একটি বাস ওই এলাকায় পৌঁছলে বিক্ষুব্ধরা সেটি ভাঙচুর করে। দুর্ঘটনার কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা।

Manual6 Ad Code

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলে বিলাপ করছিলেন ছমিরুনের দেবর ও নিহত হালিমা বেগমের স্বামী অনু মিয়া। দুর্ঘটনায় স্ত্রী, ভাবি ও ভাতিজিকে হারিয়ে পাগলপ্রায় অনু মিয়ার গগনবিদারী চিৎকার আর কান্নায় সেখানকার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছিলো। তাকে শান্তনা দেবার মতো কোনো ভাষা ছিল না কারও।

পরিবারের তিনজনকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন ছমিরুন বেগমের স্বামী আবু তাহের। ঘটনাস্থলে কথা হয় তার সাথে। অস্ফুট স্বরে তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে শিশু মারিয়া নানা নানীকে দেখার জন্য বায়না ধরে। সেই বায়না মিঠাতে আর অসুস্থ শ^শুর-শ্বাশুড়িকে দেখতে আমার স্ত্রী ছমিরুন একটি সিএনজি অটোরিক্সা রির্জাভ করে বাবার বাড়ি রওয়ানা হন। যাবার সময় মারিয়া আমাকে আদর দিয়ে যায়। স্ত্রী রান্না করে রেখেছিল। কিন্তু রান্না করা ভাত খাবার আগেই খবর আসে সিএনজি অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে। তখনও আমি জানতাম না স্ত্রী, মেয়ে ও ভাইয়ের বউ মারা গেছে। ঘটনাস্থলে এসে দেখি পরিবারের ৩ জনের লাশ।’

Manual1 Ad Code

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভূইয়া জানান, কুমিল্লা থেকে সিলেটগামী বিআরটিসির বাস নবীগঞ্জের সাতহাইল এলাকায় পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা দুটি অটোরিকশা ও একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এর পর গাড়ি দুটিকে টেনে নিয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়। ওই বাসের নিচেই চাপা পড়ে অটোরিকশা দুটি। এতে ৮ জনের মৃত্যু হয়।

Manual7 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2020
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..